কলকাতা, 4 জুন : অতিমারি পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক নয় পঠন-পাঠন ৷ তবু নেওয়া হচ্ছে বর্ধিত ফি ৷ এই মর্মে কলকাতা হাইকোর্টে ফের দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা । মামলা করেছেন ধীলন সেনগুপ্ত নামে এক আইনজীবী । আজ বিষয়টি বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলা ওঠে ৷
ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, "এই সংক্রান্ত একটি মামলা গত বছর দীর্ঘদিন ধরে শুনানি হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে । অতিমারি পরিস্থিতিতে ফি সংক্রান্ত ব্যাপারে একাধিক নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট । গতবছর মামলায় যে 145 টি স্কুল যুক্ত ছিল, তাদের সবাইকে নতুন মামলার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইনজীবীকে । পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবীকে জানিয়েছে, যাতে বিষয়টি সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে ৷ তার জন্য দু-তিনটি সংবাদমাধ্যমের বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করতে হবে । আগামী 18 জুন মামলাটির পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ।
গত বছর 13 অক্টোবর বেসরকারি স্কুলগুলোকে 2019-20 শিক্ষাবর্ষে ফি নেওয়ার ক্ষেত্রে অন্তত কুড়ি শতাংশ ছাড় দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মৌসুমী ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ । আদালতের নির্দেশে বলা হয়, করোনা অতিমারি পরিস্থিতির কারণে কোনরকম ল্যাবরেটরি , ক্রীড়া সংক্রান্ত, পিকনিক সংক্রান্ত ফি এবছর নেওয়া যাবে না । স্কুলগুলো মোট পাঁচ শতাংশের বেশি লাভ রাখতে পারবে না অতিমারি পরিস্থিতিতে ।
আরও পড়ুন : Narada Scam : ব্যাঙ্কশাল কোর্টে নিয়মমাফিক হাজিরা নারদ কাণ্ডে অভিযুক্ত চার নেতা-মন্ত্রীর
মামলাকারীর দাবি, চলতি বছরেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি ৷ ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন চলছে পুরোপুরি অনলাইনে । কিন্তু বেশিরভাগ স্কুল বর্ধিত হারে ফি চাইছে ছাত্র-ছাত্রীদের থেকে ।