ETV Bharat / city

কেন্দ্রের নির্দেশিকা সুস্পষ্ট নয়, অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর - প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

আজ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "কেন্দ্র আচমকা নির্দেশিকা জারি করছে ৷ আমার নির্দেশিকা মানতে কোনও অসুবিধা নেই কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে অন্তত আলোচনা করা উচিত ৷ রাজ্যগুলির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া উচিত কেন্দ্রের ৷’’

CM Mamata Banerjee
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
author img

By

Published : Apr 27, 2020, 7:00 PM IST

Updated : Apr 27, 2020, 10:16 PM IST

কলকাতা, 27 এপ্রিল: কেন্দ্রের নির্দেশিকা সুস্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র বলছে লকডাউন মানতে হবে আবার সব দোকান খোলার নির্দেশও দিচ্ছে ৷ লকডাউন ও দোকান খোলা একসঙ্গে চলতে পারে না ৷ দোকান খোলা রাখলে লোকজনকে কীভাবে আটকাব ? হয় লকডাউন হোক নয়তো সবকিছু পুরোপুরি খুলে দেওয়া হোক ৷’’

কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র আচমকা নির্দেশিকা জারি করছে ৷ আমার নির্দেশিকা মানতে কোনও অসুবিধা নেই কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে অন্তত আলোচনা করা উচিত ৷ রাজ্যগুলির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া উচিত কেন্দ্রের ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্রের সব নির্দেশিকা মানতে রাজি আমরা ৷ তবে সেটা যেন সুস্পষ্ট হয় ৷ তবেই সেই নির্দেশিকাগুলি মানা সম্ভব ৷’’

আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন । সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তিনি বলেন, দু'দিন রাজ্যগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে ৷ পরশু লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷

তিনি জানান, রাজ্য কোরোনা নিয়ন্ত্রণে একটি তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জ়োনে এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ৷ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই জ়োনগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে ৷ সেই অনুযায়ী নিয়ম শিথিল করা হবে ৷ রেড জ়োনে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না ৷ রেড জ়োন অরেঞ্জ জ়োনে পরিণত হলে সেখানে সামান্য কিছু ছাড় দেওয়া হবে ৷ যে গ্রামগুলি গ্রিন জ়োন হিসেবে চিহ্নিত, সেখানে অরেঞ্জ জ়োনের তুলনায় সামান্য বেশি ছাড় দেওয়া হবে ৷ ’’

রাজ্যের গ্রিন জ়োনগুলিতে নিয়ম শিথিল করা হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় আন্দাজ করা যাচ্ছে যে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন চলতে পারে ৷ লকডাউন চালু করার আগেও আমাদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি ৷ এখনও কী হবে জানি না ৷ মানুষের তো টাকারও প্রয়োজন ৷কৃষি, শিল্প এই ক্ষেত্রগুলি রয়েছে, সেখানে কাজ চালু করতে হবে ৷ তবে 21 মে অবধি আমরা সাবধানে থাকব ৷ শিথিল কোথায় করলে ক্ষতি হবে না সেটাও ভাবতে হবে ৷ 100 দিনের কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না ৷ কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না ৷’’

রাজ্যে কোরোনা নিয়ন্ত্রণে সকলে ব্যস্ত হওয়ায় বাকি কাজ প্রভাবিত হচ্ছে ৷ তাই সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে রাজ্যের তরফে তৈরি করা হল একটি ম্যানেজমেন্ট টিমের ৷ এর চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে অমিত মিত্রকে ৷ এছাড়া রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজীব সিনহারা । এই দলটিই এবার থেকে রাজ্যের যাবতীয় কোরোনা সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি করবে ৷ সময় অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবে তারা ৷ লকডাউন নিয়ে কেন্দ্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেও রাজ্যের তরফে 21 মে অবধি তালিকা অনুযায়ী কড়াকড়ি বজায় রাখা হবে ৷

কেন্দ্রের DA স্থগিত রাখা ও বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি প্রকল্পে অকারণে টাকা না ঢেলে সেই টাকাগুলি রাজ্যকে দেওয়া হোক ৷ কেন্দ্রের উচিত 100 দিনের কর্মীদের অন্তত একমাসের বেতন দেওয়া কারণ তাদের হাতে এক টাকাও নেই ৷ MSME, অসংগঠিত ক্ষেত্রে ও ক্ষুদ্র শিল্পে আর্থিক অনুদান দেওয়া হোক ৷ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে 10 হাজার টাকা করে দেওয়া হোক ৷ ’’

কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি চারটি বিষয়ের উপর জোর দেন ৷ বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ও অন্তর্দেশীয় বিমান, ট্রেন ও আন্তঃরাজ্য পরিবহন ব্যবস্থা এখনই চালু করা উচিত নয় ৷ খুব প্রয়োজন হলে তবেই আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হোক ৷ ভিন রাজ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই যেন স্ক্রিনিং করা হয় ৷’’’’

কলকাতা, 27 এপ্রিল: কেন্দ্রের নির্দেশিকা সুস্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আজ নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র বলছে লকডাউন মানতে হবে আবার সব দোকান খোলার নির্দেশও দিচ্ছে ৷ লকডাউন ও দোকান খোলা একসঙ্গে চলতে পারে না ৷ দোকান খোলা রাখলে লোকজনকে কীভাবে আটকাব ? হয় লকডাউন হোক নয়তো সবকিছু পুরোপুরি খুলে দেওয়া হোক ৷’’

কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কেন্দ্র আচমকা নির্দেশিকা জারি করছে ৷ আমার নির্দেশিকা মানতে কোনও অসুবিধা নেই কিন্তু রাজ্যের সঙ্গে অন্তত আলোচনা করা উচিত ৷ রাজ্যগুলির অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া উচিত কেন্দ্রের ৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কেন্দ্রের সব নির্দেশিকা মানতে রাজি আমরা ৷ তবে সেটা যেন সুস্পষ্ট হয় ৷ তবেই সেই নির্দেশিকাগুলি মানা সম্ভব ৷’’

আজ সকালেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন । সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ৷ তিনি বলেন, দু'দিন রাজ্যগুলি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে ৷ পরশু লকডাউন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ৷

তিনি জানান, রাজ্য কোরোনা নিয়ন্ত্রণে একটি তালিকা তৈরি করেছে, যেখানে রেড, অরেঞ্জ ও গ্রিন জ়োনে এলাকা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে ৷ বলেন, ‘‘নির্দিষ্ট সময় অন্তর এই জ়োনগুলি নিয়ে পর্যালোচনা করা হবে ৷ সেই অনুযায়ী নিয়ম শিথিল করা হবে ৷ রেড জ়োনে কোনও ছাড় দেওয়া হবে না ৷ রেড জ়োন অরেঞ্জ জ়োনে পরিণত হলে সেখানে সামান্য কিছু ছাড় দেওয়া হবে ৷ যে গ্রামগুলি গ্রিন জ়োন হিসেবে চিহ্নিত, সেখানে অরেঞ্জ জ়োনের তুলনায় সামান্য বেশি ছাড় দেওয়া হবে ৷ ’’

রাজ্যের গ্রিন জ়োনগুলিতে নিয়ম শিথিল করা হয়েছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কথায় আন্দাজ করা যাচ্ছে যে দীর্ঘ সময় ধরে লকডাউন চলতে পারে ৷ লকডাউন চালু করার আগেও আমাদের সঙ্গে কথা বলা হয়নি ৷ এখনও কী হবে জানি না ৷ মানুষের তো টাকারও প্রয়োজন ৷কৃষি, শিল্প এই ক্ষেত্রগুলি রয়েছে, সেখানে কাজ চালু করতে হবে ৷ তবে 21 মে অবধি আমরা সাবধানে থাকব ৷ শিথিল কোথায় করলে ক্ষতি হবে না সেটাও ভাবতে হবে ৷ 100 দিনের কর্মী পাওয়া যাচ্ছে না ৷ কেন্দ্র টাকা দিচ্ছে না ৷’’

রাজ্যে কোরোনা নিয়ন্ত্রণে সকলে ব্যস্ত হওয়ায় বাকি কাজ প্রভাবিত হচ্ছে ৷ তাই সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে রাজ্যের তরফে তৈরি করা হল একটি ম্যানেজমেন্ট টিমের ৷ এর চেয়ারম্যান পদে বসানো হয়েছে অমিত মিত্রকে ৷ এছাড়া রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রাজীব সিনহারা । এই দলটিই এবার থেকে রাজ্যের যাবতীয় কোরোনা সংক্রান্ত বিষয়ে নজরদারি করবে ৷ সময় অনুযায়ী মুখ্যমন্ত্রীকে রিপোর্ট দেবে তারা ৷ লকডাউন নিয়ে কেন্দ্র চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলেও রাজ্যের তরফে 21 মে অবধি তালিকা অনুযায়ী কড়াকড়ি বজায় রাখা হবে ৷

কেন্দ্রের DA স্থগিত রাখা ও বেতন কেটে নেওয়ার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘কয়েকটি প্রকল্পে অকারণে টাকা না ঢেলে সেই টাকাগুলি রাজ্যকে দেওয়া হোক ৷ কেন্দ্রের উচিত 100 দিনের কর্মীদের অন্তত একমাসের বেতন দেওয়া কারণ তাদের হাতে এক টাকাও নেই ৷ MSME, অসংগঠিত ক্ষেত্রে ও ক্ষুদ্র শিল্পে আর্থিক অনুদান দেওয়া হোক ৷ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিতে 10 হাজার টাকা করে দেওয়া হোক ৷ ’’

কোরোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনি চারটি বিষয়ের উপর জোর দেন ৷ বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক ও অন্তর্দেশীয় বিমান, ট্রেন ও আন্তঃরাজ্য পরিবহন ব্যবস্থা এখনই চালু করা উচিত নয় ৷ খুব প্রয়োজন হলে তবেই আন্তঃরাজ্য যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হোক ৷ ভিন রাজ্যে যাওয়ার আগে অবশ্যই যেন স্ক্রিনিং করা হয় ৷’’’’

Last Updated : Apr 27, 2020, 10:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.