ETV Bharat / city

লিভারের অর্ধেকেরও বেশি দিয়ে বাবাকে বাঁচাল উনিশের যুবক - Boy donates liver for father

বছর দুয়েক আগে বসিরহাটের বাসিন্দা রঞ্জিত কুণ্ডুর লিভারে সমস্যা ধরা পড়ে । ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, লিভার প্রতিস্থাপন করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই । রঞ্জিতবাবুর ছেলে রাজ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকের ছাত্র । বাবাকে যে ভাবেই হোক সুস্থ করতে হবে বলে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল রাজ ৷ বাবাকে বাঁচাতে না পারলে আত্মহত্যা করবে বলেও পরিবারে জানিয়েছিল সে ৷ কোথাও যখন লিভার মিলছে না, তখন নিজের লিভারের একটি অংশ দিয়ে বাবাকে সুস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয় সে ৷

Liver Transplant
রঞ্জিত কুণ্ডু ও রাজ কুণ্ডু
author img

By

Published : Jan 16, 2020, 11:55 PM IST

কলকাতা, 16 জানুয়ারি : বাবার লিভারে গুরুতর সমস্যা ৷ ডাক্তার আগেই বলে দিয়েছে, লিভার প্রতিস্থাপনই একমাত্র উপায় ৷ কলকাতা থেকে দিল্লি, তারপর বেঙ্গালুরু ৷ ভালো চিকিৎসার জন্য কোথায় কোথায় না ঘোরা হয়েছে বসিরহাটের রঞ্জিত কুণ্ডুকে নিয়ে । কিন্তু সব জায়গাতেই একটাই উত্তর মিলেছে ৷ লিভার প্রতিস্থাপন না করলে বাঁচানো যাবে না ৷ শুরু হয় লিভারের খোঁজ । কিন্তু প্রতিস্থাপন করার মতো লিভার কোথায় ? শেষে নিজের লিভারের অংশ দিয়েই বাবাকে সুস্থ করে তুলল বছর উনিশের রাজ ৷

বছর দুয়েক আগে বসিরহাটের বাসিন্দা রঞ্জিতবাবুর লিভারে সমস্যা ধরা পড়ে । ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, লিভার প্রতিস্থাপন করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই । রঞ্জিতবাবুর ছেলে রাজ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকের ছাত্র । বাবাকে যে ভাবেই হোক সুস্থ করতে হবে বলে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল রাজ ৷ বাবাকে বাঁচাতে না পারলে আত্মহত্যা করবে বলেও পরিবারে জানিয়েছিল সে ৷ কোথাও যখন লিভার মিলছে না, তখন নিজের লিভারের একটি অংশ দিয়ে বাবাকে সুস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয় সে ৷

SSKM হাসপাতালে আজ ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয় এই লিভার প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া । নিজের লিভারের 65.7 শতাংশ অংশ বাবাকে দিয়েছে রাজ ৷ অপারেশন শেষ হয় সন্ধ্যায় । সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । বাবা ও ছেলে, দু'জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে ।

রোগীর ভাই জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "দাদার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য আমরা সব জায়গায় ঘুরেছি । কোথাও লিভার পাইনি । আমার ভাইপো একা একা অনেক ডাক্তারের কাছে গেছে । ইন্টারনেটেও খোঁজ নিয়েছে । শেষ পর্যন্ত ভাইপো বলে, ও-ই দান করবে ওর লিভারের অংশ ।"

কলকাতা, 16 জানুয়ারি : বাবার লিভারে গুরুতর সমস্যা ৷ ডাক্তার আগেই বলে দিয়েছে, লিভার প্রতিস্থাপনই একমাত্র উপায় ৷ কলকাতা থেকে দিল্লি, তারপর বেঙ্গালুরু ৷ ভালো চিকিৎসার জন্য কোথায় কোথায় না ঘোরা হয়েছে বসিরহাটের রঞ্জিত কুণ্ডুকে নিয়ে । কিন্তু সব জায়গাতেই একটাই উত্তর মিলেছে ৷ লিভার প্রতিস্থাপন না করলে বাঁচানো যাবে না ৷ শুরু হয় লিভারের খোঁজ । কিন্তু প্রতিস্থাপন করার মতো লিভার কোথায় ? শেষে নিজের লিভারের অংশ দিয়েই বাবাকে সুস্থ করে তুলল বছর উনিশের রাজ ৷

বছর দুয়েক আগে বসিরহাটের বাসিন্দা রঞ্জিতবাবুর লিভারে সমস্যা ধরা পড়ে । ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, লিভার প্রতিস্থাপন করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই । রঞ্জিতবাবুর ছেলে রাজ রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় স্নাতকের ছাত্র । বাবাকে যে ভাবেই হোক সুস্থ করতে হবে বলে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল রাজ ৷ বাবাকে বাঁচাতে না পারলে আত্মহত্যা করবে বলেও পরিবারে জানিয়েছিল সে ৷ কোথাও যখন লিভার মিলছে না, তখন নিজের লিভারের একটি অংশ দিয়ে বাবাকে সুস্থ করার সিদ্ধান্ত নেয় সে ৷

SSKM হাসপাতালে আজ ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয় এই লিভার প্রতিস্থাপন প্রক্রিয়া । নিজের লিভারের 65.7 শতাংশ অংশ বাবাকে দিয়েছে রাজ ৷ অপারেশন শেষ হয় সন্ধ্যায় । সফলভাবে লিভার প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা । বাবা ও ছেলে, দু'জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে হাসপাতালের তরফে ।

রোগীর ভাই জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "দাদার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য আমরা সব জায়গায় ঘুরেছি । কোথাও লিভার পাইনি । আমার ভাইপো একা একা অনেক ডাক্তারের কাছে গেছে । ইন্টারনেটেও খোঁজ নিয়েছে । শেষ পর্যন্ত ভাইপো বলে, ও-ই দান করবে ওর লিভারের অংশ ।"

Intro:কলকাতা, ১৬ জানুয়ারি: নিজের লিভারের অংশ দান করে বাবাকে বাঁচাতে না পারলে, আত্মহত্যা করবেন বলে পরিজনদের জানিয়েছিলেন ছেলে। ১৯ বছর বয়সি ছেলের এমন কথার জেরে বিষয়টি মেনে নিতে বাধ্য হন পরিজনরা। অবশেষে, বাবাকে বাঁচাতে বৃহস্পতিবার এই ছেলে তাঁর লিভারের ৬৫.৭ শতাংশ অংশ দান করলেন। SSKM হাসপাতালে ছেলের দান করা লিভারের এই অংশ প্রতিস্থাপন করা হল বাবার শরীরে।
Body:বছর দুই আগে বসিরহাটের বাসিন্দা রঞ্জিত কুণ্ডু (৪৬)-র লিভারে সমস্যা ধরা পড়ে। চিকিৎসকরা জানান, লিভার প্রতিস্থাপন করা ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই। এর পরে, চিকিৎসার জন্য দিল্লি এবং, বেঙ্গালুরুতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রঞ্জিত কুণ্ডুকে। সেখানকার চিকিৎসকরাও জানান, লিভার প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন। শুরু হয় লিভারের খোঁজ। এই রোগীর ভাই জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "দাদার লিভার প্রতিস্থাপনের জন্য আমরা সব জায়গায় ঘুরেছি। কোথাও লিভার পাইনি। আমার ভাইপো একা একা অনেক ডাক্তারের কাছে গিয়েছে। ইন্টারনেটেও খোঁজ নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভাইপো বলে, ও দান করবে ওর লিভারের অংশ।"

জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "দাদার জন্য ভাইপো লিভারের অংশ দিক, এটা প্রথমে আমরা বাড়িতে কেউ মেনে নিতে চাইনি। আমরা যখন মেনে নিতে চাইছি না, ভাইপো তখন বলে, ও যদি বাবাকে বাঁচিয়ে রাখতে না পারে, ও যদি লিভারের অংশ দান করতে না পারে, তা হলে ও আত্মহত্যা করবে। বাড়িতে আমাদের উপরে তখন উলটো মানসিক চাপ পড়ে গেল। তখন আমরা মেনে নিতে বাধ্য হলাম।" চার মাস আগের এই ঘটনার পরে বাবার শরীরে ছেলের লিভারের অংশ প্রতিস্থাপনের জন্য শুরু হয়ে যায় প্রক্রিয়া। অবশেষে, SSKM হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটা থেকে শুরু হয় এই লিভার প্রতিস্থাপনের প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়া শেষ হয় এ দিন সন্ধ্যায়। লিভার প্রতিস্থাপনের অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, বাবা এবং ছেলে, দুই জনের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে।
Conclusion:রঞ্জিত কুণ্ডুর ছেলের নাম রাজ কুণ্ডু। সম্প্রতি তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা ভাষা নিয়ে স্নাতক স্তরে ভরতি হয়েছেন। তাঁর কাকা জয়ন্ত কুণ্ডু বলেন, "বৃহস্পতিবার ভোরে যখন লিভার দান করতে যাচ্ছে আমার ভাইপো, তখন ও বলল, বাবার জন্য লিভার দান করতে যাচ্ছি, এর আলাদা আনন্দ। ও বলল, আমি দেখব আমার বাবা এখনও বেঁচে আছে, এটা আমার কাছে বড় পাওনা।" তিনি বলেন, "আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম, আবেগের থেকে লিভার দেওয়ার কথা বলছে আমার ভাইপো। বৃহস্পতিবার ভোরে অপারেশন থিয়েটারে যাওয়ার আগে ভাইপোর এই কথা শুনে আমার আর কিছু বলার ভাষা নেই। প্রতি ঘরে ঘরে যেন এমন হয়।"
_______

ছবি:
wb_kol_01a_son_liver_father_pg_pic_7203421
বাবার সঙ্গে ছেলে



ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.