কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি: পেনশন বন্ধের প্রতিবাদে সরব কলকাতা পুরসভার শ্রমিক কর্মচারী ইঞ্জিনিয়রদের যৌথ সংগঠন (protest at kmc)। মঙ্গলবার লাইসেন্স গেটের সামনে পেনশন ও পে কমিশনের বর্ধিত টাকা মেটানের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় (pensioner protest) কেএমসি জয়েন্ট ফোরাম অফ ট্রেড ইউনিয়নের বাম শ্রমিক, কর্মচারী ও ইঞ্জিনিয়ররা । এই বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন রতন ভট্টাচার্য, অমিতাভ ভট্টাচার্য, অনুতোষ সরকার, মানস সিনহা-সহ আরও অনেকে । এদিন অর্থ বিভাগের আধিকারিক অর্ক দেবভাদুড়ির ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা । সমস্যার সমাধান না হলে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মেয়রের কাছে ডেপুটেশন দেবেন । প্রয়োজনে পুনরায় বিক্ষোভ দেখাবে এই কর্মী সংগঠন ।
আরও পড়ুন : KMC Pension Controversy : ‘ভুয়ো নোটিশ’, কর্মীদের পেনশন বন্ধ না হওয়ার আশ্বাস ফিরহাদের
সম্প্রতি পুরসভার পেনশন সেলে (pension cell notice) লাগানো পেনশন বন্ধের একটি নোটিশকে কেন্দ্র করে বিতর্কের শুরু । এই বিতর্কের জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী দলগুলি। এই নোটিশের প্রতিবাদেই পুরসভার কেন্দ্রীয় ভবনের অভ্যন্তরে প্রতিবাদে সামিল হলেন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন । পুরসভার অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন এই বিক্ষোভে । এই বিক্ষোভ সমাবেশে তাঁরা জানান, বেশ কয়েক মাস অতিক্রান্ত হলেও এখনও পেনশন পাননি । সংগঠনের নেতা অমিতাভ ভট্টাচার্যর দাবি করেন, কর্মীদের রাজ্য 40% টাকা দেয়, পুরসভা 60% টাকা দিয়ে থাকে। সেই টাকা পুরসভা দিয়েছে কিনা তা স্পষ্ট করে জানান মেয়র ফিরহাদ হাকিম । বিকাশ ভট্টাচার্যের সময়কালে 500 কোটি টাকা ফিক্সট ডিপোজিট ছিল কলকাতা পুরসভার । সেই টাকা কি করল এই বোর্ড? হাজার কোটির দেনার দায় ডুবল কিভাবে! অবিলম্বে সেপ্টেম্বরে থেকে অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন-সহ সমস্ত সুযোগ সুবিধা চালু করার দাবি জানান তিনি ।
এই প্রসঙ্গেই এদিন অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী তারকনাথ দে জানান, বেশ কয়েকমাস হয়েছেন তিনি অবসর নিয়েছেন । বারেবারে অবসর ভাতা চালু করার দাবি করলেও তাকে বিভাগ থেকে জানানো হয় টাকা এই মুহূর্তে নেই। টাকা এলে তাঁকে অবসর ভাতা দিয়ে দেওয়া হবে। আশ্বাসের বেশ কয়েক মাস পার হয়ে গেলেও এক টাকাও তিনি পাননি । এক পেনশনভোগীর দাবি, এরিয়ার মেটানো হচ্ছে না ৷ ফলে সংসার চালাতে অবসর জীবনে যথেষ্ট সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।