ETV Bharat / city

বিদেশের টাকায় বিদেশি ভাষা শেখানোর প্রচেষ্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির - বিদেশি টাকায় বিদেশি ভাষা শেখানোর প্রচেষ্টা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির

বিদেশি ভাষা শিক্ষার বিভাগ তৈরির পরিকল্পনা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি (WBSU)-র ৷ তবে একটু অন্য কায়দায় । তাদের পরিকল্পনা, বিদেশের টাকাতেই বিদেশি ভাষার বিভাগ তৈরি করা হবে । এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই এক পা এগিয়েছে WBSU ৷ এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছে কোরিয়ান ভাষায় 6 মাসের সার্টিফিকেট কোর্স । পরবর্তী লক্ষ্য, চাইনিজ় ও স্প্যানিশ ভাষার কোর্স চালু করা ।

ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি
author img

By

Published : Sep 1, 2019, 11:01 PM IST

কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর : রাজ্যের প্রায় সব ক'টি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে বিদেশি ভাষা শিক্ষার বিভাগ ৷ অর্থাৎ স্কুল অফ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজেস । এবার বিদেশি ভাষা শিক্ষার বিভাগ তৈরির পরিকল্পনা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি (WBSU)-র ৷ তবে একটু অন্য কায়দায় । তাদের পরিকল্পনা, বিদেশের টাকাতেই বিদেশি ভাষার বিভাগ তৈরি করা হবে । এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই এক পা এগিয়েছে WBSU ৷ এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছে কোরিয়ান ভাষায় 6 মাসের সার্টিফিকেট কোর্স । পরবর্তী লক্ষ্য, চাইনিজ় ও স্প্যানিশ ভাষার কোর্স চালু করা ।

কীভাবে বিদেশের টাকায় তৈরি হবে বিদেশি ভাষার স্কুল? WBSU-র উপাচার্য বাসব চৌধুরি বলেন, "আমরা চেষ্টা করেছিলাম চাইনিজ় ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে প্রথমে শুরু করব । কিন্তু সেটাতে এগোতে পারিনি । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সে রকম তো টাকা নেই ৷ ফলে আমরা ফরেন মানি যদি পাই কোনও MOU করে, সেটা দিয়ে করতে চাই । আপাতত আমরা কোরিয়ান ভাষায় এটা করতে সফল হয়েছি । অন্য ভাষাতেও আমরা চেষ্টা করছি । কিন্তু সাফল্য পাইনি ৷ আমরা এই পদ্ধতিটা পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা করছি । কারণ কোনও ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি আমরা ফান্ডটা পাই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে । তা না হলে আমাদের পয়সা দিতে হবে ৷ আমাদের অন্য দিকে ডেভলপমেন্ট হবে না । এভাবেই চেষ্টা চলছে । এই পরীক্ষাটা কতটা সফল হবে সেটা আগামীদিনে বলতে পারবে । আমরা খুবই আশাবাদী ।"

পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতিতে চাইনিজ় না হলেও কোরিয়ান ভাষার কোর্স চালু করতে সফল হয়েছে WBSU৷ বাসববাবু বলেন, "আমরা সাউথ কোরিয়ার আনইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটা MOU করেছিলাম । তারপর কোরিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে আমাদের এখানে পরিদর্শনের জন্য এসেছিল । পরিদর্শনের পর ওরা বলেছিল, তোমরা এগিয়ে যাও । তারপরেই গত অগাস্ট মাসের শেষের দিকে কোরিয়ান ভাষায় এই 6 মাসের সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছে । 25 জন পড়ুয়া রয়েছে ৷ কোর্সের বিশেষত্ব, বিদেশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখানে এসে পড়াবে । ইতিমধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'জন শিক্ষক এসে পড়াচ্ছেন ।" 6 মাসের এই কোর্সের জন্য প্রতি মাসে ছাত্র-ছাত্রী পিছু 500 টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছে । যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোর্স ফি-র থেকে অনেকাংশে কম বলেই দাবি বাসববাবুর ।

কোরিয়ান ভাষার এই প্রথম কোর্সটি সফল হলে কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে আরও 6টা সেমিস্টারের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ৷ বাসববাবু বলেন, "আমাদের ওরা সিওলে নিয়ে গেছিল । বলেছে আপনারা সিলেক্টেড । ওখানেই ওরা মৌখিকভাবে আমাদের বলেছে যদি প্রথম কোর্সটা সফলভাবে পরিচালনা করা যায় তাহলে আমরা যে অনুদান পাচ্ছি সেটা আরও 6টা সেমিস্টারের জন্য পাব । সবমিলিয়ে আমরা প্রায় 1.2 কোটি টাকার কাছাকাছি পাব । ওরা এই সেমিস্টারের জন্য 19 লাখ টাকার কাছাকাছি দেবে বলেছে । কিন্তু আমরা এখনও নিতে পারিনি । ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী আবেদন করেছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত নেওয়ার পারমিশন যেটা হোম মিনিস্ট্রি থেকে আসে সেটা পাইনি ।"

তবে বিদেশের টাকা আনাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য কাজ । যে কারণে চাইনিজ় ভাষা দিয়ে শুরু করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি ৷ বাসববাবু বলেন, "আমরা তো চেষ্টা করছি ৷ এর জন্য আমাদের কনসুলেট হয়ে যেতে হয় ৷ অনেক চিঠি লিখতে হয় ৷ অনেককে কনভিন্স করতে হয় । সেই চেষ্টা করছি । এরপরে আমাদের লক্ষ্য চাইনিজ় ও স্প্যানিশ । আগামী বছরের জুলাই-অগাস্ট পর্যন্ত দেখি, পারি কি না ।"

কলকাতা, 1 সেপ্টেম্বর : রাজ্যের প্রায় সব ক'টি বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে বিদেশি ভাষা শিক্ষার বিভাগ ৷ অর্থাৎ স্কুল অফ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজেস । এবার বিদেশি ভাষা শিক্ষার বিভাগ তৈরির পরিকল্পনা ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি (WBSU)-র ৷ তবে একটু অন্য কায়দায় । তাদের পরিকল্পনা, বিদেশের টাকাতেই বিদেশি ভাষার বিভাগ তৈরি করা হবে । এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই এক পা এগিয়েছে WBSU ৷ এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছে কোরিয়ান ভাষায় 6 মাসের সার্টিফিকেট কোর্স । পরবর্তী লক্ষ্য, চাইনিজ় ও স্প্যানিশ ভাষার কোর্স চালু করা ।

কীভাবে বিদেশের টাকায় তৈরি হবে বিদেশি ভাষার স্কুল? WBSU-র উপাচার্য বাসব চৌধুরি বলেন, "আমরা চেষ্টা করেছিলাম চাইনিজ় ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে প্রথমে শুরু করব । কিন্তু সেটাতে এগোতে পারিনি । আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সে রকম তো টাকা নেই ৷ ফলে আমরা ফরেন মানি যদি পাই কোনও MOU করে, সেটা দিয়ে করতে চাই । আপাতত আমরা কোরিয়ান ভাষায় এটা করতে সফল হয়েছি । অন্য ভাষাতেও আমরা চেষ্টা করছি । কিন্তু সাফল্য পাইনি ৷ আমরা এই পদ্ধতিটা পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা করছি । কারণ কোনও ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি আমরা ফান্ডটা পাই, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে । তা না হলে আমাদের পয়সা দিতে হবে ৷ আমাদের অন্য দিকে ডেভলপমেন্ট হবে না । এভাবেই চেষ্টা চলছে । এই পরীক্ষাটা কতটা সফল হবে সেটা আগামীদিনে বলতে পারবে । আমরা খুবই আশাবাদী ।"

পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতিতে চাইনিজ় না হলেও কোরিয়ান ভাষার কোর্স চালু করতে সফল হয়েছে WBSU৷ বাসববাবু বলেন, "আমরা সাউথ কোরিয়ার আনইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটা MOU করেছিলাম । তারপর কোরিয়া সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে আমাদের এখানে পরিদর্শনের জন্য এসেছিল । পরিদর্শনের পর ওরা বলেছিল, তোমরা এগিয়ে যাও । তারপরেই গত অগাস্ট মাসের শেষের দিকে কোরিয়ান ভাষায় এই 6 মাসের সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছে । 25 জন পড়ুয়া রয়েছে ৷ কোর্সের বিশেষত্ব, বিদেশি শিক্ষক-শিক্ষিকারা এখানে এসে পড়াবে । ইতিমধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'জন শিক্ষক এসে পড়াচ্ছেন ।" 6 মাসের এই কোর্সের জন্য প্রতি মাসে ছাত্র-ছাত্রী পিছু 500 টাকা করে ফি নেওয়া হচ্ছে । যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোর্স ফি-র থেকে অনেকাংশে কম বলেই দাবি বাসববাবুর ।

কোরিয়ান ভাষার এই প্রথম কোর্সটি সফল হলে কোরিয়া সরকারের পক্ষ থেকে আরও 6টা সেমিস্টারের জন্য অনুদান দেওয়া হবে ৷ বাসববাবু বলেন, "আমাদের ওরা সিওলে নিয়ে গেছিল । বলেছে আপনারা সিলেক্টেড । ওখানেই ওরা মৌখিকভাবে আমাদের বলেছে যদি প্রথম কোর্সটা সফলভাবে পরিচালনা করা যায় তাহলে আমরা যে অনুদান পাচ্ছি সেটা আরও 6টা সেমিস্টারের জন্য পাব । সবমিলিয়ে আমরা প্রায় 1.2 কোটি টাকার কাছাকাছি পাব । ওরা এই সেমিস্টারের জন্য 19 লাখ টাকার কাছাকাছি দেবে বলেছে । কিন্তু আমরা এখনও নিতে পারিনি । ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী আবেদন করেছি । কিন্তু এখনও পর্যন্ত নেওয়ার পারমিশন যেটা হোম মিনিস্ট্রি থেকে আসে সেটা পাইনি ।"

তবে বিদেশের টাকা আনাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য কাজ । যে কারণে চাইনিজ় ভাষা দিয়ে শুরু করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি ৷ বাসববাবু বলেন, "আমরা তো চেষ্টা করছি ৷ এর জন্য আমাদের কনসুলেট হয়ে যেতে হয় ৷ অনেক চিঠি লিখতে হয় ৷ অনেককে কনভিন্স করতে হয় । সেই চেষ্টা করছি । এরপরে আমাদের লক্ষ্য চাইনিজ় ও স্প্যানিশ । আগামী বছরের জুলাই-অগাস্ট পর্যন্ত দেখি, পারি কি না ।"

Intro:কলকাতা, ১ সেপ্টেম্বর: রাজ্যের প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়েই রয়েছে বিদেশি ভাষার স্কুল (স্কুল অফ ফরেন ল্যাঙ্গুয়েজেস)। যাদবপুর, কলকাতা, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে যে বিদেশি ভাষার স্কুল রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। এবার বিদেশি ভাষার স্কুল তৈরির পরিকল্পনা করেছে ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটি (WBSU) । তবে, একটু অন্য কায়দায়। তাঁদের পরিকল্পনা, বিদেশি টাকাতেই তারা বিদেশি ভাষার স্কুল তৈরি করবে। এই লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই এক পা এগিয়ে গেছে WBSU। এই শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু করা হয়েছে কোরিয়ান ভাষায় ৬ মাসের কোর্স। যাকে এই বিদেশি টাকায় বিদেশি ভাষার স্কুল তৈরির প্রথম পদক্ষেপ বলা যেতে পারে। পরবর্তী লক্ষ্য, চাইনিজ ও স্প্যানিশ ভাষার কোর্স চালু করা।
Body:কীভাবে বিদেশি টাকায় তৈরি হবে বিদেশি ভাষার স্কুল? ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য বাসব চৌধুরী বলেন, "আমরা চেষ্টা করেছিলাম চাইনিজ ল্যাঙ্গুয়েজ দিয়ে প্রথমে শুরু করব। কিন্তু, সেটাতে সেরকম এগোতে পারিনি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরকম তো টাকা নেই। ফলে আমরা ফরেন মানি যদি আমরা পাই কোনও MOU করে, তারপরে আমরা সেটা দিয়ে করতে চাই। আপাতত আমরা কোরিয়ান ভাষায় এটা করতে সফল হয়েছি। অন্য ভাষাতেও আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু, সাফল্য লাভ করতে পারিনি। আমরা এই পদ্ধতিটা পরীক্ষামূলকভাবে চেষ্টা করছি। কারণ, কোনও ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যদি আমরা ফান্ডটা পাই তাতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা ভালো সম্পর্ক তৈরি হবে। তা নাহলে আমাদের পয়সা দিতে হবে, আমাদের অন্য দিকে ডেভলপমেন্ট হবে না। এভাবেই চেষ্টা চলছে। এই পরীক্ষাটা কতটা সফল হবে সেটা আগামীদিন বলতে পারবে। আমরা খুবই আশাবাদী।"

চাইনিজ ভাষা না হলেও পরীক্ষামূলক এই পদ্ধতিতে কোরিয়ান ভাষার কোর্স চালু করতে সফল হয়েছে WBSU। এই বিষয়ে বাসব চৌধুরী বলেন, "আমরা সাউথ কোরিয়ার আনইয়াং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে একটা MOU চুক্তি করেছিলাম। সেই MOU-এর পরে কোরিয়ার সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক থেকে আমাদের এখানে পরিদর্শনের জন্য এসেছিল। পরিদর্শনের পর আমাদের পরিকাঠামো, স্ট্যাটিউড দেখে সমস্ত দেখে ওরা বলেছিল হ্যাঁ তোমরা এগিয়ে যাও। তারপরেই গত অগাস্ট মাসের শেষের দিকে কোরিয়ান ভাষায় এই ৬ মাসের সার্টিফিকেট কোর্স চালু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৫ জন এই কোর্স করছেন। এই কোর্সের বিশেষত্ব, আমরা বিদেশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এখানে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে পড়াবো। ইতিমধ্যেই ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের দু'জন টিচার এসে পড়াচ্ছেন।" ৬ মাসের এই কোর্সের জন্য প্রতি মাসে ছাত্র-ছাত্রী পিছু ৫০০ টাকা ফি নেওয়া হচ্ছে। যা অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির কোর্স-ফির থেকে অনেকাংশে কমে বলেই দাবি উপাচার্যের। এই কোর্সটি সপ্তাহে তিনদিন দু'ঘন্টা করে নেওয়া হচ্ছে বলে জানান বাসববাবু।

কোরিয়ান ভাষার এই প্রথম কোর্সটি সফলভাবে চালানো বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। কারণ, এই কোর্সের সফলতার উপরই নির্ভর করে কোরিয়া সরকার আরও ৬টা সেমিস্টারের জন্য অনুদান দেবে। উপাচার্য বলেন, "আমাদের ওরা সিওলে নিয়ে গেছিল। সেখানে বলেছে, আপনারা সিলেক্টেড। ওখানেই ওরা ভার্বালি আমাদের বলেছে যদি প্রথম কোর্সটা সাকসেসফুলভাবে রান করে তাহলে আমরা যে গ্রান্টটা পাচ্ছি সেটা আরও ৬টা সেমিস্টারের জন্য পাব। সবমিলিয়ে আমরা ১.২ কোটির কাছাকাছি টাকা পাব। ওরা এই সেমিস্টারের জন্য ১৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি মানি কমিটেড করে দিয়েছে। কিন্তু, আমরা এখনও নিতে পারিনি। ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী অ্যাপ্লাই করেছি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত নেওয়ার পারমিশন যেটা হোম মিনিস্ট্রি থেকে আসে সেটা পাইনি।"

তবে, বিদেশি টাকা আনাটা অনেকটাই কষ্টসাধ্য কাজ। যে কারণে চাইনিজ ভাষা দিয়ে এই বিদেশি ভাষার স্কুল চালু করতে চাইলেও তা সম্ভব হয়নি বলে জানাচ্ছেন উপাচার্য বাসব চৌধুরী। তিনি এই বিষয়ে বলেন, "আমরা তো চেষ্টা করছি। এর জন্য আমাদের কনস্যুলেট হয়ে যেতে হয়, অনেক চিঠি লিখতে হয়, অনেককে কনভিন্স করতে হয়। সেই চেষ্টা করছি। এরপরে আমাদের লক্ষ্য চাইনিজ ও স্প্যানিশ। আগামী বছরের জুলাই-অগাস্ট পর্যন্ত দেখি, পারি কিনা।"

Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.