ETV Bharat / city

Primary Teacher Recruitment Scam: কীসের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছিল অতিরিক্ত নম্বর, হাইকোর্টে প্রশ্ন বিকাশরঞ্জনের

শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় (Primary Teacher Recruitment Scam) পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board Of Primary Education) তথা রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) ৷ তাঁর দাবি, কীসের ভিত্তিতে 269 জন চাকরিপ্রার্থীকে অতিরিক্ত 1 নম্বর দেওয়া হয়েছিল, তা বিশদে তদন্ত করে দেখা দরকার ৷

Bikash Ranjan Bhattacharya questioning the extra marks given process in Primary Teacher Recruitment Scam
Primary Teacher Recruitment Scam: কীসের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছিল অতিরিক্ত নম্বর, হাইকোর্টে প্রশ্ন বিকাশরঞ্জনের
author img

By

Published : Jul 15, 2022, 6:51 PM IST

কলকাতা, 15 জুলাই: আরটিআই-এর মাধ্যমে আবেদন না-করা সত্ত্বেও 269 জন চাকরিপ্রার্থীর সকলকে কেন অতিরিক্ত 1 নম্বর দেওয়া হয়েছিল ? এই বিষয়ে বিশদে তদন্ত হওয়া দরকার ৷ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় (Primary Teacher Recruitment Scam) এই দাবি তুললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) ৷ ইতিমধ্যেই বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে ওই 269 জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি নাকচ করে দিয়েছে আদালত ৷ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Primary Education) দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরে অসন্তুষ্ট ছিলেন ৷ তাই তাঁরা আরটিআই করেছিলেন ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতেই যোগ্যতমদের 1 নম্বর করে অতিরিক্ত দেওয়া হয়ছিল ৷ এবং সেই নম্বরের ভিত্তিতেই তাঁরা চাকরি পান ৷

বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য, চাপের মুখে পিঠ বাঁচাতেই এমন তত্ত্ব খাড়া করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ যাঁদের 1 নম্বর করে বাড়ানো হয়েছিল, তাঁদের সকলে মোটেও আরটিআই করেননি ৷ বদলে তাঁরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন ৷ সেই বিক্ষোভ সামাল দিতেই তাঁদের অতিরিক্ত 1 নম্বর দেওয়া হয়েছিল ৷ বিকাশরঞ্জনের দাবি, এই তথ্য সিঙ্গল বেঞ্চে পর্ষদ নিজেই পেশ করেছিল ৷ কিন্তু, প্রশ্ন হল, কীসের ভিত্তিতে এই আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছিল ? গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিকাশরঞ্জন ৷

আরও পড়ুন: TET Recruitment Scam: টেট দুর্নীতি মামলায় চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি

এর প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, চাকরিপ্রার্থীদের বাড়তি 1 নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতমদেরই বেছে নেওয়া হয়েছিল ৷ যেসব চাকরিপ্রার্থীরা মাত্র 1 নম্বরের জন্য কৃতকার্য হতে পারেননি, তাঁদেরই এই অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল ৷ সেক্ষেত্রে তাঁরা সাধারণ শ্রেণিভুক্ত নাকি কোনও বিশেষ জাতি বা গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, তা গ্রাহ্য করা হয়নি ৷

অন্যদিকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, মামলাকারীরা এমন বেশ কিছু ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছেন, যাঁরা 2014 সালে টেট না দিয়েই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন ! কেউ আবার পরীক্ষায় ফাঁকা উত্তরপত্র জমা দিয়ে চাকরি আদায় করেছেন ! সৌমেন নন্দী নামে এক মামলাকারীর কাছে এমন অন্তত 18 জনের বেআইনি নিয়োগের তথ্য রয়েছে ৷ এমনকী, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ৷ আন্দোলনকারীদের চাকরি পাইয়ে দিতে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে ৷ যা দুর্নীতিরই নামান্তর বলে যুক্তি পেশ করেছেন মামলাকারীদের আইনজীবীরা ৷

সূত্রের দাবি, প্রাথমিকের যে 269 জনের চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে মাত্র 16 জন আরটিআই করেছিলেন ! তাহলে 269 জনকে অতিরিক্ত 1 নম্বর কেন দেওয়া হল ? এই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ তাঁর বক্তব্য, টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একের এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ তার জেরে ব্য়াকফুটে চলে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ এই অবস্থায় পিঠ বাঁচাতেই আরটিআই-এর আশ্রয় নিচ্ছে তারা ৷ তাই সমস্তটাই তদন্ত করে দেখা দরকার বলে দাবি করেছেন বিকাশরঞ্জন ৷ এই বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চে পর্ষদ যে যথাযথ নথি পেশ করতে পারেনি, সেদিকেও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ৷ আগামী মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সবক'টি মামলার ফের শুনানি হবে ৷

কলকাতা, 15 জুলাই: আরটিআই-এর মাধ্যমে আবেদন না-করা সত্ত্বেও 269 জন চাকরিপ্রার্থীর সকলকে কেন অতিরিক্ত 1 নম্বর দেওয়া হয়েছিল ? এই বিষয়ে বিশদে তদন্ত হওয়া দরকার ৷ শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) চলা প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় (Primary Teacher Recruitment Scam) এই দাবি তুললেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya) ৷ ইতিমধ্যেই বেআইনিভাবে নিয়োগের অভিযোগে ওই 269 জন প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি নাকচ করে দিয়েছে আদালত ৷ পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের (West Bengal Board Of Primary Education) দাবি, চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরে অসন্তুষ্ট ছিলেন ৷ তাই তাঁরা আরটিআই করেছিলেন ৷ সেই আবেদনের ভিত্তিতেই যোগ্যতমদের 1 নম্বর করে অতিরিক্ত দেওয়া হয়ছিল ৷ এবং সেই নম্বরের ভিত্তিতেই তাঁরা চাকরি পান ৷

বিকাশরঞ্জনের বক্তব্য, চাপের মুখে পিঠ বাঁচাতেই এমন তত্ত্ব খাড়া করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ যাঁদের 1 নম্বর করে বাড়ানো হয়েছিল, তাঁদের সকলে মোটেও আরটিআই করেননি ৷ বদলে তাঁরা রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছিলেন ৷ সেই বিক্ষোভ সামাল দিতেই তাঁদের অতিরিক্ত 1 নম্বর দেওয়া হয়েছিল ৷ বিকাশরঞ্জনের দাবি, এই তথ্য সিঙ্গল বেঞ্চে পর্ষদ নিজেই পেশ করেছিল ৷ কিন্তু, প্রশ্ন হল, কীসের ভিত্তিতে এই আন্দোলনকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছিল ? গোটা ঘটনায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিকাশরঞ্জন ৷

আরও পড়ুন: TET Recruitment Scam: টেট দুর্নীতি মামলায় চন্দন মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি

এর প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আইনজীবী কিশোর দত্ত জানান, চাকরিপ্রার্থীদের বাড়তি 1 নম্বর দেওয়ার ক্ষেত্রে যোগ্যতমদেরই বেছে নেওয়া হয়েছিল ৷ যেসব চাকরিপ্রার্থীরা মাত্র 1 নম্বরের জন্য কৃতকার্য হতে পারেননি, তাঁদেরই এই অতিরিক্ত নম্বর দেওয়া হয়েছিল ৷ সেক্ষেত্রে তাঁরা সাধারণ শ্রেণিভুক্ত নাকি কোনও বিশেষ জাতি বা গোষ্ঠীর প্রতিনিধি, তা গ্রাহ্য করা হয়নি ৷

অন্যদিকে বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, মামলাকারীরা এমন বেশ কিছু ব্যক্তির খোঁজ পেয়েছেন, যাঁরা 2014 সালে টেট না দিয়েই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন ! কেউ আবার পরীক্ষায় ফাঁকা উত্তরপত্র জমা দিয়ে চাকরি আদায় করেছেন ! সৌমেন নন্দী নামে এক মামলাকারীর কাছে এমন অন্তত 18 জনের বেআইনি নিয়োগের তথ্য রয়েছে ৷ এমনকী, মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ৷ আন্দোলনকারীদের চাকরি পাইয়ে দিতে বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অতিরিক্ত প্যানেল প্রকাশ করা হয়েছে ৷ যা দুর্নীতিরই নামান্তর বলে যুক্তি পেশ করেছেন মামলাকারীদের আইনজীবীরা ৷

সূত্রের দাবি, প্রাথমিকের যে 269 জনের চাকরি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে মাত্র 16 জন আরটিআই করেছিলেন ! তাহলে 269 জনকে অতিরিক্ত 1 নম্বর কেন দেওয়া হল ? এই প্রশ্ন তুলেছেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ৷ তাঁর বক্তব্য, টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় একের এক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ তার জেরে ব্য়াকফুটে চলে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ৷ এই অবস্থায় পিঠ বাঁচাতেই আরটিআই-এর আশ্রয় নিচ্ছে তারা ৷ তাই সমস্তটাই তদন্ত করে দেখা দরকার বলে দাবি করেছেন বিকাশরঞ্জন ৷ এই বিষয়ে সিঙ্গল বেঞ্চে পর্ষদ যে যথাযথ নথি পেশ করতে পারেনি, সেদিকেও আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে ৷ আগামী মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট সবক'টি মামলার ফের শুনানি হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.