ETV Bharat / city

মমতার পালটা কর্মসূচি বারাসতে অভিনন্দন যাত্রা দিলীপের

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পালটা কর্মসূচি পালন করতে চলেছে দিলীপ ঘোষ । 19 জানুয়ারি BJP-র তরফে বারাসত সদরে CAA-র সমর্থনে অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করা হয়েছে । অভিনন্দন যাত্রায় অংশ নেবেন BJP-র রাজ্য স্তরের প্রথম সারির নেতারা ।

Avinandan Yatra in Barasat
বারাসতে অভিনন্দন যাত্রা
author img

By

Published : Jan 12, 2020, 4:53 AM IST

Updated : Jan 12, 2020, 7:38 AM IST

বারাসত, 12 জানুয়ারি : CAA ও NRC -র প্রতিবাদে 9 জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে মিছিলে হেঁটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ঠিক 10 দিনের ব্যবধানে CAA-এর সমর্থনে বারাসত সদরে অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করতে চলেছে BJP । 19 জানুয়ারি BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই অভিনন্দন যাত্রা হবে ।

BJP-র এই অভিনন্দন যাত্রা মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে শুরু হবে । শেষ হবে বারাসতের চাঁপাডালি মোড় কিংবা কলোনি মোড়ে । বৃহস্পতিবার (9 জানুয়ারি) মধ্যমগ্রামের চৌমাথা থেকেই মিছিল শুর করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মিছিল শেষ হয় বারাসতের টেলিফোন এক্সচেঞ্জের অফিসে । একে মমতার পালটা কর্মসূচি হিসেবে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । এই অভিনন্দন যাত্রায় রাজ্য BJP-র প্রথম সারির নেতারা থাকবেন বলে খবর ।

এই অভিনন্দন যাত্রাকে তৃণমূলের পালটা কর্মসূচি বলতে নারাজ BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "BJP সর্বভারতীয় দল । তৃণমূলের মতো আঞ্চলিক দলকে দেখে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করি না । এটা আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ।" পাশাপাশি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শংকর বাবু বলেন, "তৃণমূলের ঘোষিত নীতিই হল, BJP যেখানে মিছিল-সভা করবে সেখানেই তারা পালটা কর্মসূচি করবে । কিন্তু, আমাদের কাউকে দেখে মিছিল করতে হয়না । এটাই ওদের সঙ্গে আমাদের দলের পার্থক্য ।"

মিছিলের প্রশাসনিক অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অভিনন্দন যাত্রার কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা পুলিশের অনুমতি চেয়েছি । আশা করছি পুলিশ অনুমতি দেবে । পুলিশ অনুমতি না দিলেও ওই দিন দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে কর্মসূচি পালন করা হবে ।"

CAA-এর সমর্থনে দিলীপ ঘোষের এই কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করেছে তৃণমূল । বারাসতের তৃণমূল সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, "9 জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে মিছিল হয়েছিল তাতে যেভাবে জনসমুদ্র আছড়ে পড়েছিল, এটা দেখেও কি দিলীপবাবুরা বুঝতে পারছেন না, রাজ্যের মানুষ NRC ও CAA চান না । এসব কর্মসূচির নামে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবেনা ।"

BJP-র অভিনন্দন যাত্রার আগেই বারাসতে আপাতত তৃণমূল-BJP তরজা শুরু হয়েছে । এই প্রেক্ষিতে 2019 সালের অভিনন্দন যাত্রা কতটা সাফল্য পায় তা দেখার পালা ।

বারাসত, 12 জানুয়ারি : CAA ও NRC -র প্রতিবাদে 9 জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে মিছিলে হেঁটেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ঠিক 10 দিনের ব্যবধানে CAA-এর সমর্থনে বারাসত সদরে অভিনন্দন যাত্রার আয়োজন করতে চলেছে BJP । 19 জানুয়ারি BJP-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে এই অভিনন্দন যাত্রা হবে ।

BJP-র এই অভিনন্দন যাত্রা মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে শুরু হবে । শেষ হবে বারাসতের চাঁপাডালি মোড় কিংবা কলোনি মোড়ে । বৃহস্পতিবার (9 জানুয়ারি) মধ্যমগ্রামের চৌমাথা থেকেই মিছিল শুর করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মিছিল শেষ হয় বারাসতের টেলিফোন এক্সচেঞ্জের অফিসে । একে মমতার পালটা কর্মসূচি হিসেবে মনে করছে রাজনৈতিক মহল । এই অভিনন্দন যাত্রায় রাজ্য BJP-র প্রথম সারির নেতারা থাকবেন বলে খবর ।

এই অভিনন্দন যাত্রাকে তৃণমূলের পালটা কর্মসূচি বলতে নারাজ BJP-র বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায় । তিনি বলেন, "BJP সর্বভারতীয় দল । তৃণমূলের মতো আঞ্চলিক দলকে দেখে আমরা কর্মসূচি গ্রহণ করি না । এটা আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ।" পাশাপাশি তৃণমূলকে কটাক্ষ করে শংকর বাবু বলেন, "তৃণমূলের ঘোষিত নীতিই হল, BJP যেখানে মিছিল-সভা করবে সেখানেই তারা পালটা কর্মসূচি করবে । কিন্তু, আমাদের কাউকে দেখে মিছিল করতে হয়না । এটাই ওদের সঙ্গে আমাদের দলের পার্থক্য ।"

মিছিলের প্রশাসনিক অনুমতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অভিনন্দন যাত্রার কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই আমরা পুলিশের অনুমতি চেয়েছি । আশা করছি পুলিশ অনুমতি দেবে । পুলিশ অনুমতি না দিলেও ওই দিন দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে কর্মসূচি পালন করা হবে ।"

CAA-এর সমর্থনে দিলীপ ঘোষের এই কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যেই সমালোচনা শুরু করেছে তৃণমূল । বারাসতের তৃণমূল সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, "9 জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে মিছিল হয়েছিল তাতে যেভাবে জনসমুদ্র আছড়ে পড়েছিল, এটা দেখেও কি দিলীপবাবুরা বুঝতে পারছেন না, রাজ্যের মানুষ NRC ও CAA চান না । এসব কর্মসূচির নামে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবেনা ।"

BJP-র অভিনন্দন যাত্রার আগেই বারাসতে আপাতত তৃণমূল-BJP তরজা শুরু হয়েছে । এই প্রেক্ষিতে 2019 সালের অভিনন্দন যাত্রা কতটা সাফল্য পায় তা দেখার পালা ।

Intro:মাত্র 10 দিনের ব্যবধান। মমতার পাল্টা এবার CAA-এর সমর্থনে পদযাত্রা করতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।19 জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে জেলা বিজেপির অভিনন্দন যাত্রায় যোগ দেবেন তিনি।তার সঙ্গে এই কর্মসূচিতে থাকার কথা রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির কয়েকজন নেতারও।9 জানুয়ারি উত্তর 24 পরগনায় NRC ও CAA বিরোধী এক পদযাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে সেই পদযাত্রা শুরু হয়ে বারাসতের টেলিফোন এক্সচেঞ্জে গিয়ে শেষ হয়।দিলীপ ঘোষের অভিনন্দন যাত্রাও শুরু হবে সেই মধ্যমগ্রামের চৌমাথা থেকে।শেষ হওয়ার কথা বারাসতের চাপাডালি মোড় কিংবা কলোনি মোড়ে। স্বভাবতই একে মমতার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এই কর্মসূচিকে মমতার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে বলতে নারাজ গেরুয়া শিবির। Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসতঃ-মাত্র ১০ দিনের ব্যবধান। মমতার পাল্টা এবার CAA-এর সমর্থনে পদযাত্রা করতে চলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।১৯ জানুয়ারি মধ্যমগ্রামে জেলা বিজেপির 'অভিনন্দন যাত্রায়' যোগ দেবেন তিনি।তার সঙ্গে এই কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার কথা বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতারাও।৯ জানুয়ারি উত্তর 24 পরগনায় NRC ও CAA বিরোধী এক পদযাত্রায় সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে শুরু হয়ে এই পদযাত্রা শেষ হয় বারাসতের টেলিফোন এক্সচেঞ্জে।বিজেপি সূত্রে খবর,ওইদিন মুখ্যমন্ত্রী যে পথে পদযাত্রা করেছিলেন,১৯ জানুয়ারি সেই পথই বেছে নেওয়া হয়েছে দিলীপ ঘোষের 'অভিনন্দন যাত্রায়'।স্বভাবতই,একে মমতার পাল্টা কর্মসূচি হিসেবেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।যদিও,একে পাল্টা কর্মসূচি বলতে নারাজ বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শংকর চট্টোপাধ্যায়।তিনি বলেন,"বিজেপি সর্বভারতীয় দল।তাই,তৃনমূলের মতো আঞ্চলিক দলকে দেখে আমাদের কর্মসূচি ঠিক করতে হয়না।এটা পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী"। শাসক দলকে কটাক্ষ করে শংকর বাবু বলেন,"তৃনমূলের ঘোষিত নীতিই হল বিজেপি যেখানে মিছিল-সভা করবে,সেখানেই তারা পাল্টা কর্মসূচি করবে।কিন্তু,আমাদের কাউকে দেখে মিছিল করতে হয়না।এটাই ওদের সঙ্গে আমাদের দলের পার্থক্য"।তার কথায়,"১৯ জানুয়ারি CAA-এর সমর্থনে অভিনন্দন যাত্রায় যোগ দেবেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।মধ্যমগ্রাম চৌমাথা থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয়ে বারাসতের চাপাডালি মোড় কিংবা কলোনী মোড়ে শেষ হবে। এই কর্মসূচি নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা পুলিশের অনুমতি চেয়েছি।আশা করছি পুলিশ অনুমতি দেবে"।পুলিশ অনুমতি না দিলেও ওইদিন দিলীপ ঘোষের কর্মসূচি হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন বিজেপির জেলে সভাপতি।এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,"তৃনমূলের মিছিলের অনুমতি পুলিশ দিলে আমরা পাবনা কেন?তারপরও যদি ১৯ জানুয়ারির কর্মসূচির অনুমতি পুলিশ না দেয়,আমরা শান্তিপূর্ণভাবে 'অভিনন্দন যাত্রা' করব"।রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে শংকর বাবু বলেন,"এই সরকারের এখন নীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে,বিজেপির কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যাবে না।পাশাপাশি,পুলিশ প্রশাসন মুখে বলছে,আপনারা কর্মসূচি করুন।এটাই পুলিশের দু-মুখো নীতি"। দিলীপ ঘোষের কর্মসূচি সফল করতে ইতিমধ্যে দল কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।শংকর বাবু বলেন,"সভা,সমিতি করার পাশাপাশি মিছিলও সংঘটিত করা হচ্ছে।রবিবার বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রে এবিষয়ে কর্মসূচি রয়েছে"। মমতার পদযাত্রার থেকেও দিলীপ ঘোষের কর্মসূচিতে জনপ্লাবন ছাপিয়ে যাবে বলে দাবি করেছেন তিনি।তার কথায়,"CAA নিয়ে মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা ও আবেগ তৈরি হয়েছে।সেই আবেগ থেকেই সাধারণ মানুষ যোগ দেবেন দিলীপ ঘোষের কর্মসূচিতে"।এদিকে,CAA-এর সমর্থনে দিলীপ ঘোষের কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেছে শাসক দল।এবিষয়ে বারাসত শহর তৃনমূলের সভাপতি অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন,"৯ জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যে মিছিল হয়েছিল,তাতে যেভাবে জনসমুদ্র আছড়ে পড়েছিল,এটা দেখে দিলীপ বাবুদের বোঝা উচিত রাজ্যের মানুষ NRC ও CAA চাননা।তারপরও যদি দিলীপ বাবুরা মিছিল করেন,তাহলে বুঝতে হবে,সাধারন মানুষের মন এখনও তারা বুঝতে পারেননি"।দিলীপ ঘোষের পদযাত্রায় জনপ্লাবন ছাপিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পাল্টা বিজেপির জেলা সভাপতিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন,"মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায় সেদিন সাধারন মানুষের মধ্যে যে আবেগ,উন্মাদনা দেখা গেছে,সেই আবেগ, উন্মাদনা আদৌও থাকবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অশনি বাবু।তার কথায়,"১৯ জানুয়ারিই আপনারা দেখতে পাবেন, মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলের সঙ্গে দিলীপ ঘোষের মিছিলের তারতম্য।বিজেপির কর্মসূচিতে পুলিশের অনুমতি না দেওয়ার দাবি প্রসঙ্গে বারাসাত শহর তৃণমূলের সভাপতি বলেন," এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।এর আগেও শংকর বাবুরা পুলিশের অনুমতি নিয়েই কর্মসূচি পালন করেছেন।তবে, কর্মসূচির নামে গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবেনা বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।সবমিলিয়ে,দিলীপ ঘোষের কর্মসূচির আগেই তৃনমূল ও বিজেপির তরজায় সরগরম হয়ে উঠেছে জেলা সদর বারাসত।Conclusion:9 জানুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রায় জনপ্লাবন দেখেছিল রাজ্যের মানুষ।তাতেই কি চাপে পড়ে বিজেপিকে পাল্টা পথে নামতে হল, উঠছে প্রশ্ন।তবে, দিলীপ ঘোষের কর্মসূচির আগেই যেভাবে তৃণমূল ও বিজেপির রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে,তাতে সরগরম হয়ে উঠেছে জেলা সদর বারাসত।
Last Updated : Jan 12, 2020, 7:38 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.