কলকাতা, 19 মার্চ : প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই কোচবিহার থেকে কাকদ্বীপ, বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপির কর্মীরা ৷ বিভিন্ন জায়গাতেই চলছে পথ অবরোধ, পার্টি অফিস ভাঙচুর, দলের পতাকা ও নেতাদের ছবি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ৷ তার পরও এই বিক্ষোভকে যে দলের উচ্চ নেতৃত্ব খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না, তা স্পষ্ট হয়ে গেল শমীক ভট্টাচার্যের কথায় ৷
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপির এই নেতার কাছে বিক্ষোভ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেল, যারা পতাকা পোড়াচ্ছেন, পার্টি অফিস ভাঙছেন, তাঁরা বিজেপির কেউ নন ৷ এমনকী বিক্ষোভকারীদের তিনি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবেও মানতে নারাজ ৷ কারণ, তিনি মনে করেন যে, পার্টির কোনও নেতা এই ধরনের ক্ষতি করেন না ৷
কিন্তু বিজেপির মতো একটা রেজিমেন্টেড পার্টিতে কেন এই ধরনের বিক্ষোভ হবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বিক্ষোভ হওয়া উচিত নয় ৷ কিছুটা তো বিচ্যুতি হয়েছে ৷ তবে দলের তরফে এবার প্রার্থী তালিকায় সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছিল ৷ সেই ভাবেই প্রার্থী তালিকা তৈরি করা হয়েছে ৷
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন যে, দলের উচ্চ নেতৃত্বও এইবিক্ষোভের বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে ৷ তিনদিনের মধ্যে সব সামলে সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে দল নির্বাচনী প্রচারে নামবে বলে দাবি করেন তিনি।
তবে বিক্ষোভ ছাড়াও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আরও একটি বিষয় বিজেপির কাছে অস্বস্তির হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ কলকাতার চৌরঙ্গী ও কাশীপুর-বেলগাছিয়া আসনের ঘোষিত প্রার্থীরা বেঁকে বসেছেন ৷ চৌরঙ্গীর শিখা মিত্র এখনও কংগ্রেস ছাড়েননি ৷ আর কাশীপুর-বেলগাছিয়ার তরুণ সাহাও তৃণমূলেই আছেন ৷ তাঁরা কেউ বিজেপিতে যোগ দেননি ৷ ফলে কীভাবে তাঁদের নাম প্রার্থী তালিকায় এল, এই প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সর্বত্র ৷ এই নিয়ে অবশ্য শমীক ভট্টাচার্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ শুধু জানিয়েছেন, বিষয়টি উচ্চ নেতৃত্ব দেখছে ৷
আরও পড়ুন : চন্দ্রকোনায় বিজেপির প্রচার গাড়ি ভাঙচুর, পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল কংগ্রেসের সমালোচনাও করেছেন শমীক ৷ তৃণমূল কংগ্রেস হেরে যাবার ভয় পাচ্ছে বলেও কটাক্ষ করেছেন ৷ তাঁর যুক্তি, সেই কারণেই সভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পার্টির সমর্থকদের ইভিএম পাহারা দেওয়ার কথা বলছেন ৷