ব্যারাকপুর, 2 অক্টোবর: শরীরিক অসুস্থার কারণে ব্যারাকপুরের গান্ধি ঘাটে গান্ধী জয়ন্তীর অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারলেন না রাজ্যপাল লা গণেশান। তবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। একইভাবে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট জনেরা।
রবিবার সকালে ব্যারাকপুরের গান্ধি ঘাটে পৌঁছে যান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী ও রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu pays homage at Gandhi Ghat in Barrackpore)। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভায় শাসক দলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে স্মরণ করা হয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী এবং ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার অলোক রাজোরিয়া। সেখানেই ব্রাত্য বসু বার্তা দেন, গান্ধীজীর অহিংসার পথ আজকের দিনে ভীষণভাবে গুরুত্বপূর্ণ। যেভাবে সমাজ থেকে শুরু করে সব ক্ষেত্রে অসহিষ্ণুতা বাড়ছে গান্ধীজীর জীবনচর্যা থেকে সহিষ্ণুতার শিক্ষা নেওয়া উচিত আমাদের সকলের।
আরও পড়ুন: অসুস্থ রাজ্যপাল, জাতির জনককে শ্রদ্ধা জানাতে গান্ধী ঘাটে ব্রাত্য-নির্মল
একইভাবে রাজ্য বিধানসভায় শাসকদলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ এই দিনটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘‘মহাত্মা গান্ধী যে বার্তা দিয়েছিলেন সেই বার্তা কে কার্যকরী রূপ দিতে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বর্তমান সমাজে আমরা সকলে ধৈর্য্যহীন হয়ে পড়েছি, আমরা নিজেদের লক্ষ্য থেকে ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছি, সেখান থেকে পুনরায় নিজেদের ধৈর্য্য ফিরিয়ে এনে সঠিক লক্ষ্যে এগোতে হবে ।‘‘ নির্মল বাবু আরও জানান, গান্ধীজী যে স্বরাজের ডাক দিয়েছিলেন সেই স্বরাজ সেদিন প্রতিষ্ঠিত হবে, যেদিন সমাজের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকে নিজের অধিকার ফিরে পাবে।সেই স্বরাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সকলেই কাজ করছি। সেই কাজ আমাদের চালিয়ে যেতে হবে নিরলস ভাবে।