নয়াদিল্লি, 11 ফেব্রুয়ারি: বাসের সিটে বসে খাবার খাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি ৷ খাবার খেতে খেতে তার থেকে খানিকটা সিটে পড়ে যায় ৷ এমনটা দেখে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন বাসচালক ও কন্ডাক্টর ৷ তারপরই শুরু হয় ঝামেলা ৷ সেখান থেকে মারধর ৷ বাসের মধ্য়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করেও কোনও সাহায্য মেলেনি ওই যাত্রীর ৷ বাসচালক ও কন্ডাক্টর শেষমেশ তাঁকে পিটিয়ে মেরে ফেলে ৷ পরে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায় ৷ ঘটনাটি ঘটেছে নয়াদিল্লিতে ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে 2 ফেব্রুয়ারি ঘটেছিল এবং অভিযোগ দায়ের করা হয় 3 ফেব্রুয়ারি। মৃতের ভাই অভিযোগ দায়ের করেন থাকায় ৷ ঘটনাটি সামনে আসার পর, পুলিশ তৎপর হয় ৷ গত, 4 ফেব্রুয়ারি মৃতের ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় একজন সন্দেহভাজন যাত্রীকে আটক করে পুলিশ । পুলিশের অনুমান ওই যাত্রী ঘটনার সময় বাসে ছিলেন ৷ তিনি পলাতক বাসচালক ও কন্ডাক্টরের বিষয়ে কিছু জানতে পারেন ৷ তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয় ৷
তিনি বাসে ঘটে যাওয়া ঘটনার কথা জানান ৷ তবে, বর্তমানে অভিযুক্ত বাসচালক এবং কন্ডাক্টর এখনও পুলিশি নাগালের বাইরে। পুলিশ এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে না-পারায় ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷
মৃতের ভাই জিতেন্দ্র বলেন, "আমার দাদাকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েেছ ৷ কারণ দাদা বাসে বসে খাবার খাচ্ছিলেন ৷ সেখান থেকে একটু খাবার সিটে পড়ে যায় ৷ তার জন্য পিটিয়ে মেরা ফেলা হয় দাদাকে ৷ আমরা এহেন পুলিশের পদক্ষেপে খুশি নয়। অপরাধীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে ৷ পলাতকদের শনাক্তও করা হয়েছে, কিন্তু পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ।" অন্যদিকে, পুলিশের বক্তব্য, পলাতক অভিযুক্তদের শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।