কলকাতা, 27 জুলাই : বিচারপতিদের বিচার্য বিষয় নির্ধারণ হবে কিভাবে জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করল কলকাতা হাইকোর্ট । হাইকোর্ট প্রশাসনের তরফে মামলাটি দায়ের করেছেন কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল । মামলায় আর্জি জানানো হয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির প্রশাসনিক ক্ষমতার পরিধি কত দূর হবে সেই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট দিকনির্দেশ করুক কলকাতা হাইকোর্টকে ।
কয়েক দিন আগে নেটওয়ার্ক সংক্রান্ত সমস্যার কারণে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য তাঁর এজলাসের একটি মামলা সেদিন না শুনে পরদিন শুনবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু পরে দেখা যায় বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যকে কিছু না জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল মামলাটি একটি ডিভিশন বেঞ্চে শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করে দেন। এরপরই ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য ৷ প্রধান বিচারপতির এই ধরনের আচরণের নিন্দা করেন এবং এই ধরনের আচরণ বিচার ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বলে একটি নির্দেশে জানান । তারপর থেকেই কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী মহলে এই নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । কলকাতা হাইকোর্টের বার অ্যাসোসিয়েশনের তিনটি সংগঠন বিভিন্ন ভাবে এই নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে । আইনজীবীদের একটি সংগঠন গত শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনকে একটি চিঠি দিয়ে এই সংক্রান্ত বিষয় যাতে না ঘটে অবিলম্বে এই ধরনের সমস্যার সমাধানের আর্জি জানায় । পাশাপাশি অন্য আইনজীবীদের মধ্যেও বলতে শোনা যায় কেউ কেউ প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ বয়কট করবেন বলে ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন । এই নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয় কলকাতা হাইকোর্টে । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও এই সংক্রান্ত বিষয়ে কোনও সুস্পষ্ট সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন ।
এই সংক্রান্ত খবর : Calcutta High Court : না জানিয়েই ডিভিশন বেঞ্চে পাঠানো হল মামলা, ক্ষুব্ধ বিচারপতি
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের কোন মামলা কোন বিচারপতির এজলাসে শুনানি হবে তা ঠিক করতে পারেন প্রধান বিচারপতি । সেই জন্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে "মাস্টার অফ রস্টার" বলা হয়। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল কয়েকদিন আগে যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছিলেন সেটা আইন সংগত নয় বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। কারণ বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য যে ধরনের মামলা শুনছিলেন সেটি কোনও ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হতে পারে না । কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে পাঠিয়ে ছিলেন শুনানির জন্য । এই সমস্ত বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে তৈরি হয়েছে জটিলতা । এই জটিলতার সমাধানে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন দ্বারস্থ হল সুপ্রিম কোর্টের ।