কলকাতা, 2 এপ্রিল : আগামীকাল ব্রিগেডে নরেন্দ্র মোদির জনসভা। সেই সভার দিকে নজর রাখছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তর। ভিডিয়ো করা হবে পুরো সভার। সেখানে কোনও বক্তা নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন কি না তা খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি সুবিধা অ্যাপে আবেদন করার সময় প্রস্তাবিত যে খরচ BJP-র তরফে দেখানো হয়েছিল তার সঙ্গে সামঞ্জস্য আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি নজর রাখা হবে এই সভায় বাবুল সুপ্রিয়র বিতর্কিত গান বাজানো হচ্ছে কি না।
নির্বাচনী আচরণবিধি লাগু হওয়ার পর থেকেই কমিশনের হয়ে কাজ করছে বেশ কিছু টিম। কাজ করছে ফ্লাইং স্কয়্যাড, স্ট্যাটিক সার্ভিলেন্স টিম, ভিডিয়োগ্রাফি টিম। যে কোনও সভাতেই করা হচ্ছে ভিডিয়ো রেকর্ডিং। মিছিলের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিয়েছে কমিশন। সেই ভিডিয়ো পৌঁছে যাচ্ছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরে। সেখানে একটি নির্দিষ্ট টিম পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। আগামীকাল নরেন্দ্র মোদির সভাতেও থাকছে একই ব্যবস্থা। রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, "এই সভার পুরোটাই ভিডিয়ো রেকর্ডিং করা হবে। সেই ভিডিয়ো আমাদের দপ্তরে আসার পর দেখা হবে দু'টি বিষয়। প্রথমত কেউ আচরণবিধি ভেঙেছেন কি না, দ্বিতীয়ত খরচের যে বাজেট দেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে বাস্তবের কতখানি সামঞ্জস্য আছে।"
এদিকে বাবুল সুপ্রিয়র গান এখনও ছাড়পত্র পায়নি নির্বাচন কমিশনের। অর্থাৎ গানটি আপাতত প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না। বাবুল সুপ্রিয়র গানের কথায় আপত্তি আছে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের দপ্তরের। রাজ্য BJP-র তরফ সে তার গানের লিরিক্স নিয়ে আবেদন জমার পর সেটি খতিয়ে দেখে মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক এর দপ্তর এর নির্দিষ্ট কমিটি। সেই কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়, পালটাতে বলা হবে গানের কথা। সেই অনুযায়ী রাজ্য BJP-কে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হল, আপত্তিকর শব্দগুলি বাদ দিয়ে নতুন করে অনুমতি পত্র পাঠাক তারা। সেই চিঠি আসার পর বিবেচনা করে নেওয়া হবে সিদ্ধান্ত। আজ অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক সঞ্জয় বসু আরও বলেন, "গানের কথা পালটে নতুন করে যে আবেদন করতে বলা হয়েছিল, সেই আবেদন এখনও পর্যন্ত জমা পড়েনি কমিশনে। BJP-র তরফ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনও অ্যাপিল জমা পড়েনি। কালকের সভা তো বটেই অনুমতি না মেলা পর্যন্ত ওই গান কোথাওই বাজানো যাবে না।"