ETV Bharat / city

লকডাউনে সরবরাহ কমছে, কপালে চিন্তার ভাঁজ দোকানদারদের

সমস্যা হল ডিস্ট্রিবিউটরদের হয়ে যাঁরা জিনিসপত্র দোকানে সরবরাহ করতেন, তাঁরা কাজ করছেন না । ফলে কোনও জিনিস দোকানের সরবরাহ ঠিক মতো হচ্ছে না । যা জিনিসপত্র আনতে হচ্ছে নিজেদের গিয়ে । পাইকারি বাজার থেকে কিনে । সেই কারণেই দামের হেরফের হচ্ছে । জিনিসপত্রও পাওয়া যাচ্ছে না । বলে জানাচ্ছেন দোকানদারেরা ৷

grocery shop owners
grocery shop owners
author img

By

Published : May 12, 2020, 8:01 PM IST

কলকাতা, 12 মে : মুসুর ডাল থেকে বিস্কিট । সরষের তেল থেকে পছন্দের মশলা । লকডাউনের জেরে বহু জিনিসপত্রের জোগান ঠিকমতো নেই । তার জেরে সমস্যায় প্রতিটি মানুষ । সমস্যায় পড়েছেন দোকানদাররাও । অর্থনীতির সাধারণ নিয়মেই জোগানে ঘাটতির জেরে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ।

লকডাউনের শুরু থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান স্বাভাবিক রাখতে সক্রিয় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার । বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজে পোস্তা বাজারে গিয়ে খুলে দিয়ে এসেছিলেন পাইকারি জিনিসপত্রের দোকান । তিনি পুলিশকেও বারবার নির্দেশ দিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের গাড়ি যেন কোনওভাবেই না আটকানো হয় । কেন্দ্রের তরফেও একই নির্দেশিকা । কিন্তু বাস্তব বলছে সব সামগ্রিক জোগান ঠিক নেই । বাইরের রাজ্য থেকে আসা বহু জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে না ঠিক মতো । পাওয়া গেলেও কখনও তার দাম বাজার নির্ধারিত সর্বোচ্চ মূল্যের থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে । আবার মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল-সহ বেশ কিছু সামগ্রীর । এমনকী, বেড়েছে ডিমের দামও । সমস্যায় যেমন সাধারণ মানুষ, তেমনই দোকানদাররাও ।

চিন্তার ভাঁজ দোকানদারদের

তপন দত্ত নামে এক এক দোকানদার বলছিলেন, “গুঁড়ো দুধ, বিস্কুট সরবরাহ হচ্ছে না । বেশ কিছু ব্র্যান্ডের মশলাও জোগান ঠিক নেই । অথচ মানুষ সেগুলোই চাইছেন । আমরা দোকানদারি করতে পারছি না । কোনওরকমে এক বেলা দুই-তিন ঘণ্টার জন্য দোকান খুলছি । বাকি সময় বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি । জিনিসপত্র না পেলে কী বিক্রি করব?"

মানব আচার্য নামে আর এক দোকানদার বলছিলেন, “বিস্কুটের জোগান নেই । তেল কম আসছে । চাল থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম বেড়েছে । ফলে দোকানদারি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।"

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?

মানবের কথায়, “সমস্যা হল ডিস্ট্রিবিউটরদের হয়ে যাঁরা জিনিসপত্র দোকানে সরবরাহ করতেন, তাঁরা কাজ করছেন না । ফলে কোনও জিনিস দোকানের সরবরাহ ঠিক মতো হচ্ছে না । যা জিনিসপত্র আনতে হচ্ছে নিজেদের গিয়ে । পাইকারি বাজার থেকে কিনে । সেই কারণেই দামের হেরফের হচ্ছে । জিনিসপত্রও পাওয়া যাচ্ছে না ।"

বিজয় সাউ নামে আর এক দোকানদারেরও একই মত । তিনি বলছেন, “সমস্যাটা জিনিসপত্র সরবরাহের ক্ষেত্রেই হয়েছে । যাঁরা সরবরাহের সঙ্গে জড়িত তাঁরা দোকানে জিনিস দিচ্ছেন না । ফলে যে সব দোকানে পুরোনো স্টক ছিল তাই দিয়ে চালাতে হচ্ছে । আর কিছু কিছু জিনিস পাইকারি বাজার থেকে কিনে আনতে হচ্ছে । ফলে সমস্যা বাড়ছে প্রতিনিয়তই ।"

কলকাতা, 12 মে : মুসুর ডাল থেকে বিস্কিট । সরষের তেল থেকে পছন্দের মশলা । লকডাউনের জেরে বহু জিনিসপত্রের জোগান ঠিকমতো নেই । তার জেরে সমস্যায় প্রতিটি মানুষ । সমস্যায় পড়েছেন দোকানদাররাও । অর্থনীতির সাধারণ নিয়মেই জোগানে ঘাটতির জেরে দাম বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ।

লকডাউনের শুরু থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের জোগান স্বাভাবিক রাখতে সক্রিয় রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার । বাংলার মুখ্যমন্ত্রী নিজে পোস্তা বাজারে গিয়ে খুলে দিয়ে এসেছিলেন পাইকারি জিনিসপত্রের দোকান । তিনি পুলিশকেও বারবার নির্দেশ দিয়েছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের গাড়ি যেন কোনওভাবেই না আটকানো হয় । কেন্দ্রের তরফেও একই নির্দেশিকা । কিন্তু বাস্তব বলছে সব সামগ্রিক জোগান ঠিক নেই । বাইরের রাজ্য থেকে আসা বহু জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে না ঠিক মতো । পাওয়া গেলেও কখনও তার দাম বাজার নির্ধারিত সর্বোচ্চ মূল্যের থেকে বেশি নেওয়া হচ্ছে । আবার মূল্য বৃদ্ধি হয়েছে চাল, ডাল, ভোজ্য তেল-সহ বেশ কিছু সামগ্রীর । এমনকী, বেড়েছে ডিমের দামও । সমস্যায় যেমন সাধারণ মানুষ, তেমনই দোকানদাররাও ।

চিন্তার ভাঁজ দোকানদারদের

তপন দত্ত নামে এক এক দোকানদার বলছিলেন, “গুঁড়ো দুধ, বিস্কুট সরবরাহ হচ্ছে না । বেশ কিছু ব্র্যান্ডের মশলাও জোগান ঠিক নেই । অথচ মানুষ সেগুলোই চাইছেন । আমরা দোকানদারি করতে পারছি না । কোনওরকমে এক বেলা দুই-তিন ঘণ্টার জন্য দোকান খুলছি । বাকি সময় বন্ধ রাখতে বাধ্য হচ্ছি । জিনিসপত্র না পেলে কী বিক্রি করব?"

মানব আচার্য নামে আর এক দোকানদার বলছিলেন, “বিস্কুটের জোগান নেই । তেল কম আসছে । চাল থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম বেড়েছে । ফলে দোকানদারি সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে ।"

কিন্তু কেন এই পরিস্থিতি?

মানবের কথায়, “সমস্যা হল ডিস্ট্রিবিউটরদের হয়ে যাঁরা জিনিসপত্র দোকানে সরবরাহ করতেন, তাঁরা কাজ করছেন না । ফলে কোনও জিনিস দোকানের সরবরাহ ঠিক মতো হচ্ছে না । যা জিনিসপত্র আনতে হচ্ছে নিজেদের গিয়ে । পাইকারি বাজার থেকে কিনে । সেই কারণেই দামের হেরফের হচ্ছে । জিনিসপত্রও পাওয়া যাচ্ছে না ।"

বিজয় সাউ নামে আর এক দোকানদারেরও একই মত । তিনি বলছেন, “সমস্যাটা জিনিসপত্র সরবরাহের ক্ষেত্রেই হয়েছে । যাঁরা সরবরাহের সঙ্গে জড়িত তাঁরা দোকানে জিনিস দিচ্ছেন না । ফলে যে সব দোকানে পুরোনো স্টক ছিল তাই দিয়ে চালাতে হচ্ছে । আর কিছু কিছু জিনিস পাইকারি বাজার থেকে কিনে আনতে হচ্ছে । ফলে সমস্যা বাড়ছে প্রতিনিয়তই ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.