কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর : বিধানসভার (Bengal Assembly) গেটে মুড়ি, ঘুগনি, চায়ের পসরা সাজিয়ে বসলেন বিজেপি (BJP) বিধায়করা ৷ বৃহস্পতিবার বিধানসভার অধিবেশন শেষ হওয়ার পর তাঁরা গেটের বাইরে মুড়ি, ঘুগনি, চা বিক্রি করা ৷ আসল উদ্দেশ্য অবশ্য বিক্রি ছিল না ৷ ছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে (Mamata Banerjee) কটাক্ষ করা ৷
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত বৃহস্পতিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে একটি সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই অনুষ্ঠান থেকে তিনি আসন্ন শারদোৎসবে মুড়ি, ঘুগনি, চা বিক্রির পরামর্শ দেন ৷ তার পর থেকেই এই বিতর্ক শুরু হয়েছে ৷
তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) বক্তব্য, যুব সমাজকে স্বনির্ভর হতেই উৎসাহ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ কিন্তু বিরোধীরা সেই যুক্তি মানতে নারাজ ৷ তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যে শিল্প নেই ৷ ফলে কর্মসংস্থানে পিছিয়ে বাংলা ৷ সেই কারণেই বিকল্প আয়ের কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের প্রতিবাদ করতেই এদিন বিধানসভার গেটের বাইরে মুড়ি, ঘুগনি, চায়ের দোকান দেন বিজেপি বিধায়করা ৷ সেখানে অগ্নিমিত্রা পাল, মনোজ টিগ্গা-সহ বিজেপির একাধিক জনপ্রতিনিধি হাজির ছিলেন ৷ তাঁদের কেউ মুড়ি বিক্রি করেছেন, কেউ আবার ঘুগনি বিক্রি করেছেন ৷ কাউকে কাউকে দেখা গিয়েছে চা বিক্রি করতে ৷
এই নিয়ে অগ্নিমিত্রা পাল দাবি করেন, টাটাদের তাড়ানোর পর রাজ্যে আর শিল্প আসেনি ৷ তাই মুখ্যমন্ত্রী মুড়ি, ঘুগনি বিক্রির কথা বলেছেন ৷ যদিও ভোটের আগে ‘ডাবল ডাবল’ চাকরির কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের আরেক বিধায়ক মনোজ টিগ্গার কথায়, এলাকায় গিয়েও তিনি বলবেন যে মুড়ি, ঘুগনি বিক্রি করার কথা বলে চাকরি হবে না, এমন বার্তা মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন ৷
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তাপস রায় এই ইস্যুতে পালটা বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ৷ তাঁর কথায়, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কত কর্মসংস্থান, তা নিয়ে কিছু তো বলতে পারে ৷ প্রতিটি পেশার তো সম্মান আছে, এই পেশার সঙ্গে যাঁরা যুক্ত রয়েছেন, তাঁদের অসম্মান করা হচ্ছে বিজেপির এই কর্মসূচির মাধ্যমে ৷
আরও পড়ুন : চপের পর কচুরিপানা শিল্প ! শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের পরামর্শ মমতার