কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: 2016 সালের নিয়োগে ফের একাধিক অভিযোগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল 32 জন চাকরিপ্রার্থী (SSC Recruitment Corruption Case)। একাদশ-দ্বাদশে বিভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তারা। ওয়েটিং লিস্টে নামও ছিল তাদের। চাকরিপ্রার্থীদের প্রধান অভিযোগ ছিল, আইন মেনে সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। পাশাপাশি শূন্যপদ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কাট অফ মার্কস জানানো হয়নি। ফলে কে কত নম্বর পেয়েছে তা জানা যায়নি। এমন কিছু চাকুরিপ্রার্থীর নাম তালিকায় স্থান পেয়েছে যারা কিনা পরীক্ষাতেই বসেননি। মামলাকারীদের থেকেও যারা কম নম্বর পেয়েছেন তাদের নিয়োগ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানি চলাকালীন মামলাকরীর পক্ষে আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী আদালতকে জানান রুল 12-এর(6,7,8)বলা আছে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি স্থান ভিত্তিতে কে কত নম্বর পেয়েছেন, তার পূর্ণ তথ্য দিয়ে তালিকা প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু, স্কুল সার্ভিস কমিশন শুধুমাত্র একটি তালিকা প্রকাশ করেছে যেখানে কারও প্রাপ্ত নম্বর নেই।
আরও পড়ুন: চিড়িয়াখানায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ঢুকতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল, আদালতে অভিযোগ আইনজীবীর
উল্লেখ্য, 2016 সালের নিয়োগ সংক্রান্ত আলাদা একটি মামলায় বিচারপতি শেখর ববি শরাফ স্কুল সার্ভিস কমিশনকে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশও স্কুল সার্ভিস কমিশন যথাযথভাবে পালন করেনি বলেও মামলাকারীদের তরফে উল্লেখ করা হয়। যদিও, স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সুতনু পাত্র মামলাকারীরা দেরি করে আদালতে এসেছেন বলে উল্লেখ করেন। পাশাপাশি তারা প্রত্যেকটি অভিযোগের ভিত্তিতে হলফনামা জমা দিতে প্রস্তুত বলেও জানান। স্কুল সার্ভিস কমিশনকে এই সমস্ত ব্যাপারে হলফনামা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 22 মার্চ মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।