কলকাতা, 8 ফেব্রুয়ারি: এক গ্রাহকের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার চার বছর পরেও কারণ দর্শাতে না-পারায় বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে 6 লক্ষ টাকার বেশি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (HC Fine WBSEDCL)। আগামী এক মাসের মধ্যে গ্রাহককে এই টাকা মেটাতে হবে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে।
মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ব্লকের বাসিন্দা সুকান্ত কুমার সিংহের বাড়িতে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার দুটি বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল। একটি ছিল বাণিজ্যিক সংযোগ, দ্বিতীয়টি ছিল ডোমেস্টিক সংযোগ। বাণিজ্যিক সংযোগ দিয়ে তিনি পোল্ট্রি ফার্ম চালাতেন। কিন্তু 2017 সালে বকেয়া বিল দেখিয়ে বাণিজ্যিক সংযোগ কেটে দেয় বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা। একইসঙ্গে বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগও কেটে দেওয়া হয়। এরপর ওই ব্যক্তি দিনের পর দিন ধরে অন্তত 200টি আবেদন বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থায় ই-মেল মারফত করেছেন। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি।
আরও পড়ুন: আসন্ন পৌরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি, নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য জানতে চাইল হাইকোর্ট
গ্রাহক বাধ্য হয়ে ওমবার্ডসম্যানে(ombudsman) অভিযোগ জানান। ওমবার্ডসম্যান প্রায় 1 লক্ষ 21 হাজার টাকা ওই ব্যক্তিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে। পুর বিষয়টি দেখার পর বিস্মিত বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ওমবার্ডসম্যানের নির্দেশ বহাল রাখেন। পাশাপাশি কেন দিনের পর দিন তাঁকে হয়রানির শিকার হতে হল তার জন্য গ্রাহককে প্রতিদিন 500 টাকা করে জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন। মোট 6 লক্ষ 7 হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ সুকান্ত সিংহকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। 4 মার্চ 2022 তারিখের মধ্যে সুকান্ত সিংহকে সমস্ত জরিমানার টাকা মিটিয়ে দিতে হবে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থাকে।