কলকাতা, 15 জুলাই: কয়লা পাচার কাণ্ডে (Coal Scam Case) ইসিএল (ECL)-এর আরও এক প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজারকে গ্রেফতার করল সিবিআই (CBI) ৷ এর আগে ইসিএল-এর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা মোট সাতজনকে গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়ন্দা সংস্থা (Central Bureau of Investigation) ৷ শুক্রবারের গ্রেফতারির পর ধৃতের সেই সংখ্যা বেড়ে হল আট ৷ এদিন সকালে কলকাতার নিজাম প্যালেসে, সিবিআই-এর স্থানীয় কার্যালয়ে ইসিএল-এর প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠায় সিবিআই ৷ চলে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। তারপরই তাঁকে গ্রেফতার করা হয় ৷
সিবিআই সূত্রে খবর, 2019 সাল থেকে 2020 সাল পর্যন্ত বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, রানিগঞ্জ, আসানসোল-সহ বিভিন্ন জায়গায় কয়লা খাদানগুলির দায়িত্বে ছিলেন এই সুভাষ মুখোপাধ্যায় ৷ এর আগে তাঁর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই ৷ সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথি ৷ পাশাপাশি, এর আগে কয়লা মাফিয়া অনুপ মাঝিকেও একাধিকবার কলকাতার সিবিআই-এর দফতরে ডেকে পাঠিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় ৷ সেই জিজ্ঞাসাবাদেই সুভাষের নামে উঠে আসে ৷
আরও পড়ুন: Anup Majhi: আদালতের রক্ষাকবচ সত্ত্বেও সম্পত্তি বাজেয়াপ্তের সিদ্ধান্ত কেন, আদালতে প্রশ্ন অনুপ মাঝির
নিজাম প্যালেস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন যাবতীয় তথ্যপ্রমাণ হাতে নিয়েই সুভাষ মুখোপাধ্যায়কে টানা জেরা করা হয় ৷ তাঁর কথায়, বহু অসঙ্গতি ধরা পড়ে ৷ অনেক প্রশ্নেরই সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি ৷ সেই কারণেই তাঁকে শেষমেশ গ্রেফতার করা হয় ৷ শনিবার তাঁকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে পেশ করা হবে ৷ কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ধৃতকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন জানাবেন ৷
এর আগে নিজাম প্যালেসেই ইসিএল-এর সঙ্গে সম্পর্ক থাকা মোট সাতজনকে তলব করেছিল সিবিআই ৷ এঁদের মধ্যে সুশান্ত বন্দোপাধ্যায়, অভিজিৎ মল্লিক ও তন্ময় দাস নামে তিন ব্যক্তি ইসিএল-এর প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার ৷ বাকি চারজনের মধ্যে দু'জন সংস্থায় কর্মরত আধিকারিক এবং বাকি দু'জন নিরাপত্তারক্ষী ৷