কলকাতা, 20 মে: মূল্যবৃদ্ধির (অল ইন্ডিয়া কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স) নিরিখে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (clear pending DA in 3 months)। পঞ্চম বেতন কমিশনের নির্দেশিত কেন্দ্রীয় মূল্য সুচকের হারেই মহার্ঘভাতা দিতে হবে বলে জানিয়েছে আদালত (HC order on DA case)।
অর্থাৎ স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল কর্মচারীদের কেন্দ্রীয় হারে যে মহার্ঘভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, সেটাই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে । তিন মাসের মধ্যে রাজ্যকে সমস্ত বকেয়া মহার্ঘভাতা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ।
এর আগে মহার্ঘভাতা পাওয়া রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনি অধিকার বলে মামলার শুনানিতে উল্লেখ করেছিল হাইকোর্ট । তবে আজ আদালত কী নির্দেশ দেয়, সে দিকে তাকিয়ে ছিলেন কর্মচারীরা ।
আরও পড়ুন: State Govt Employees DA Case : কর্মচারীদের ডিএ বন্ধ করা হল কেন, হাইকোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্য
2018 সালের 31 অগাস্ট কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাশিস কর গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ রায়দানের সময় বলেছিল, মহার্ঘভাতা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসঙ্গত অধিকার । তবে দুটি বিষয় বিবেচনা করতে নির্দেশ দেওয়া হয় স্যাট (স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল)কে । সেই দুটি বিষয় হচ্ছে - রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের সমহারে হবে কি না ! আর রাজ্যেরই কিছু কর্মচারী আছেন যাঁরা দিল্লির বঙ্গভবন এবং চেন্নাইয়ের যুব হস্টেলে নিযুক্ত । তাঁরা কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের হারেই মহার্ঘভাতা পান । রাজ্যে নিযুক্ত কর্মচারীরাও এঁদের মতোই মহার্ঘভাতা পাবেন কি না ।
এরপর স্যাট 2019 সালের এক নির্দেশে জানায়, মূল্যবৃদ্ধির নিরিখে কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দিতে হবে । 1 বছরের মধ্যে বিষয়টির সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয় । কিন্তু সেই নির্দেশ ফের পুনর্বিবেচনার জন্য হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিল রাজ্য সরকার ।
2010 সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বছরে দুবার মহার্ঘভাতা দেওয়া হত । কিন্তু তারপর থেকে রাজ্য সরকার মহার্ঘভাতা দেওয়া বন্ধ করে দেয় । কর্মচারীদের হিসেবে পঞ্চম পে কমিশনের 34% এবং ষষ্ঠ পে কমিশনের 34% মিলিয়ে মোট 68 শতাংশ মহার্ঘভাতা বকেয়া রয়েছে । রাজ্যের যুক্তি ছিল, রাজকোষে ঘাটতি থাকায় কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না । কিন্তু আজ হাইকোর্ট নির্দেশে জানায়, মহার্ঘভাতা সম্মানজনক ভাবে জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িত । রাজ্য সরকারকে যে ভাবেই হোক টাকা জোগাড় করে তিন মাসের মধ্যে কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ।