ETV Bharat / city

Primary Teachers Recruitment Scam: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের - Supreme Court

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Primary Teachers Recruitment Scam) অভিযোগ উঠেছে ৷ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে সিবিআই (CBI) তদন্ত করছে ৷ বৃহস্পতিবার এই নিয়ে একটি মামলার শুনানি হয় ডিভিশন বেঞ্চে ৷ এদিন আদালত সিবিআইয়ের কাছ থেকে তদন্তের অগ্রগতি রিপোর্ট চেয়েছে ৷

calcutta-high-court-seeks-investigation-progress-report-from-cbi-on-primary-teachers-recruitment-scam
Primary Teachers Recruitment Scam: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ মামলায় সিবিআই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের
author img

By

Published : Jul 14, 2022, 4:16 PM IST

Updated : Jul 14, 2022, 5:31 PM IST

কলকাতা, 14 জুলাই : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্ত নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court Seeks Investigation Progress Report From CBI on Primary Teachers Recruitment Scam) ৷ মঙ্গলবারের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা করতে হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে । বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে সওয়ালকারী আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যকে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনারা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কী তদন্ত করছেন, তা ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায় ।’’

এর উত্তরে বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে সিবিআই সিট গঠন করেছে । আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে ।" তারপরই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সিবিআইকে মঙ্গলবারের মধ্যে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দাখিল করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন ।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Teachers Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে জানান, চাকরি পাওয়ার চার বছর পর 269 জনকে বরখাস্ত করা হল তাঁদের মামলায় কোনও পক্ষ না করেই । এটা সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ । তিনি বলেন, ‘‘এরা প্রত্যেকেই সরকারি কর্মচারী । এঁদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তে সামগ্রিক সমাজিক প্রভাব তৈরি হবে । সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশ আছে যে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাউকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যায় না ।’’

তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষের গলদ ছিল বলে নতুন করে 273 জনেক নিয়োগ করা হয় । সেটাকে নতুন প্যানেল বলা যায় না । এর জন্য কারও চাকরি কেড়েও নেওয়া যায় না । যাঁরা বোর্ডের কাছে এসেছিলেন এবং মামলা করেছিল আদালতে তাঁদেরই নম্বর দেওয়া হয়েছিল । বাকিরা আসেনি । হাইকোর্ট নির্দেশে পরিষ্কার জানিয়েছিল, যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁদের জন্যই নম্বর দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করতে হবে । যখন এঁরা সাফল্য পেয়েছেন, তারপর চার বছর পর মামলাকারীদের আর্বিভাব ঘটেছে ।

তখন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানতে চান সিঙ্গেল বেঞ্চে কী দাবি নিয়ে মামলাটা হয়েছিল ?

অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলাকারীদের দাবি ছিল যে সরকারি চাকরি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে । এবং এর তদন্ত একমাত্র সিবিআই করতে পারবে । এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী বোর্ডের সভাপতিকে নিয়োগ করে রাজ্য ।’’

তিনি আরও জানান, সভাপতি অপসারিত হতে পারেন কোর্ট দ্বারা যদি তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ প্রমাণিত হন । বিচারপতি যদি মনে করেন আনফিট বোর্ডের সভাপতি হিসাবে, তাহলে অপসারণ করা যেতে পারে । এই মামলায় তদন্ত এখনও কিছুই হয়নি । তার আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়ে গিয়েছে ।

মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী হিসেবে জয়দীপ কর শুনানিতে সওয়াল করেন ৷ তাঁকে অপসারণের ব্যাপারে তাঁর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, ‘‘নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি চাওয়ার পর সেগুলোকে ফরেনসিকে যেভাবে পাঠানো হয়েছে, তা আইনবিরুদ্ধ ৷ আদালতের উচিত ছিল এই ব্যাপারে পর্ষদকে হলফনামা দিতে বলা । আদালত নথি বাতিল করতে বলার নির্দেশ দিতে পারতো । কিন্তু তার জন্য সভাপতিকে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া যায় কি ? বোর্ডের বক্তব্য, কিছু অনিয়ম হতে পারে ৷ কিন্তু তার মানে বেআইনি কাজ হয়েছে, এটা সিঙ্গেল বেঞ্চ কিভাবে ঠিক করল ?’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বোর্ডের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সব ব্যাপারে । এবং রাজ্য তাতে সম্মতি দিয়েছিল ৷ ফলে পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল আইনসঙ্গত । ফলে বেআইনি ব্যাপারে প্রশ্নই ওঠে না । তাহলে সভাপতিকে কিভাবে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয় ?"

পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান , 2014 সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন 20 লক্ষ পরীক্ষার্থী ৷ তার মধ্যে 125 লক্ষ পাস করেছিল । পরে বোর্ড যে সমস্ত প্রার্থীর 1 নম্বর ঘাটতি রয়েছে, আবার ভুল প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাঁদের আবেদন নেয় । আবেদন করেন 2887 জন । এঁদের মধ্যে থেকে 273 জনকে পাওয়া যায়, যাঁদের প্রশিক্ষণ আছে এবং 1 নম্বরও কম রয়েছে । তাঁদের 1 নম্বর দেওয়া হয় । এর মধ্যে দুর্নীতি কোথায় ?

এদিন মামলার শুনানি এরপরই শেষ হয় । আগামিকাল ফের শুনানি হবে এই মামলার ।

আরও পড়ুন : TET Case: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা গ্রহণযোগ্য, রাজ্যের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

কলকাতা, 14 জুলাই : প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত তদন্ত নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চাইল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court Seeks Investigation Progress Report From CBI on Primary Teachers Recruitment Scam) ৷ মঙ্গলবারের মধ্যে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা করতে হবে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে । বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে সিবিআইয়ের (CBI) তরফে সওয়ালকারী আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্যকে বিচারপতি বলেন, ‘‘আপনারা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে কী তদন্ত করছেন, তা ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায় ।’’

এর উত্তরে বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, "সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে সিবিআই সিট গঠন করেছে । আদালতের নজরদারিতে তদন্ত চলছে ।" তারপরই বিচারপতি সুব্রত তালুকদার সিবিআইকে মঙ্গলবারের মধ্যে মুখবন্ধ খামে রিপোর্ট দাখিল করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছেন ।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Teachers Recruitment Scam) সংক্রান্ত মামলায় এদিন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় ডিভিশন বেঞ্চে জানান, চাকরি পাওয়ার চার বছর পর 269 জনকে বরখাস্ত করা হল তাঁদের মামলায় কোনও পক্ষ না করেই । এটা সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ । তিনি বলেন, ‘‘এরা প্রত্যেকেই সরকারি কর্মচারী । এঁদেরকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তে সামগ্রিক সমাজিক প্রভাব তৈরি হবে । সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) স্পষ্ট নির্দেশ আছে যে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত কাউকে চাকরি থেকে অপসারণ করা যায় না ।’’

তিনি আরও জানান, কর্তৃপক্ষের গলদ ছিল বলে নতুন করে 273 জনেক নিয়োগ করা হয় । সেটাকে নতুন প্যানেল বলা যায় না । এর জন্য কারও চাকরি কেড়েও নেওয়া যায় না । যাঁরা বোর্ডের কাছে এসেছিলেন এবং মামলা করেছিল আদালতে তাঁদেরই নম্বর দেওয়া হয়েছিল । বাকিরা আসেনি । হাইকোর্ট নির্দেশে পরিষ্কার জানিয়েছিল, যাঁরা মামলা করেছেন, তাঁদের জন্যই নম্বর দেওয়ার বিষয় বিবেচনা করতে হবে । যখন এঁরা সাফল্য পেয়েছেন, তারপর চার বছর পর মামলাকারীদের আর্বিভাব ঘটেছে ।

তখন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার জানতে চান সিঙ্গেল বেঞ্চে কী দাবি নিয়ে মামলাটা হয়েছিল ?

অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলাকারীদের দাবি ছিল যে সরকারি চাকরি টাকায় বিক্রি করা হয়েছে । এবং এর তদন্ত একমাত্র সিবিআই করতে পারবে । এছাড়া প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে অপসারণের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘আইন অনুযায়ী বোর্ডের সভাপতিকে নিয়োগ করে রাজ্য ।’’

তিনি আরও জানান, সভাপতি অপসারিত হতে পারেন কোর্ট দ্বারা যদি তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ প্রমাণিত হন । বিচারপতি যদি মনে করেন আনফিট বোর্ডের সভাপতি হিসাবে, তাহলে অপসারণ করা যেতে পারে । এই মামলায় তদন্ত এখনও কিছুই হয়নি । তার আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়ে গিয়েছে ।

মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী হিসেবে জয়দীপ কর শুনানিতে সওয়াল করেন ৷ তাঁকে অপসারণের ব্যাপারে তাঁর আইনজীবী জয়দীপ কর বলেন, ‘‘নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্ত নথি চাওয়ার পর সেগুলোকে ফরেনসিকে যেভাবে পাঠানো হয়েছে, তা আইনবিরুদ্ধ ৷ আদালতের উচিত ছিল এই ব্যাপারে পর্ষদকে হলফনামা দিতে বলা । আদালত নথি বাতিল করতে বলার নির্দেশ দিতে পারতো । কিন্তু তার জন্য সভাপতিকে পদ থেকে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া যায় কি ? বোর্ডের বক্তব্য, কিছু অনিয়ম হতে পারে ৷ কিন্তু তার মানে বেআইনি কাজ হয়েছে, এটা সিঙ্গেল বেঞ্চ কিভাবে ঠিক করল ?’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘বোর্ডের সদস্যরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সব ব্যাপারে । এবং রাজ্য তাতে সম্মতি দিয়েছিল ৷ ফলে পুরো প্রক্রিয়াটাই ছিল আইনসঙ্গত । ফলে বেআইনি ব্যাপারে প্রশ্নই ওঠে না । তাহলে সভাপতিকে কিভাবে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয় ?"

পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board of Primary Education) তরফে আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান , 2014 সালে টেট পরীক্ষা দিয়েছিলেন 20 লক্ষ পরীক্ষার্থী ৷ তার মধ্যে 125 লক্ষ পাস করেছিল । পরে বোর্ড যে সমস্ত প্রার্থীর 1 নম্বর ঘাটতি রয়েছে, আবার ভুল প্রশ্ন উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করেছিল তাঁদের আবেদন নেয় । আবেদন করেন 2887 জন । এঁদের মধ্যে থেকে 273 জনকে পাওয়া যায়, যাঁদের প্রশিক্ষণ আছে এবং 1 নম্বরও কম রয়েছে । তাঁদের 1 নম্বর দেওয়া হয় । এর মধ্যে দুর্নীতি কোথায় ?

এদিন মামলার শুনানি এরপরই শেষ হয় । আগামিকাল ফের শুনানি হবে এই মামলার ।

আরও পড়ুন : TET Case: প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলা গ্রহণযোগ্য, রাজ্যের আর্জি খারিজ হাইকোর্টে

Last Updated : Jul 14, 2022, 5:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.