কলকাতা, 17 জানুয়ারি : রাজ্য বিজেপির ক্ষমতাশীল গোষ্ঠী ও বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর গৃহযুদ্ধ অব্যহাত । ফের প্রকাশ্যে গেরুয়া শিবিরের অন্তর্দ্বন্দ্ব ৷ এবার হোর্ডিং পড়ল বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে (banners against BJP leader Amitava Chakravorty) ৷
কলকাতার একাধিক অঞ্চলে পড়েছে এই হোর্ডিং, যাতে নাম ও ছবি রয়েছে অমিতাভ'র ৷ তাতে লেখা, "PK-র টিমের দালাল অমিতাভ চক্রবর্তী হাটাও, বিজেপি বাঁচাও ।" সোমবার সকালে এই হোর্ডিং চোখে পড়েছে শ্যামবাজার, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ এমনকি বিজেপির সদর কার্যালয়ের সামনেও । দলের বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর লোকেরাই এই কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
বিজেপির সূত্রে খবর, বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীরা শাসক গোষ্ঠীকে চাপে রাখতে তারা কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে ৷ এবার খোদ বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেই উত্তর কলকাতা জুড়ে এই হোর্ডিং দেওয়া হয়েছে ৷ রাজ্য কমিটি বদল করার জন্য অমিতাভ চক্রবর্তী-সহ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপর চাপ সৃষ্টি করতেই এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে ৷
কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে কলকাতা পোর্ট টাস্টের গেস্ট হাউসে একটা বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারাণ দাবি করা হয় ৷ এর পরই কলকাতা-সহ রাজ্য জুড়েই অমিতাভ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে কার্যকলাপ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : বঙ্গ বিজেপি নিজেদের ‘মৃত্যুর’ দিকে নিয়ে যাচ্ছে, ফের টুইটে বিস্ফোরক তথাগত
বিজেপির ৩০ জন জেলা সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ সেই জায়গায় সব নতুন মুখ ৷ অন্যদিকে, রাজ্যকমিটিতেও একাধিক পদে বড় রদবদল হয়েছে ৷ বাদ গিয়েছে, সায়ন্তন বসুর মত হেভিওয়েট নেতারা ৷ তাই তাদের অনুগ্রামীরাই এই কাজ করছে বলে দাবি বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর। এই বিষয়ে বিজেপির বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "দেখুন কে হোর্ডিং দিয়েছে বলতে পারব না। তবে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর কাজ বলেই মনে করা হচ্ছে ৷"