ETV Bharat / city

TMC MP Sisir Adhikari : তৃণমূলের শিশিরকে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় কি পাঠাবে বিজেপি ?

খাতায়-কলমে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলের সদস্য ৷ কিন্তু তাঁকে নাকি বিজেপি রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় পাঠাতে পারে (BJP may Propose TMC MP Sisir Adhikari name as President Nominated Member in Rajya Sabha) ৷ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে ৷

bjp-may-propose-tmc-mp-sisir-adhikari-name-as-president-nominated-member-in-rajya-sabha
TMC MP Sisir Adhikari : তৃণমূলের শিশিরকে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় কি পাঠাবে বিজেপি ?
author img

By

Published : May 16, 2022, 5:27 PM IST

Updated : May 16, 2022, 10:04 PM IST

কলকাতা, 16 মে : শুভেন্দু অধিকারী (BJP MLA Suvendu Adhikari) ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদানের পর থেকে রাজনীতির অঙ্গনে অনেকটাই অন্তরালে চলে গিয়েছেন শিশির অধিকারী (TMC MP Sisir Adhikari) ৷ এমনকি, এই মুহূর্তে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক কী, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে ৷ কিন্তু সেই ধোঁয়াশা বোধহয় এবার কাটার সময় এসেছে৷ গেরুয়া শিবির সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে ৷ ওই সূত্রের দাবি, সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে উচ্চকক্ষে শান্তিকুঞ্জের কর্তাকে পাঠাতে পারে বিজেপি ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশ মেনে তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ramnath Kovind) ৷

সত্যিই কি তাই ? গেরুয়া শিবির আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছে ৷ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় ৷ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না ৷’’ শিশির অধিকারীও ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন যে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না ৷

যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে দলের জাতীয়স্তরের প্রথম সারির একজন নেতা কথা বলেছেন শিশির অধিকারীর সঙ্গে ৷ তাঁকে এই বিষয়ে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ৷ এমনকি, বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) যে রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি বঙ্গ বিজেপির গুটিকয়েক নেতার সঙ্গে করেছিলেন, সেখানেও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা শিশির অধিকারীর মেজ ছেলে শুভেন্দুও উপস্থিত ছিলেন ৷

কাঁথির সাংসদকে নিয়ে এই জল্পনা আদৌ সত্যি কি না, তার উত্তর তো রয়েছে সময়ের গর্ভে ৷ কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের অনেক অঙ্ক ৷ প্রথমত, শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ ভোটের পর মুকুল রায়-সহ যাঁরা পদত্যাগ না করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন, তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য সবচেয়ে বেশি সরব শুভেন্দু ৷ কিন্তু তিনি যতবার সরব হন, ততবারই তৃণমূল পালটা শিশির অধিকারীর উদাহরণ তুলে ধরে ৷

তৃণমূলের শিশিরকে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় কি পাঠাবে বিজেপি

শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ৷ অথচ বিধানসভা ভোটের আগে তিনি নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দুর হয়ে ভোট চেয়েছেন ৷ বিজেপির ভোট প্রচারের সভায় অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে তাঁকে একমঞ্চে দেখা গিয়েছে ৷ যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাননি ৷ তৃণমূলের তরফে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে শিশিরবাবুর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন করা হয়েছে ৷ সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি এখনও ৷

তাই তৃণমূল বারবার ‘আপনি আচরি ধর্ম’-এর যুক্তি দিয়ে শুভেন্দুকে খোঁচা দেয় ৷ রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য় হিসেবে রাজ্যসভায় যেতে গেলে শিশিরবাবুকে কাঁথির সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করতে হবে ৷ ফলে তৃণমূলের আক্রমণ কিছুটা হলেও ভোঁতা হবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ৷

দ্বিতীয়ত, শিশির অধিকারী এখন রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ৷ বিজেপির সরকারের তরফে তাঁকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভার পাঠানো হলে, তিনি আবার সক্রিয় হতে পারবেন ৷ এবার সরাসরি বিজেপির হয়ে কথা বলতে পারবেন ৷ সেটা পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিজেপির জন্য ইতিবাচক হবে ৷ যা লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যকরী হতে পারে গেরুয়া শিবিরের জন্য ৷

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রাজ্যসভায় 12 জনকে সাংসদ হিসেবে মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি ৷ এখন সেখানে পাঁচটি শূন্যপদ রয়েছে ৷ সেই পাঁচটিতে কাদের জায়গা দেওয়া হবে, তা নিয়েই চলছে আলোচনা ৷ এতদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে দু’জন রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় ছিলেন ৷ তাঁদের একজন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, দ্বিতীয়জন স্বপন দাশগুপ্ত ৷ দু’জনেরই মেয়াদ শেষ হয়েছে ৷ বিজেপি সূত্রের খবর, স্বপন দাশগুপ্তকে দ্বিতীয়বার মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি প্রায় পাকা ৷

এখন দ্বিতীয় কাকে পাঠানো যায়, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে গেরুয়া শিবির ৷ সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে বেহালায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (BCCI President Sourav Ganguly) বাড়িতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সূত্রের খবর, সেখানে সৌরভ বা তাঁর স্ত্রী ডোনাকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ করার প্রস্তাব দেওয়া হয় ৷ কিন্তু সেই প্রস্তাবে এখনও কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি ৷ সেই কারণেই প্ল্যান-বি তৈরি করে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির ৷

কিন্তু রাষ্ট্রপতি শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান থাকলে তবেই এই মনোনয়ন দেন ৷ ফলে শিশির অধিকারীকে কোন বিভাগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, উঠছে এই প্রশ্নও ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটি অংশের ব্যাখ্যা, এখানে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাঁর সামাজিক কাজকে হাতিয়ার করতে পারে বিজেপি ৷ ঠিক যেভাবে উত্তর প্রদেশের শোনভদ্রের বিজেপি নেতা রাম শাকালকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) ৷

তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাংসদকে বিজেপি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে রাজ্যসভায় পাঠাতে চায় ৷ ঘাসফুল শিবির বিষয়টি কেমনভাবে দেখছে ? উত্তরে দলের অন্যতম রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (TMC Leader Kunal Ghosh) ইটিভি ভারতকে বলেছেন, ‘‘বলতে পারব না ৷ উনি তো বিশ্বাসঘাতক ৷ তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিজেপিতে যে তিনি অনেক আগেই যোগ দিয়েছিলেন, এবার তার পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি কী কী পাবেন, সেটা ওঁর ব্যাপার ৷ আমরা জানি না এগুলো ৷’’

একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘ইস্তফা দিলে যে কেউ চলে যেতে পারেন ৷ কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কার হিসেবে সাময়িক কিছু ৷ সম্মান তো ধূলোয় লুটিয়ে গিয়েছে ৷ বাড়ির থেকে বের হতে পারেন না ৷ নিজের পাড়ায় হাঁটতে পারেন না ৷ বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কার যদি কেউ পায়, সেটা তাঁর ব্যাপার ৷ এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না ৷’’

যদিও শিশির অধিকারীর নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে রাষ্ট্রপতির তরফে এবার রাজ্যসভার মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি ৷ তাই শেষ পর্যন্ত শান্তিকুঞ্জের কর্তা নাকি বেহালার বাঁ-হাতি বা তাঁর স্ত্রী কে যান সংসদের উচ্চকক্ষে, এখন সেই উত্তরের অপেক্ষায় বঙ্গ রাজনীতি ৷

আরও পড়ুন : Speculation on Sourav-Dona : রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ-ডোনা ? জল্পনা জোরাল রাজ্য-রাজনীতিতে

কলকাতা, 16 মে : শুভেন্দু অধিকারী (BJP MLA Suvendu Adhikari) ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগদানের পর থেকে রাজনীতির অঙ্গনে অনেকটাই অন্তরালে চলে গিয়েছেন শিশির অধিকারী (TMC MP Sisir Adhikari) ৷ এমনকি, এই মুহূর্তে তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান ঠিক কী, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে বঙ্গ রাজনীতিতে ৷ কিন্তু সেই ধোঁয়াশা বোধহয় এবার কাটার সময় এসেছে৷ গেরুয়া শিবির সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত মিলতে শুরু করেছে ৷ ওই সূত্রের দাবি, সংসদের নিম্নকক্ষ থেকে উচ্চকক্ষে শান্তিকুঞ্জের কর্তাকে পাঠাতে পারে বিজেপি ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সুপারিশ মেনে তাঁকে রাজ্যসভায় সাংসদ হিসেবে মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ (President Ramnath Kovind) ৷

সত্যিই কি তাই ? গেরুয়া শিবির আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছে ৷ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার এই বিষয়ে ইটিভি ভারতকে বলেন, ‘‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় ৷ এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না ৷’’ শিশির অধিকারীও ইটিভি ভারতকে জানিয়েছেন যে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না ৷

যদিও বিজেপি সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে দলের জাতীয়স্তরের প্রথম সারির একজন নেতা কথা বলেছেন শিশির অধিকারীর সঙ্গে ৷ তাঁকে এই বিষয়ে প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে ৷ এমনকি, বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Union Home Minister Amit Shah) যে রুদ্ধদ্বার বৈঠকটি বঙ্গ বিজেপির গুটিকয়েক নেতার সঙ্গে করেছিলেন, সেখানেও এই নিয়ে আলোচনা হয়েছে ৷ ওই বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা শিশির অধিকারীর মেজ ছেলে শুভেন্দুও উপস্থিত ছিলেন ৷

কাঁথির সাংসদকে নিয়ে এই জল্পনা আদৌ সত্যি কি না, তার উত্তর তো রয়েছে সময়ের গর্ভে ৷ কিন্তু রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে লুকিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের অনেক অঙ্ক ৷ প্রথমত, শুভেন্দু অধিকারী বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন ৷ ভোটের পর মুকুল রায়-সহ যাঁরা পদত্যাগ না করে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন, তাঁদের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য সবচেয়ে বেশি সরব শুভেন্দু ৷ কিন্তু তিনি যতবার সরব হন, ততবারই তৃণমূল পালটা শিশির অধিকারীর উদাহরণ তুলে ধরে ৷

তৃণমূলের শিশিরকে রাষ্ট্রপতির মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় কি পাঠাবে বিজেপি

শিশির অধিকারী এখনও তৃণমূলের সাংসদ৷ অথচ বিধানসভা ভোটের আগে তিনি নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দুর হয়ে ভোট চেয়েছেন ৷ বিজেপির ভোট প্রচারের সভায় অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদির (Prime Minister Narendra Modi) সঙ্গে তাঁকে একমঞ্চে দেখা গিয়েছে ৷ যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাননি ৷ তৃণমূলের তরফে লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার কাছে শিশিরবাবুর সাংসদ পদ খারিজের আবেদন করা হয়েছে ৷ সেই আবেদনের নিষ্পত্তি হয়নি এখনও ৷

তাই তৃণমূল বারবার ‘আপনি আচরি ধর্ম’-এর যুক্তি দিয়ে শুভেন্দুকে খোঁচা দেয় ৷ রাষ্ট্রপতির মনোনীত সদস্য় হিসেবে রাজ্যসভায় যেতে গেলে শিশিরবাবুকে কাঁথির সাংসদ হিসেবে পদত্যাগ করতে হবে ৷ ফলে তৃণমূলের আক্রমণ কিছুটা হলেও ভোঁতা হবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ৷

দ্বিতীয়ত, শিশির অধিকারী এখন রাজনৈতিকভাবে নিষ্ক্রিয় ৷ বিজেপির সরকারের তরফে তাঁকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভার পাঠানো হলে, তিনি আবার সক্রিয় হতে পারবেন ৷ এবার সরাসরি বিজেপির হয়ে কথা বলতে পারবেন ৷ সেটা পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিজেপির জন্য ইতিবাচক হবে ৷ যা লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যকরী হতে পারে গেরুয়া শিবিরের জন্য ৷

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, রাজ্যসভায় 12 জনকে সাংসদ হিসেবে মনোনীত করতে পারেন রাষ্ট্রপতি ৷ এখন সেখানে পাঁচটি শূন্যপদ রয়েছে ৷ সেই পাঁচটিতে কাদের জায়গা দেওয়া হবে, তা নিয়েই চলছে আলোচনা ৷ এতদিন পশ্চিমবঙ্গ থেকে দু’জন রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ হিসেবে রাজ্যসভায় ছিলেন ৷ তাঁদের একজন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, দ্বিতীয়জন স্বপন দাশগুপ্ত ৷ দু’জনেরই মেয়াদ শেষ হয়েছে ৷ বিজেপি সূত্রের খবর, স্বপন দাশগুপ্তকে দ্বিতীয়বার মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি প্রায় পাকা ৷

এখন দ্বিতীয় কাকে পাঠানো যায়, সেই বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করছে গেরুয়া শিবির ৷ সম্প্রতি বঙ্গ সফরে এসে বেহালায় সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (BCCI President Sourav Ganguly) বাড়িতে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ সূত্রের খবর, সেখানে সৌরভ বা তাঁর স্ত্রী ডোনাকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত রাজ্যসভার সাংসদ করার প্রস্তাব দেওয়া হয় ৷ কিন্তু সেই প্রস্তাবে এখনও কোনও ইতিবাচক সাড়া মেলেনি ৷ সেই কারণেই প্ল্যান-বি তৈরি করে রাখতে চাইছে গেরুয়া শিবির ৷

কিন্তু রাষ্ট্রপতি শিল্পকলা, সাহিত্য, বিজ্ঞান ও সামাজিক কাজের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান থাকলে তবেই এই মনোনয়ন দেন ৷ ফলে শিশির অধিকারীকে কোন বিভাগ থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, উঠছে এই প্রশ্নও ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটি অংশের ব্যাখ্যা, এখানে রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাঁর সামাজিক কাজকে হাতিয়ার করতে পারে বিজেপি ৷ ঠিক যেভাবে উত্তর প্রদেশের শোনভদ্রের বিজেপি নেতা রাম শাকালকে রাষ্ট্রপতি মনোনীত সাংসদ করেছে কেন্দ্রের মোদি সরকার (Modi Government) ৷

তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাংসদকে বিজেপি রাষ্ট্রপতির মাধ্যমে রাজ্যসভায় পাঠাতে চায় ৷ ঘাসফুল শিবির বিষয়টি কেমনভাবে দেখছে ? উত্তরে দলের অন্যতম রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (TMC Leader Kunal Ghosh) ইটিভি ভারতকে বলেছেন, ‘‘বলতে পারব না ৷ উনি তো বিশ্বাসঘাতক ৷ তৃণমূলের টিকিটে জিতে বিজেপিতে যে তিনি অনেক আগেই যোগ দিয়েছিলেন, এবার তার পারিশ্রমিক হিসেবে তিনি কী কী পাবেন, সেটা ওঁর ব্যাপার ৷ আমরা জানি না এগুলো ৷’’

একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘‘ইস্তফা দিলে যে কেউ চলে যেতে পারেন ৷ কিন্তু বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কার হিসেবে সাময়িক কিছু ৷ সম্মান তো ধূলোয় লুটিয়ে গিয়েছে ৷ বাড়ির থেকে বের হতে পারেন না ৷ নিজের পাড়ায় হাঁটতে পারেন না ৷ বিশ্বাসঘাতকতার পুরস্কার যদি কেউ পায়, সেটা তাঁর ব্যাপার ৷ এ ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না ৷’’

যদিও শিশির অধিকারীর নাম নিয়ে জল্পনা শুরু হতেই আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছে রাষ্ট্রপতির তরফে এবার রাজ্যসভার মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি ৷ তাই শেষ পর্যন্ত শান্তিকুঞ্জের কর্তা নাকি বেহালার বাঁ-হাতি বা তাঁর স্ত্রী কে যান সংসদের উচ্চকক্ষে, এখন সেই উত্তরের অপেক্ষায় বঙ্গ রাজনীতি ৷

আরও পড়ুন : Speculation on Sourav-Dona : রাজ্যসভায় যাচ্ছেন সৌরভ-ডোনা ? জল্পনা জোরাল রাজ্য-রাজনীতিতে

Last Updated : May 16, 2022, 10:04 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.