কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বড় বড় করে লেখা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সঙ্গে পরিচয় তিনি BJP নেত্রী। নিজেকে BJP সংখ্যালঘু সেলের মুখ হিসেবে দাবি করেন। একটা সময় তিন তালাক মামলায় ইশরাত জাহানের আইনজীবী হিসেবে নিজেকে দাবি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। সেই নাজিয়া ইলাহি খানের বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণার অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের মামলায় সূত্র ধরে তিনি নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। সেই আগাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। যার ফলে ওই BJP নেত্রীকে যেকোনও সময় গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বছর দুয়েক আগে। সন্দীপ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি তার বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলার জন্য আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করেন নাজিয়াকে। তখন তিন তালাক মামলায় ইসরাত জাহানের পক্ষে সাওয়াল করার দাবি তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন নাজিয়া। সেই সূত্র ধরেই সন্দ্বীপ তার নিজের মামলা দিয়েছিলেন নাজিয়াকে। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। সেই সূত্র ধরে নাজিয়াকে মোট 6 লাখ টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সন্দীপ। পুরো টাকাটাই দিয়েছেন ব্যাঙ্ক ট্রানজেকশনের মাধ্যমে। এমনকি দিল্লিতে যাতায়াতের ফ্লাইটের টিকিট নাজিয়াকে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সন্দীপ বলেন, “ 2018 সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমি আমার মামলা দিয়েছিলাম। আমাকে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে বর্ণনা দিয়েছিলেন নাজিয়া দেবী। আমি ওনাকে মোট ছয় লাখ টাকা দিয়েছিলাম ফি হিসেবে। পরে জানতে পারি আমার মামলা কোন কোর্টেই উনি দায়ের করেননি। তখন বহু সময় পার হয়ে গেছে। আমি পরে টাকা ফেরত চাই। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি অনেকের সঙ্গেই এমন প্রতারণা করেছেন নাজিয়া দেবী। আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, ইসরাত জাহানের তিন তালাক মামলাতে উনি আইনজীবী হিসেবে ছিলেন না। সুপ্রিম কোর্টের রেকর্ড তাই বলছে। সন্দেহ হওয়ায় হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর শুরু করি। জানতে পারি উনি আদতে আইনজীবী নন। বুঝতে পারি আমি পুরোপুরি প্রতারণার শিকার।" এই ঘটনার সূত্র ধরে গত জুন মাসে গিরিশ পার্ক থানায় মামলা দায়ের করেন সন্দীপ।
ইশরাতের কি আদৌ আইনজীবী ছিলেন নাজিয়া? এ প্রসঙ্গে ইশরাত স্বয়ং বিষয়টিতে মান্যতা দেননি। ইঙ্গিত পূর্ণ ভাবে তিনি বলেন, “ এ প্রসঙ্গে আমি কোনও মন্তব্য করব না। উনি কিনা আপনারা খুঁজে দেখে নিন।"
সন্দীপের মামলার সূত্র ধরে, ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন নাজিয়া। সেই মামলায় তার আগাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। এমনটাই জানিয়েছেন সন্দীপের আইনজীবী উদয় ঝাঁ। তিনি বলেন, “ আজ আদালত দুটো জিনিস মোটের ওপর মেনে নিয়েছে। এক, উনি আইনজীবী নন। দুই, উনি আমার মক্কেলের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আজ আদালতের বিচারক অভিযুক্তের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, নাজিয়া ইলাহি কি আদৌ আইনজীবী? ওনার আইনজীবী কোনও উত্তর দেননি। আমরা বিচারককে নাজিয়ার সোশাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট খুলে দেখাই। আমরা জানতে চাই উনি আইনজীবী হলে, কোন বার কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করা আছে সেটা দেখানো হোক। কোন কলেজ থেকে উনি আইন পাস করেছেন সেই নথি দাখিল করা হোক। কিন্তু সে সব কিছুই দেখাতে পারেননি। তার জেরে জামিন নামঞ্জুর করেছেন।"
পুরো বিষয়টি নিয়ে নাজিয়া বলেন, “ এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। আমি BJP-র সংখ্যালঘু মুখ। সেই কারণে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি তো কেসটার বিষয়ে কিছু জানতামই না। যিনি এই কেস করেছেন তিনি নিজেই বেশকিছু মামলায় অভিযুক্ত।" তিনি আইনজীবী কিনা সেই প্রশ্ন করতে নাজিয়া বলেন, “ আমার কাছে যা কাগজ আছে আমি সেটা যথা জায়গায় পেশ করব।" যদিও তিনি কোন বার কাউন্সিলে রেজিস্টার্ড সেটি জানাতে চাননি।
আগাম জামিন নামঞ্জুর, প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার করা হতে পারে BJP নেত্রী নাজিয়াকে
তিন তালাক মামলায় ইশরাত জাহানের আইনজীবী হিসাবে একসময় প্রচারের আলোয় উঠে আসেন নাজিয়া ইলাহি খান ৷ তাঁর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে লেখা আছে তিনি একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সেই নাজিয়ার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠল ৷ তিনি এই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করলেও ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তা নামঞ্জুর হয়েছে ৷
কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: তার সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বড় বড় করে লেখা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। সঙ্গে পরিচয় তিনি BJP নেত্রী। নিজেকে BJP সংখ্যালঘু সেলের মুখ হিসেবে দাবি করেন। একটা সময় তিন তালাক মামলায় ইশরাত জাহানের আইনজীবী হিসেবে নিজেকে দাবি করে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন। সেই নাজিয়া ইলাহি খানের বিরুদ্ধে উঠেছে প্রতারণার অভিযোগ। কলকাতা পুলিশের মামলায় সূত্র ধরে তিনি নিম্ন আদালতে আগাম জামিনের আবেদন করেন। সেই আগাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। যার ফলে ওই BJP নেত্রীকে যেকোনও সময় গ্রেপ্তার করতে পারে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত বছর দুয়েক আগে। সন্দীপ আগরওয়াল নামে এক ব্যক্তি তার বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলার জন্য আইনজীবী হিসেবে নিয়োগ করেন নাজিয়াকে। তখন তিন তালাক মামলায় ইসরাত জাহানের পক্ষে সাওয়াল করার দাবি তুলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন নাজিয়া। সেই সূত্র ধরেই সন্দ্বীপ তার নিজের মামলা দিয়েছিলেন নাজিয়াকে। এমনটাই দাবি করেছেন তিনি। সেই সূত্র ধরে নাজিয়াকে মোট 6 লাখ টাকা দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন সন্দীপ। পুরো টাকাটাই দিয়েছেন ব্যাঙ্ক ট্রানজেকশনের মাধ্যমে। এমনকি দিল্লিতে যাতায়াতের ফ্লাইটের টিকিট নাজিয়াকে দিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। সন্দীপ বলেন, “ 2018 সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমি আমার মামলা দিয়েছিলাম। আমাকে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে বর্ণনা দিয়েছিলেন নাজিয়া দেবী। আমি ওনাকে মোট ছয় লাখ টাকা দিয়েছিলাম ফি হিসেবে। পরে জানতে পারি আমার মামলা কোন কোর্টেই উনি দায়ের করেননি। তখন বহু সময় পার হয়ে গেছে। আমি পরে টাকা ফেরত চাই। কিন্তু উনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি অনেকের সঙ্গেই এমন প্রতারণা করেছেন নাজিয়া দেবী। আরও বিস্তারিত খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি, ইসরাত জাহানের তিন তালাক মামলাতে উনি আইনজীবী হিসেবে ছিলেন না। সুপ্রিম কোর্টের রেকর্ড তাই বলছে। সন্দেহ হওয়ায় হাইকোর্ট সুপ্রিমকোর্ট বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর শুরু করি। জানতে পারি উনি আদতে আইনজীবী নন। বুঝতে পারি আমি পুরোপুরি প্রতারণার শিকার।" এই ঘটনার সূত্র ধরে গত জুন মাসে গিরিশ পার্ক থানায় মামলা দায়ের করেন সন্দীপ।
ইশরাতের কি আদৌ আইনজীবী ছিলেন নাজিয়া? এ প্রসঙ্গে ইশরাত স্বয়ং বিষয়টিতে মান্যতা দেননি। ইঙ্গিত পূর্ণ ভাবে তিনি বলেন, “ এ প্রসঙ্গে আমি কোনও মন্তব্য করব না। উনি কিনা আপনারা খুঁজে দেখে নিন।"
সন্দীপের মামলার সূত্র ধরে, ব্যাঙ্কশাল কোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন নাজিয়া। সেই মামলায় তার আগাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত। এমনটাই জানিয়েছেন সন্দীপের আইনজীবী উদয় ঝাঁ। তিনি বলেন, “ আজ আদালত দুটো জিনিস মোটের ওপর মেনে নিয়েছে। এক, উনি আইনজীবী নন। দুই, উনি আমার মক্কেলের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আজ আদালতের বিচারক অভিযুক্তের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, নাজিয়া ইলাহি কি আদৌ আইনজীবী? ওনার আইনজীবী কোনও উত্তর দেননি। আমরা বিচারককে নাজিয়ার সোশাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট খুলে দেখাই। আমরা জানতে চাই উনি আইনজীবী হলে, কোন বার কাউন্সিলে নাম নথিভুক্ত করা আছে সেটা দেখানো হোক। কোন কলেজ থেকে উনি আইন পাস করেছেন সেই নথি দাখিল করা হোক। কিন্তু সে সব কিছুই দেখাতে পারেননি। তার জেরে জামিন নামঞ্জুর করেছেন।"
পুরো বিষয়টি নিয়ে নাজিয়া বলেন, “ এটা তৃণমূলের চক্রান্ত। আমি BJP-র সংখ্যালঘু মুখ। সেই কারণে আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি তো কেসটার বিষয়ে কিছু জানতামই না। যিনি এই কেস করেছেন তিনি নিজেই বেশকিছু মামলায় অভিযুক্ত।" তিনি আইনজীবী কিনা সেই প্রশ্ন করতে নাজিয়া বলেন, “ আমার কাছে যা কাগজ আছে আমি সেটা যথা জায়গায় পেশ করব।" যদিও তিনি কোন বার কাউন্সিলে রেজিস্টার্ড সেটি জানাতে চাননি।