ETV Bharat / city

Sovandeb on Governor: খরচ বাঁচাতে রাজ্যপালের পদে প্রধান বিচারপতিকে দেখতে চান শোভনদেব - পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়

গত তিন বছর ধরে বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন জগদীপ ধনকড়ের (Vice President Elect Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Bengal CM Mamata Banerjee) ও তাঁর সরকারের বিরোধের সাক্ষী রাজ্য রাজনীতি ৷ ধনকড় এখন দেশের উপ-রাষ্ট্রপতি পদে শপথের অপেক্ষায় ৷ অস্থায়ী রাজ্যপালের কাজ চালাচ্ছেন লা গণেশন ৷ এই পরিস্থিতি পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়ের (Bengal Minister Sovandeb Chattopadhyay) দাবি, খরচ বাঁচাতে রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়া হোক রাজ্যের প্রধান বিচারপতিকে ৷

Bengal Minister Sovandeb wants to see Calcutta HC Chief Justice as Governor to save costs
Sovandeb on Governor: খরচ বাঁচাতে রাজ্যপালের পদে প্রধান বিচারপতিকে দেখতে চান শোভনদেব
author img

By

Published : Aug 8, 2022, 4:43 PM IST

কলকাতা, 8 অগস্ট : রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়া হোক, সোমবার রাজ্য বিধানসভায় এমন দাবি করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Bengal Minister Sovandeb Chattopadhyay) । তিনি দীর্ঘদিনের রাজনীতিক । লম্বা সময় ধরে পরিষদীয় চৌহদ্দিতে রয়েছেন । বিভিন্ন সময় সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের (Governor) বিরোধ এবং তার পরিণাম সম্পর্কে ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল তিনি । আর সে কারণেই তিনি চান, রাজ্যপাল পদ তুলে দিয়ে যখন যিনি রাজ্যের প্রধান বিচারপতি থাকবেন, তাঁকেই রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়া হোক । খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এটা কি তৃণমূলের (Trinamool Congress) দলীয় অবস্থান ? এই বিষয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দলগতভাবে নয়, তিনি ব্যক্তিগত জায়গা থেকে কথা বলছেন ।

কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে যেভাবে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Vice President Elect Jagdeep Dhankhar) এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাতের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস বলতে শুরু করেছিল, রাজ্যপাল থাকা আর সাদা হাতি পোষা একই বিষয় । অতএব তারাও বলতে শুরু করেছিল, রাজ্যপাল পদটিকে অবলুপ্ত করা হোক । তবে এখন অবশ্য পরিস্থিতি আলাদা । লা গণেশন অস্থায়ী রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে এই সংঘাতের ছবি অতীত । এরকম একটা অবস্থায় কেন হঠাৎ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কেন এই ধরনের কথা বলতে গেলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে ।

এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ঠিক কী বলেছেন ?

তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এই পদটা (রাজ্যপাল) রাখার কোনও প্রয়োজন নেই । সংবিধান বিশ্লেষণ করতে বিভিন্ন সময়ে যে কমিটি হয়েছে যেমন সারকারিয়া কমিশন বা বুচ্চি কমিশন, তারাও কিন্তু এই দায়িত্বটা লাঘব করে দেওয়ার কথা বলেছেন । এক্ষেত্রে আমার মত, রাজ্যের প্রধান বিচারপতিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হোক । তাহলে এত বড় এস্টাবলিশমেন্টের প্রয়োজন নেই । এত খরচের দরকার পড়বে না । যিনি যতদিন প্রধান বিচারপতি থাকবেন, একই সঙ্গে তাঁকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব সামলাতে হবে । আদতে রাজ্যপালের দায়িত্ব হল দেওয়া । এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি যদি এই ভূমিকায় থাকেন, তিনি সবচেয়ে ভালো কাজ করতে পারবেন ।’’

এদিন পরিষদীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতে তা নিয়ে টিপ্পনী করতে শুরু করে বিজেপি (BJP) । এই প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই আমরা জানতাম শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মার্কসবাদী তৃণমূল ছিলেন । ওঁর এই বক্তব্যে সেই বামপন্থী চিন্তাধারাই প্রকাশ পাচ্ছে । আমাদের সকলেরই জানা, কমিউনিস্টদের পুরনো অবস্থান ছিল-তারা রাজ্যপাল পদটির অবলুপ্তি চাইত । তবে সেটা ছিল তাদের দলীয় অবস্থান । তবে তৃণমূল কংগ্রেস দলগতভাবে কখনোই রাজ্যপালের পদের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেছে বলে জানা নেই । যখন ভারতীয় সংবিধান শাসন ব্যবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, প্রধান বিচারপতি প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা কাজ এবং দায়িত্বভার অর্পণ করেছে । সেখানে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো একজন প্রিয় মানুষের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য মানুষ আশা করে না ।’’

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে সিপিএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি । আগে বামপন্থীরা যা বলতেন, এখন তারা (তৃণমূল) বলছেন । কিন্তু বিরোধী দলে থাকাকালীন এ কথা বলতেন না । আগে তৃণমূলের অবস্থান ছিল রাজ্যপাল যা বলবেন, তাই চূড়ান্ত । আজকে রাজ্যপালকে বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো হচ্ছে । আসলে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের আজকে একরকম কথা বলেন, কালকে আর একরকম কথা বলেন । ওঁরা যে কথা বলছেন, তা যদি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেন, তাহলে খুশি হব । তবে কতটা পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে ।’’

আরও পড়ুন : Sukhendu Sekhar Roy: কুণাল পর্বের পর পার্থ নিয়ে মুখ বন্ধ সকলেরই, যা বলার বলবেন সুখেন্দুশেখর

কলকাতা, 8 অগস্ট : রাজ্যপাল পদ তুলে দেওয়া হোক, সোমবার রাজ্য বিধানসভায় এমন দাবি করলেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Bengal Minister Sovandeb Chattopadhyay) । তিনি দীর্ঘদিনের রাজনীতিক । লম্বা সময় ধরে পরিষদীয় চৌহদ্দিতে রয়েছেন । বিভিন্ন সময় সরকারের সঙ্গে রাজ্যপালের (Governor) বিরোধ এবং তার পরিণাম সম্পর্কে ভালোভাবেই ওয়াকিবহাল তিনি । আর সে কারণেই তিনি চান, রাজ্যপাল পদ তুলে দিয়ে যখন যিনি রাজ্যের প্রধান বিচারপতি থাকবেন, তাঁকেই রাজ্যপালের দায়িত্ব দেওয়া হোক । খুব স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, এটা কি তৃণমূলের (Trinamool Congress) দলীয় অবস্থান ? এই বিষয়ে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দলগতভাবে নয়, তিনি ব্যক্তিগত জায়গা থেকে কথা বলছেন ।

কিন্তু সাম্প্রতিক অতীতে যেভাবে প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Vice President Elect Jagdeep Dhankhar) এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে সংঘাতের ছবি প্রকাশ্যে এসেছিল, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস বলতে শুরু করেছিল, রাজ্যপাল থাকা আর সাদা হাতি পোষা একই বিষয় । অতএব তারাও বলতে শুরু করেছিল, রাজ্যপাল পদটিকে অবলুপ্ত করা হোক । তবে এখন অবশ্য পরিস্থিতি আলাদা । লা গণেশন অস্থায়ী রাজ্যপাল হয়ে আসার পর থেকে এই সংঘাতের ছবি অতীত । এরকম একটা অবস্থায় কেন হঠাৎ শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় কেন এই ধরনের কথা বলতে গেলেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে ।

এদিন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় ঠিক কী বলেছেন ?

তিনি বলেন, ‘‘আমি মনে করি এই পদটা (রাজ্যপাল) রাখার কোনও প্রয়োজন নেই । সংবিধান বিশ্লেষণ করতে বিভিন্ন সময়ে যে কমিটি হয়েছে যেমন সারকারিয়া কমিশন বা বুচ্চি কমিশন, তারাও কিন্তু এই দায়িত্বটা লাঘব করে দেওয়ার কথা বলেছেন । এক্ষেত্রে আমার মত, রাজ্যের প্রধান বিচারপতিকে এই দায়িত্ব দেওয়া হোক । তাহলে এত বড় এস্টাবলিশমেন্টের প্রয়োজন নেই । এত খরচের দরকার পড়বে না । যিনি যতদিন প্রধান বিচারপতি থাকবেন, একই সঙ্গে তাঁকে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের দায়িত্ব সামলাতে হবে । আদতে রাজ্যপালের দায়িত্ব হল দেওয়া । এক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি যদি এই ভূমিকায় থাকেন, তিনি সবচেয়ে ভালো কাজ করতে পারবেন ।’’

এদিন পরিষদীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্য প্রকাশ্যে আসতে তা নিয়ে টিপ্পনী করতে শুরু করে বিজেপি (BJP) । এই প্রসঙ্গে গেরুয়া শিবিরের নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই আমরা জানতাম শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় মার্কসবাদী তৃণমূল ছিলেন । ওঁর এই বক্তব্যে সেই বামপন্থী চিন্তাধারাই প্রকাশ পাচ্ছে । আমাদের সকলেরই জানা, কমিউনিস্টদের পুরনো অবস্থান ছিল-তারা রাজ্যপাল পদটির অবলুপ্তি চাইত । তবে সেটা ছিল তাদের দলীয় অবস্থান । তবে তৃণমূল কংগ্রেস দলগতভাবে কখনোই রাজ্যপালের পদের উপর অনাস্থা প্রকাশ করেছে বলে জানা নেই । যখন ভারতীয় সংবিধান শাসন ব্যবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, প্রধান বিচারপতি প্রত্যেকের জন্য আলাদা আলাদা কাজ এবং দায়িত্বভার অর্পণ করেছে । সেখানে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মতো একজন প্রিয় মানুষের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য মানুষ আশা করে না ।’’

অন্যদিকে, এ প্রসঙ্গে সিপিএম (CPIM) নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘একেই বলে ঠেলার নাম বাবাজি । আগে বামপন্থীরা যা বলতেন, এখন তারা (তৃণমূল) বলছেন । কিন্তু বিরোধী দলে থাকাকালীন এ কথা বলতেন না । আগে তৃণমূলের অবস্থান ছিল রাজ্যপাল যা বলবেন, তাই চূড়ান্ত । আজকে রাজ্যপালকে বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো হচ্ছে । আসলে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের আজকে একরকম কথা বলেন, কালকে আর একরকম কথা বলেন । ওঁরা যে কথা বলছেন, তা যদি শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেন, তাহলে খুশি হব । তবে কতটা পারবেন, তা নিয়ে সন্দেহ আছে ।’’

আরও পড়ুন : Sukhendu Sekhar Roy: কুণাল পর্বের পর পার্থ নিয়ে মুখ বন্ধ সকলেরই, যা বলার বলবেন সুখেন্দুশেখর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.