কলকাতা, 17 মে : একদিকে যখন নারদকাণ্ডে তৃণমূলের তিনজন হেভিওয়েট নেতা এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি নিয়ে চারিদিকে হইচই পড়ে গিয়েছে, অন্যদিকে তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হল এফআইআর৷ এই অভিযোগ দায়ের হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতয়ালি থানায়৷ দায়ের করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ।
পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে মেদিনীপুরের সাংসদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে বহিরাগত বলেছেন । এর ফলে দেশ জুড়ে একটা ভাষাগত বিদ্বেষের সূচনা হয়েছে । এর ফলে সংবিধানের অবমাননা হয়েছে । এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনামূলক ‘বহিরাগত’ বক্তব্যের ফলে লক্ষ লক্ষ বাঙালি অস্বিস্তে দিন কাটাচ্ছেন । যদি এর ফলে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে, তার দায় মুখ্যমন্ত্রীকে নিতে হবে ।
এখানেই থামেননি দিলীপ ঘোষ৷ এফআইআর-এ আরও তিনটি অভিযোগ উল্লেখ করেছেন ৷ তাঁর দ্বিতীয় অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচনে প্রচারে যাওয়ার সময় নির্বাচন কমিশন নিয়োজিত কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখেছেন । এর ফলে ওঁর কর্মী সমর্থকরা হাতা, খুন্তি, লোহার রড দিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ করার প্রয়াস করছেন । এই ঘটনার জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী ।
দিলীপ ঘোষের তৃতীয় অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে নির্বাচনের শেষে হয়ে গেলে খেলা হবে । আর এর ফলে 2 মে ভোট ঘোষণার পর থেকে রাজ্য জুড়ে লুঠতরাজ, হিংসা, রাহাজানি শুরু হয়েছে ।
আরও পড়ুন : নিজাম প্যালেসে পৌঁছে কি রাজনৈতিক মাস্টারস্ট্রোক দিলেন মমতা ?
তিনি শেষ যে অভিযোগটি করেছেন, তা হল নির্বাচনের পর রাজ্যজুড়ে একটা সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি হয়েছে । রাজ্য জুড়ে খুন-ধর্ষণ রাহাজানি শুরু হয়েছে । বহু বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের লাগামছাড়া সন্ত্রাসের ফলে ঘর ছাড়া । এর ফলে প্রতিহিংসা শুরু হয়েছে । এর জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।