কলকাতা, 27 অগস্ট: নিয়োগ দুর্নীতিতে যতই বিস্তৃত হচ্ছে সিবিআইয়ের জাল, তাতেই উঠে আসছে একের পর চাঞ্চল্যকর তথ্য (SSC Recruitment Scam) ৷ শুক্রবার নিউটাউন থেকে গ্রেফতার হয়েছেন প্রসন্ন রায় ৷ তিনি সম্পর্কে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নি-জামাই । তাঁর অফিসে তল্লাশি করে মিলেছে একের পর এক তথ্য ৷ রংমিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ের হোটেল মালিক । প্রসন্নর এই উল্কাগতির উত্থানেই কার্যত চোখ কপালে উঠেছে গোয়েন্দাদের ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত একাধিক প্রভাবশালী ৷ শুক্রবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভাগ্নি-জামাই প্রসন্ন রায় ৷ এই প্রসন্ন রায়ের উত্থান কাহিনীও তাক লাগানোর মতো ৷ সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ এক সময়ে রংমিস্ত্রি ও ঠিকাদার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন প্রসন্ন ৷ প্রাক্তন আত্মীয়ের বিপুল সম্পত্তি দেখেই চোখ কপালে উঠেছে সিবিআই আধিকারিকদের ৷ জানা গিয়েছে, শুধু মাত্র নিউটাউন এবং রাজারহাট এলাকাতেই রয়েছে 5টি বাগান বাড়ি ৷ সবকটিও প্রসন্ন রায়ের নামে ৷ শুধু তাই নয়, উত্তরাখন্ড, পুরি-সহ একাধিক পর্যটন এলাকায় হোটেলের হদিশ মিলেছে ৷ শুধু তাই নয়, তাঁর সম্পত্তি রয়েছে দুবাইতেও । রংমিস্ত্রি থেকে দুবাইয়ের হোটেল মালিক প্রসন্ন রায়ের ধুমকেতুর মতো উত্থানেই সিবিআইয়ের চক্ষু চড়কগাছ ৷
আরও পড়ুন: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের জালে আরও লিংকম্যান
প্রাথমিক ভাবে সিবিআইয়ের অনুমান, সমস্ত সম্পত্তির মালিক হয়তো ‘বকলমে’ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ৷ যেহেতু প্রসন্ন রায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর আত্মীয় ৷ তাছাড়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘মিডলম্যান’ প্রসন্নর যোগাযোগ ছিল বেশ ভালো ৷ উল্লেখ্য, শিক্ষা দুর্নীতি কাণ্ডে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তার সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সম্পত্তির হিসাব দেখে চমকে উঠেছিল রাজ্যবাসী। আজ সিবিআই তরফে প্রসন্ন রায়কে আলিপুর আদালতে তোলা হবে এবং নিজেদের হেফাজতে যে আবেদন জানানো হবে।
কে এই প্রসন্ন রায় ?
একাধিক চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে ৷ তাঁকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, মূলত যাদের কাছ থেকে প্রসন্ন রায় মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন সেই টাকার লভ্যাংশ একাধিক ব্যক্তিদের অ্যাকাউন্টে গিয়েছিল । তদন্তে জানা গিয়েছে, ধৃত প্রদীপ সিংয়ের নিউটাউনের আইটি অফিসে একাধিকবার দেখা গিয়েছে প্রসন্নকে । এছাড়াও প্রদীপের মোবাইল ফোনের কল লিস্টে প্রসন্নের নম্বরও পেয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।