কলকাতা, 10 ডিসেম্বর : বিমল গুরুং, রোশন গিরি পলাতক ৷ রাজ্যের এই দাবির স্বপক্ষে আজ হলফনামা চাইল কলকাতা হাইকোর্ট ৷
এর আগে এই মামলার শুনানিতে জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে সরকারপক্ষ দাবি করে, বিমল গুরুং, রোশন গিরি দেশে নেই । তাঁরা নেপালে আত্মগোপন করেছেন । সরকারপক্ষ কিছু গোপন নথিপত্র আদালতকে দেখিয়েছে । যার ফলে যে ব্যক্তি দেশেই নেই তাঁর আগাম জামিনের আবেদনের শুনানি আদৌ হতে পারে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল রাজ্যের AG কিশোর দত্ত ও সরকারি কৌসুলি শাশ্বত গোপাল মুখার্জি । আজ আবার এই মামলার শুনানি হয় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে ।
শুনানিতে রাজ্যের তরফে AG কিশোর দত্ত আজ আবার বলেন," বিমল গুরুং, রোশন গিরি দেশ থেকে পালিয়েছেন । তাঁরা নেপালে লুকিয়ে রয়েছেন ।" তাতে বিমল গুরুং ও রোশান গিরির আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর বলেন, "আমার মক্কেলরা মোটেও দেশ থেকে পালাননি । 1950 সালে নেপালের সঙ্গে আমাদের দেশের একটা বিশেষ চুক্তি হয়েছিল । চুক্তি অনুযায়ী আমাদের দেশের যে কোনও বাসিন্দাই সেখানে গিয়ে কিছুদিনের জন্য থাকতে পারেন । সেই মতো আমার মক্কেল মাঝে মাঝে সেখানে যান । থাকেন । তার মানে এই নয় যে তিনি পলাতক ।" এরপরই ডিভিশন বেঞ্চ দু'পক্ষকেই তাদের বক্তব্য লিখিত আকারে জানানোর নির্দেশ দেয় । দু'পক্ষকেই তাদের যুক্তির স্বপক্ষে হলফনামা দিয়ে জানানোর নির্দেশ দিল হাইকোর্ট । বড়দিনের ছুটির পর এই মামলার আবার পরবর্তী শুনানি করা হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ ।
বিমল গুরুং ও রোশন গিরি কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ জলপাইগুড়িতে প্রায় 130 টি-র বেশি মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিলেন । দীর্ঘদিন ধরে এই মামলাগুলির শুনানি চলছিল সার্কিট বেঞ্চে । এরপর মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির তাগিদে হাইকোর্টের মূল বেঞ্চে শুনানির আবেদন জানান বিমল গুরুং ও রোশন গিরির আইনজীবী ওয়াই জে দস্তুর ও ইউ লামা । হাইকোর্ট সেই আবেদন মঞ্জুর করে । এরপর থেকে হাইকোর্টের বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও মনোজিৎ মণ্ডলের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে মামলার শুনানি ।