কলকাতা, 7 নভেম্বর: রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অথচ, কোন সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে, বয়স কত, এই সব বিষয়ে কিছুই লেখা হয়নি বেসরকারি এক হাসপাতাল থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে। তার উপর, ওই হাসপাতালে ব্লাডব্যাঙ্ক না থাকলেও, এই রোগীর জন্য রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাহায্য করা হয়নি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে হয়েছে অবহেলা। এমন সব অভিযোগের এক ঘটনায় বেসরকারি ওই হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)।
কমিশন জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা 67 বছর বয়সি এক প্রৌঢ়াকে গত বছরের 26 অক্টোবর কলকাতার তেঘরিয়ায় অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল। ওই হাসপাতালে গত বছরের 12 নভেম্বরে এই রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর পরিজনরা এই কমিশনে অভিযোগে জানিয়েছেন, বক্ষ বিশেষজ্ঞের অধীনে এই রোগীকে ভরতি নেওয়া উচিত ছিল। অথচ, এই রোগীকে মেডিসিনের চিকিৎসকের অধীনে ভরতি নেওয়া হয়েছিল। এই হাসপাতালে ব্লাডব্যাঙ্ক নেই। অথচ, রোগীর চিকিৎসার জন্য রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই হাসপাতালের তরফে কোনও সাহায্য করা হয়নি বলেও অভিযোগ। শুধুমাত্র এসব অভিযোগ নয়। কমিশন জানিয়েছে, এই রোগীর ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা ছিল না কখন এই রোগীর মৃত্যু হয়েছে, রোগীর বয়সও লেখা ছিল না। এই ঘটনায় বেসরকারি ওই হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পৃথক একটি অভিযোগের ঘটনায় মুকুন্দপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা জরিমানা করল রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এর পরে এই রোগীর ফার্স্ট চেকআপের সময় অন্য চিকিৎসক দেখেন। এই রোগীর ডায়াবেটিস ছিল। অভিযোগে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের ক্ষত শুকোয়নি, এই বিষয়টি ফার্স্ট চেকআপের সময় ওই চিকিৎসক নোটিস করেননি। এই রোগীকে আবার ভরতি করাতে হয়। দ্বিতীয়বার ভরতি করানোর সময় ওই হাসপাতালে এক লাখ 10 হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছিল। এই টাকা ব্যবস্থা করার জন্য রোগীকে ভরতি করার ক্ষেত্রে ছয় ঘণ্টা দেরি হয়েছিল। তার ফলে এই রোগীকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় 50 হাজার টাকা জরিমানা করেছে রাজ্যের এই কমিশন।
অন্য একটি পৃথক ঘটনায়, মুকুন্দপুরে অবস্থিত অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালকে 16 হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এই কমিশন। বেড ভাড়া হিসাবে অনেক বেশি টাকা এই হাসপাতাল নিয়েছিল বলে অভিযোগ জানানো হয় এই কমিশনে। ওই বেড ভাড়া থেকে 16 হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এদিকে, অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত এক রোগীর ক্ষেত্রে ও পজিটি়ভ গ্রুপের রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এই রোগীকে দেওয়া হয়েছে এ পজিটি়ভ গ্রুপের রক্ত। এই অভিযোগের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের মতামত চেয়েছে কমিশন। তার পরে এই অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে বলে জানানো হয়েছে।
ডেথ সার্টিফিকেটে ভুল, চিকিৎসায় অবহেলা; 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
রোগীর ডেথ সার্টিফিকেটে তাঁর মৃত্যুর সময়, রোগীর বয়স কিছুই লেখা নেই । রোগী ভরতি থাকার সময় তাঁর রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রেও সাহায্য করেনি বেসরকারি ওই হাসপাতাল । ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা ওই রোগীর মৃত্যুতে বেসরকারি ওই হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)।
কলকাতা, 7 নভেম্বর: রোগীর মৃত্যু হয়েছে। অথচ, কোন সময় তাঁর মৃত্যু হয়েছে, বয়স কত, এই সব বিষয়ে কিছুই লেখা হয়নি বেসরকারি এক হাসপাতাল থেকে দেওয়া ডেথ সার্টিফিকেটে। তার উপর, ওই হাসপাতালে ব্লাডব্যাঙ্ক না থাকলেও, এই রোগীর জন্য রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সাহায্য করা হয়নি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে হয়েছে অবহেলা। এমন সব অভিযোগের এক ঘটনায় বেসরকারি ওই হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)।
কমিশন জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা 67 বছর বয়সি এক প্রৌঢ়াকে গত বছরের 26 অক্টোবর কলকাতার তেঘরিয়ায় অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছিল। ওই হাসপাতালে গত বছরের 12 নভেম্বরে এই রোগীর মৃত্যু হয়। রোগীর পরিজনরা এই কমিশনে অভিযোগে জানিয়েছেন, বক্ষ বিশেষজ্ঞের অধীনে এই রোগীকে ভরতি নেওয়া উচিত ছিল। অথচ, এই রোগীকে মেডিসিনের চিকিৎসকের অধীনে ভরতি নেওয়া হয়েছিল। এই হাসপাতালে ব্লাডব্যাঙ্ক নেই। অথচ, রোগীর চিকিৎসার জন্য রক্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে এই হাসপাতালের তরফে কোনও সাহায্য করা হয়নি বলেও অভিযোগ। শুধুমাত্র এসব অভিযোগ নয়। কমিশন জানিয়েছে, এই রোগীর ডেথ সার্টিফিকেটে লেখা ছিল না কখন এই রোগীর মৃত্যু হয়েছে, রোগীর বয়সও লেখা ছিল না। এই ঘটনায় বেসরকারি ওই হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, পৃথক একটি অভিযোগের ঘটনায় মুকুন্দপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালকে 50 হাজার টাকা জরিমানা করল রাজ্যের এই স্বাস্থ্য কমিশন। কমিশন জানিয়েছে, হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছিল। এর পরে এই রোগীর ফার্স্ট চেকআপের সময় অন্য চিকিৎসক দেখেন। এই রোগীর ডায়াবেটিস ছিল। অভিযোগে জানানো হয়েছে, অস্ত্রোপচারের ক্ষত শুকোয়নি, এই বিষয়টি ফার্স্ট চেকআপের সময় ওই চিকিৎসক নোটিস করেননি। এই রোগীকে আবার ভরতি করাতে হয়। দ্বিতীয়বার ভরতি করানোর সময় ওই হাসপাতালে এক লাখ 10 হাজার টাকা জমা দিতে হয়েছিল। এই টাকা ব্যবস্থা করার জন্য রোগীকে ভরতি করার ক্ষেত্রে ছয় ঘণ্টা দেরি হয়েছিল। তার ফলে এই রোগীকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনায় 50 হাজার টাকা জরিমানা করেছে রাজ্যের এই কমিশন।
অন্য একটি পৃথক ঘটনায়, মুকুন্দপুরে অবস্থিত অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালকে 16 হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে এই কমিশন। বেড ভাড়া হিসাবে অনেক বেশি টাকা এই হাসপাতাল নিয়েছিল বলে অভিযোগ জানানো হয় এই কমিশনে। ওই বেড ভাড়া থেকে 16 হাজার টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। এদিকে, অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত এক রোগীর ক্ষেত্রে ও পজিটি়ভ গ্রুপের রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন ছিল। এই রোগীকে দেওয়া হয়েছে এ পজিটি়ভ গ্রুপের রক্ত। এই অভিযোগের ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞের মতামত চেয়েছে কমিশন। তার পরে এই অভিযোগের বিষয়টি নিষ্পত্তি হবে বলে জানানো হয়েছে।