কলকাতা, 8 মে: বাংলার আকাশে সংকেত অশনির (Cyclone Asani)। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের থেকে বাঁচতে আগেভাগে বাংলার কৃষকদের সতর্ক করল কৃষি দফতর । অতীতে আমফান, ফণি থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার যাতে কৃষকরা ক্ষতির মুখে না পড়েন, তাই তাঁদের কৃষি দফতরের তরফ থেকে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশিকা দেওয়া হল (Bengal agriculture department's advisory)।
এ দিন কৃষি দফতরের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ আন্দামান সাগর এবং তত্সংলগ্ন দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে (advisory for farmers)। এটি উত্তর পশ্চিম উপকূলে অগ্রসর হয়ে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা । এরপর এটি আরও উত্তর পশ্চিমে সরে গিয়ে আগামী 10 মে অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের অদূরে মধ্য পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে উপস্থিত হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে । এর ফলে আগামী 10-13 মে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে । এই অবস্থায় কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষদের সতর্ক করছে রাজ্যের কৃষি দফতর (Advisory for farmers before Cyclone Asani)।
আরও পড়ুন: Cyclone Asani Updates : আজ সকালে জন্ম নিল অশনি, ঘূর্ণিঝড় কোন পথে ? ভাসবে বাংলা ?
এই সতর্কবার্তায় কৃষি দফতরের তরফ থেকে বলা হয়েছে, মাঠের পাকা ধান অতিসত্বর কেটে ঝাড়াই বাছাই করে গুদামজাত করতে । প্রয়োজনে যন্ত্রের সাহায্য নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে । সবজি বা তৈলবীজের ক্ষেত্রে জমিতে জমা জল যাতে দ্রুত বের করে দেওয়া যায়, সেই ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে । প্রয়োজনে দুর্যোগ কাটার পর ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে বলা হয়েছে । কলা, পেঁপে এই জাতীয় সবজির ক্ষেত্রে যাতে ঝড়ের সময় গাছ পড়ে না যায়, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে কৃষকদের । পানের বরজ সবজির মাচার ক্ষেত্রে শক্ত করে বাঁধন দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে নির্দেশিকায় । কৃষকদের বলা হয়েছে, দফতর থেকে প্রচারিত কৃষি বুলেটিনের দিকে নজর রাখতে ।
এ দিন এই নির্দেশিকা প্রসঙ্গে রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, "যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে এটি একটি কন্টিনিউয়াস প্রসেস । করোনাকালে বা তার আগে যখনই প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়েছে, আমরা কৃষি দফতর কৃষকদের সঙ্গে থেকেছি । কিভাবে তাঁদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমানো যায় তার পরামর্শ দিয়েছি । এ বারও তার ব্যতিক্রম হয়নি । তবে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উপর তো আর মানুষের হাত নেই । এত সতর্কতার পরেও কৃষকদের বহু ক্ষেত্রে ক্ষয়ক্ষতি হয় । রাজ্য সরকার সে ক্ষেত্রে সব সময় কৃষকদের পাশে থেকেছে । কেন্দ্র অর্থসাহায্য না করলেও কৃষকের ফসলের জন্য ক্ষতিপূরণ দিয়েছে রাজ্য সরকার । আমরা চাই যতটা সম্ভব কম ক্ষয়ক্ষতি হোক । আর সে কারণেই এই প্রচেষ্টা ।"
আরও পড়ুন : Cyclone Asani Alert in Digha : আসছে অশনি ! বিপর্যয় মোকাবিলায় মকড্রিল দিঘায়