কলকাতা, 2 অগস্ট : পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার একটি জবরদখল মুক্ত করার মামলায় পুলিশকে ভর্ৎসনা করলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা । বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, "রাজ্যের পুলিশ কাজ করতে না পারলে আধাসেনা, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাবো ।"
অন্যদিকে পুলিশের বক্তব্য, পাঁশকুড়ায় হাইকোর্ট নির্দেশ কার্যকর করতে বাধা দিচ্ছেন রাজনৈতিক প্রভাবশালীরা । স্থানীয় মহিলা ও শিশুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে । জবরদখল সরানোর নির্দেশ মান্যতা পাচ্ছে না । পুলিশ এলাকা থেকে পালিয়ে আসছে ৷
আদালত সূত্রে খবর, পুলিশের কথায় আদালত স্তম্ভিত এবং বিস্মিত ! বিচারপতি পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশ সুপারকে (East Medinipur SP) তলব করেছেন ৷ আগামী 10 অগস্ট বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে হাজির হতে হবে তাঁকে ।
শেখ গোলাম মঈনুদ্দিন তাঁর বাড়ির সামনে জবরদখল করে আইএনটিটিইউসি (INTTUC) অফিস বানানোর অভিযোগে হাইকোর্টে মামলা করেন । তমলুক মহকুমার কোলাঘাট-মেদিনীপুর সড়কের পাশে দক্ষিণ গোপালপুর মৌজায় তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) শ্রমিক সংগঠন ওই পার্টি অফিস বানিয়েছে বলে অভিযোগ ৷ আদালত সূত্রে খবর, পুলিশ-প্রশাসনের রিপোর্টে স্পষ্ট হয় পূর্ত দফতরের এবং মামলাকারীর কিছু জায়গা জবরদখল করে ওই পার্টি অফিস বানানো হয়েছে ।
এর পর আদালত পাঁশকুড়ার পুলিশকে জবরদখল সরানোর নির্দেশ দেয় । সেই নির্দেশ কার্যকর করতে যান পূর্ত দফতরের অধিকারিকরা । সঙ্গে যায় পুলিশ । সেখানেই রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মদতে এলাকার মহিলা ও শিশুদের ঢাল করে জবরদখল উচ্ছেদে বাধা দেওয়া হয় বলে জানানো হয় আদালতে । জমায়েত ও হুমকি শুনে এলাকা থেকে পালিয়ে আসে পুলিশ । হাইকোর্টের নির্দেশ মতো জবরদখল মুক্ত না হওয়ায়, পূর্ব মেদিনীপুর পুলিশের কাজের কড়া সমালোচনা করেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা ।
আদালত জানিয়েছে, 10 অগাস্টের মধ্যে জবরদখল মুক্ত করতে পারলে পুলিশ হাইকোর্টের তোপ থেকে রেহাই পেতে পারে । গত মার্চেই পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের জবরদখল মুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট । কিন্তু এখনও সেই কাজ না করতে পারায় এদিন ক্ষুব্ধ বিচারপতি পুলিশ সুপারকে ডেকে পাঠিয়েছেন আদালতে ।