ETV Bharat / city

বিমল-রোশন পলাতক, রাজ্যের দাবির স্বপক্ষে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট

author img

By

Published : Dec 10, 2019, 9:54 PM IST

বিমল গুরুং, রোশন গিরি পলাতক ৷ রাজ্যের এই দাবির স্বপক্ষে আজ হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

Bimal Gurung, Roshan Giri absconding, Calcutta High Court seeks affidavit on behalf of the state
প্রতীকী ছবি

কলকাতা, 10 ডিসেম্বর : বিমল গুরুং, রোশন গিরি পলাতক ৷ রাজ্যের এই দাবির স্বপক্ষে আজ হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

এর আগে এই মামলার শুনানিতে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে সরকারপক্ষ দাবি করে, বিমল গুরুং, রোশন গিরি দেশে নেই । তাঁরা নেপালে আত্মগোপন করেছেন । সরকারপক্ষ কিছু গোপন নথিপত্র আদালতকে দেখিয়েছে । যার ফলে যে ব্যক্তি দেশেই নেই তাঁর আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি আদৌ হতে পারে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের AG কিশোর দত্ত ও সরকারি কৌসুলি শাশ্বত গোপাল মুখার্জি । আজ আবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে ।

শুনানিতে রাজ্যের তরফে AG কিশোর দত্ত আজ আবার বলেন," বিমল গুরুং, রোশন গিরি দেশ থেকে পালিয়েছেন । তাঁরা নেপালে লুকিয়ে রয়েছেন ।" তাতে বিমল গুরুং ও রোশান গিরির আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর বলেন, "আমার মক্কেলরা মোটেও দেশ থেকে পালাননি । 1950 সালে নেপালের সঙ্গে আমাদের দেশের একটা বিশেষ চুক্তি হয়েছিল । চুক্তি অনুযায়ী আমাদের দেশের যে কোনও বাসিন্দাই সেখানে গিয়ে কিছুদিনের জন্য থাকতে পারেন । সেই মতো আমার মক্কেল মাঝে মাঝে সেখানে যান । থাকেন । তার মানে এই নয় যে তিনি পলাতক ।" এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ দু'পক্ষকেই তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানানোর নির্দেশ দেয় । দু'পক্ষকেই তাদের যুক্তির স্বপক্ষে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট । বড়দিনের ছুটির পর এই মামলার আবার পরবর্তী শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ।

বিমল গুরুং ও রোশন গিরি কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ জলপাইগুড়িতে প্রায় 130 টি-র বেশি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন । দীর্ঘদিন ধরে এই মামলাগুলির শুনানি চলছিল সার্কিট বেঞ্চে । এরপর মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির তাগিদে হাইকোর্টের মূল বেঞ্চে শুনানির আবেদন জানান বিমল গুরুং ও রোশন গিরির আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর ও ইউ লামা । হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে । এরপর থেকে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে মামলার শুনানি ।

কলকাতা, 10 ডিসেম্বর : বিমল গুরুং, রোশন গিরি পলাতক ৷ রাজ্যের এই দাবির স্বপক্ষে আজ হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ৷

এর আগে এই মামলার শুনানিতে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে সরকারপক্ষ দাবি করে, বিমল গুরুং, রোশন গিরি দেশে নেই । তাঁরা নেপালে আত্মগোপন করেছেন । সরকারপক্ষ কিছু গোপন নথিপত্র আদালতকে দেখিয়েছে । যার ফলে যে ব্যক্তি দেশেই নেই তাঁর আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি আদৌ হতে পারে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের AG কিশোর দত্ত ও সরকারি কৌসুলি শাশ্বত গোপাল মুখার্জি । আজ আবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে ।

শুনানিতে রাজ্যের তরফে AG কিশোর দত্ত আজ আবার বলেন," বিমল গুরুং, রোশন গিরি দেশ থেকে পালিয়েছেন । তাঁরা নেপালে লুকিয়ে রয়েছেন ।" তাতে বিমল গুরুং ও রোশান গিরির আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর বলেন, "আমার মক্কেলরা মোটেও দেশ থেকে পালাননি । 1950 সালে নেপালের সঙ্গে আমাদের দেশের একটা বিশেষ চুক্তি হয়েছিল । চুক্তি অনুযায়ী আমাদের দেশের যে কোনও বাসিন্দাই সেখানে গিয়ে কিছুদিনের জন্য থাকতে পারেন । সেই মতো আমার মক্কেল মাঝে মাঝে সেখানে যান । থাকেন । তার মানে এই নয় যে তিনি পলাতক ।" এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ দু'পক্ষকেই তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানানোর নির্দেশ দেয় । দু'পক্ষকেই তাদের যুক্তির স্বপক্ষে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট । বড়দিনের ছুটির পর এই মামলার আবার পরবর্তী শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ।

বিমল গুরুং ও রোশন গিরি কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ জলপাইগুড়িতে প্রায় 130 টি-র বেশি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন । দীর্ঘদিন ধরে এই মামলাগুলির শুনানি চলছিল সার্কিট বেঞ্চে । এরপর মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির তাগিদে হাইকোর্টের মূল বেঞ্চে শুনানির আবেদন জানান বিমল গুরুং ও রোশন গিরির আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর ও ইউ লামা । হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে । এরপর থেকে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে মামলার শুনানি ।

Intro:মানস নস্কর

রাজ্যের দাবি বিমল গুরুং রশান গিরি দেশে নেই, এই বক্তব্যের স্বপক্ষে হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট

কলকাতা 10 ডিসেম্বর:
এর আগেও সরকারপক্ষ দাবি করেছে বিমল গুরুং রশান গিরি দেশে নেই তারা নেপালে আত্মগোপন করেছেন। আজ আবার সরকারপক্ষ অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে সেই দাবি জানালো হাইকোর্টে।


Body:এর আগে এই মামলার শুনানিতে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ সরকারপক্ষ দাবি করে বিমল গুরুং রোশান গিরি দেশে নেই। তারা নেপালে আত্মগোপন করেছেন। সরকারপক্ষ কিছু গোপন নথিপত্র আদালতকে দেখিয়েছে। ফলে যে ব্যক্তি দেশেই নেই তার আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি আদৌ হতে পারে কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের এজি ও সরকারি কৌসুলি শাশ্বত গোপাল মুখার্জি। আজ আবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয়মাল্য বাকচি ও মনোজিৎ মন্ডলের ডিভিশন বেঞ্চ। শুনানিতে রাজ্যের তরফে এজি কিশোর দত্ত আজ আবার বলেন," বিমল গুরুং রোসাংগিরী দেশ থেকে পালিয়েছে। তারা নেপালে লুকিয়ে রয়েছে।" তাতে বিমল গুরুং ও রশান গিরি আইনজীবী ওয়াই যে দস্তুর বলেন," আমার মক্কেল রা মোটেও দেশ থেকে পালাইনি।1950 সালের নেপালের সাথে আমাদের দেশের একটা বিশেষ চুক্তি হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী আমাদের দেশের যেকোনো বাসিন্দা ই সেখানে গিয়ে কিছুদিনের জন্য থাকতে পারে। সেইমতো আমার মক্কেল মাঝে মাঝে সেখানে যান। থাকেন। তার মানে এই নয় যে তিনি পলাতক।" এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ দুই পক্ষকেই তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানানোর নির্দেশ দেন। দু'পক্ষকেই তাদের যুক্তির স্বপক্ষে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিলো হাইকোর্ট। বড়দিনের ছুটির পর এই মামলার আবার পরবর্তী শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছে দিভিশন বেঞ্চ।

প্রসঙ্গত আমরা জানি বিমল গুরুং ও রশান গীরি কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ জলপাইগুড়িতে প্রায় 130 টির বেশি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানি চলছিল সার্কিট বেঞ্চ এই। এরপর মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির তাগিদে হাইকোর্টের মূল বেঞ্চে শুনানির আবেদন জানান বিমল গুরুং ও রোশান গিরি আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর ও উর্গেন্ লামা। হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে। এরপর থেকে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মন্ডল এর ডিভিশন বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি।


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.