কলকাতা, 10 এপ্রিল : শীতলকুচিতে কেন গুলি চালাতে হল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ? নির্বাচন কমিশনের কাছে এই প্রশ্নের উত্তর দিল পর্যবেক্ষক ৷ সেই রিপোর্টে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে প্রায় শ’দেড়েক উন্মত্ত জনতার হাতে আক্রান্ত হওয়ার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে ৷
পর্যবেক্ষকের তরফে নির্বাচন কমিশনে দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শীতলকুচি বিধানসভা এলাকার ওই জোরপাটকিতে সকাল সাড়ে 9টা নাগাদ টহল দিতে যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ৷ ভোট অবাধে করতে ও মানুষ যাতে ভয়ে না থাকে, সেই কারণেই এই টহল ৷
কিন্তু ওই সময় প্রায় 50-60 জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর আক্রমণ করে ৷ যারা আক্রমণ করে তারা ভোটারদের বুথে যেতে বাধা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ সেই সময় একটি শিশু পড়ে যায় ৷ আহত হয় ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয় ৷ বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয় ৷ পরে সিআইএসএফ-এর একজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন ৷ তখন শূন্যে 6 রাউন্ড গুলি চালানো হয় ৷ তখন জওয়ানরা ও পুলিশ সেখান থেকে সরে আসে ৷
তার পর পরিস্থিতি শান্ত হয়৷ কিন্তু ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ৷ পর্যবেক্ষকের তরফে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, প্রায় দেড়শো জন আমতলি মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের বুথে আক্রমণ করে ৷ ভোটকর্মীদের মারধর করা হয় ৷ আশা কর্মী, হোম গার্ডদের হেনস্থা করা হয় ৷ সিআইএসএফ পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে তাদের আক্রমণ করা হয় ৷ আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় ৷
সেই পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে দু’রাউন্ড গুলি চালানো হয় শূন্যে হয় ৷ তখন ঘটনাস্থলে যায় সিআইএসএফ-এর কুইক রেসপন্স টিমও ৷ এই অবস্থায় পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যায় ৷ আর নিজেদের বাঁচাতে 7 রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন জওয়ানরা ৷ তাতেই চার জনের মৃত্যু হয়৷ আহত হন কয়েকজন ৷
আরও পড়ুন : শীতলকুচির ঘটনার সিআইডি তদন্ত করাবেন মমতা
তবে গুলি ছোড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল উন্মত্ত জনতা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় বলে ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ৷