ETV Bharat / city

যোগে কঠিন রোগ সারে? - West bengal

কঠিন কোনও রোগ কি সারতে পারে যোগে ? রোগ মোকাবিলায় আক্রান্তের মনের জোর বাড়িয়ে দিতে পারে যোগ ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠিন রোগও সারতে পারে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। এই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলছে।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jun 21, 2019, 11:55 PM IST

কলকাতা, ২১ জুন : কঠিন কোনও রোগ কি সারতে পারে যোগে ? রোগ মোকাবিলায় আক্রান্তের মনের জোর বাড়িয়ে দিতে পারে যোগ ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠিন রোগও সারতে পারে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। এই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলছে। অন্যদিকে, রোগ না সারাতে পারলেও, আক্রান্তের মনের জোর বেড়ে যায়। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে, রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের মানসিকতা যেভাবে বেড়ে যায়, তার জেরে আক্রান্তের আয়ুষ্কালও বেড়ে যায়। যোগ নিয়ে এমনই বিভিন্ন বিষয় বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যোগা নেচারোপ্যাথি কাউন্সিলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট দিব্যসুন্দর দাস।


যোগে কি কঠিন রোগ সারে?

কঠিন রোগ বলতে আমরা সাধারণত ক্যানসারকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আরও অনেক কঠিন রোগ আছে। সে সব দুরারোগ্য ব্যাধি সারতে চায় না। ক্যানসারের ক্ষেত্রে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। অনেক সুফল পাওয়া গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আশানুরূপ সুফল পাওয়া যায়নি। তাই বলে যে যোগে ক্যানসার সারে না, তা নয়। যোগ অন্তত প্রতিহত করতে পারে। শুধুমাত্র ক্যানসার নয়। অন্যান্য কঠিন রোগের মধ্যে টাইফয়েড, যক্ষ্মাও রয়েছে।


যোগের ফলে কী ভাবে এটা হতে পারে?

যত ব্রিদিং, প্রাণায়াম করা যায়, রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ তত বাড়ে। যিনি জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। আর হয়ত বেঁচে থাকতে পারবেন না। বা, আর বেঁচে লাভ নেই বলে ভাবছেন। হতাশার মধ্যে রয়েছেন। এসব ক্ষেত্রে টেনশন, ডিপ্রেশন মানুষকে আরও বেশি আক্রান্ত করে দেয়। রোগের প্রকোপ বাড়তে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনাকে রুখে দেওয়ার জন্য যোগ অমূল্য সম্পদ হিসেবে কাজ করে। ওষুধের থেকেও অনেক সময় অনেক বেশি কাজ করে। কারণ মনের উপর নির্ভর করে রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়ে থাকে। কাজেই, মন যত আনন্দে থাকবে, রিলাক্সড থাকবে, রক্তে অক্সিজেন যত যাবে, তত গার্ড করতে পারবে নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনা।

মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন দিলে যেমন চাঙ্গা হয়ে যায়, প্রাণায়াম করলে তাই হয়। ফ্রেশ, ভালো থাকার অনুভূতি হয়। তবে, মন চঞ্চল হলে সেভাবে অক্সিজেন নেওয়ার মানসিকতা থাকে না। তখন চ্যান্টিং মেডিটেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়। মনের ভিতর নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনাকে রুখে দিতে পারে। শরীরের মধ্যে রিচার্জ হয়ে যায়। বিশেষ করে টিশু সেলে যত রক্ত চলাচল করতে থাকে, তত পুষ্টি-বৃদ্ধি-মেরামত করতে পারে, সেলগুলি ড্যামেজও হয় না। মানুষ অনেক বেশি ভালো থাকেন।

রেডিয়েশন, কেমোথেরাপির চিকিৎসা তো রয়েছে। এর পাশাপাশি, মন আনন্দে রাখার জন্য অক্সিজেনযুক্ত বাতাসের মধ্যে চলাফেরার করার কথা বলা হয়। যাঁরা বাইরে বের হতে পারছেন না, ঘরে বসে প্রাণায়াম করলে তাঁরা অনেক বেশি লাভবান হবেন, সুস্থ থাকতে পারেন।

মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য সমস্ত পদ্ধতি অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথির মতো যোগও এক ধরনের প্যাথি। কারণ এটা আদি চিকিৎসা। যখন পৃথিবীতে ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি, তখন মুনি-ঋষিরা যোগের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখতেন। দুরারোগ্য ব্যাধিকে নিরাময় করতে পারতেন। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে বাড়াতে পারে যোগ। টিশু-সেলের আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে। যোগ ন্যাচারাল আর্ট অফ হিলিং।

যিনি আক্রান্ত, তাঁর জন্য কতটা সহায়ক যোগ?

আক্রান্তের ডিপ্রেশন দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন আর তাঁরা রোগের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবেন না। যে ওষুধ চলছে, তা চলুক। কিন্তু মনের জোর দিয়ে যদি প্রতিহত করা যায়, তা হলে অনেক বেশি ভালো থাকা যাবে। ৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ উপকার পাওয়া গেছে।

এত কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে গেছে, চাপ টেনশন বেড়ে গেছে, রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ওষুধ কত খাবেন মানুষ? সাইড এফেক্ট, ব্যাড এফেক্টও রয়েছে। তাই ন্যাচারাল ওয়েতে সুস্থ হওয়ার কথা বলেন অনেক চিকিৎসক। কাজ করতে করতে ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, হাঁটু ব্যথা হচ্ছে। এ সব রোধ করা যেতে পারে। যোগ দেহকে সুস্থ রাখে, মনকে সুস্থ রাখে।

বসে বসে কাজ করতে করতেও আজকাল রোগ হচ্ছে, তাই বলে কি সারবে না?

এখন এগজ়িকিউটিভ যোগও চালু হয়েছে। এগজ়িকিউটিভদের জন্য এই যোগ। আইটি সেক্টর, কর্পোরেট সেক্টরে যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন, তাঁদেরও রোগ হচ্ছে। তাঁদের সুস্থ হতে হবে না? কাজও করতে হবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। এইসব মানুষের জন্য এগজ়িকিউটিভ যোগা, অফিস যোগ বা কর্পোরেট যোগ চালু করা হয়েছে। কোমর ব্যথা হয়েছে, কোমরে দুটি ব্যায়াম করে নিন। ঘাড়ে ব্যথা, ঘাড়ের ব্যায়াম করতে হবে। যোগার অনেক ভূমিকা রয়েছে। লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অপারেশনও করতে হয় না।

নিজেই যোগ করা যাবে?

প্রশিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী যোগ করতে হবে। খেয়াল খুশি মতো যোগ করলে সুফল মিলবে না। সমবেতভাবে আমরা যে যোগ করতে দেখি, তা ফিটনেসের জন্য। এটা গ্রুপ যোগ, বডি ফিটনেস যোগ। আমরা থেরাপিউটিক যোগের কথা বলছি। মেডিকেটেড যোগ। অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথির মতো যোগও একটি প্যাথি। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী যোগ অনুশীলন করা বাঞ্ছনীয়।


রোগকে নির্মূল না, প্রতিহত করে যোগ?

প্রতিহত করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয় না বলার থেকে, ভালো আছি বললে, রোগীর পক্ষে উপকার হয়। কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তখন নিশ্চিত ভাবে বলে দেওয়া সম্ভব হবে যে নির্মূল হয়েছে। এখন অন্তত প্রতিহত করুক যোগ। যে বডিকে সুস্থ রাখতে হবে, সেই বডি যদি ওষুধ গ্রহণ না করে, তাহলে কোনও কাজ হবে না। বডি যদি নিতে না পারে, তা হলে শত ওষুধ খেলেও কাজ হবে না। চিকিৎসা করে কোনও লাভ হবে না। বডিটাকে সুস্থ রাখা, মনটাকে সুস্থ রাখার জন্য আদি চিকিৎসা যোগ। একমাত্র ন্যাচারাল আর্ট অফ হিলিং।


রোগীর আয়ু বেড়ে যেতে পারে?


ব্রিদিং প্রাণায়াম করলে নেগেটিভ চিন্তা- ভাবনা রুখে দিতে পারে। এটা আয়ু বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। কারণ, টিশুর লংজিবিটি বাড়িয়ে দিচ্ছে।


ক্যানসার বাদে কঠিন রোগের তালিকায় আর কোন কোন রোগ রয়েছে, যেখানে যোগের ভূমিকা সহায়ক?

অনেক রোগ রয়েছে। আমাদের কাছে যেসব রোগী আসেন, বলেন আর রোগ সারবে না। আমরা তাঁদের ব্রিদিং- প্রাণায়াম করাচ্ছি। এটা দীর্ঘ সময় ধরে করতে পারলে দেখা যাবে সেই রোগ প্রশমিত হতে পারে। যোগ আলাদা করে ডিস্টার্ব করবে তা নয়, মনকে উজ্জীবিত করে। এটা যদি দীর্ঘসময় করা যেতে পারে, অনেক রোগের ক্ষেত্রে প্রশমিত করতে পারে। রোগকে প্রতিরোধ করার জন্য মনের জোর বাড়িয়ে দেয়। যোগের ভূমিকা অনন্য।

কলকাতা, ২১ জুন : কঠিন কোনও রোগ কি সারতে পারে যোগে ? রোগ মোকাবিলায় আক্রান্তের মনের জোর বাড়িয়ে দিতে পারে যোগ ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠিন রোগও সারতে পারে কোনও কোনও ক্ষেত্রে। এই বিষয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষাও চলছে। অন্যদিকে, রোগ না সারাতে পারলেও, আক্রান্তের মনের জোর বেড়ে যায়। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে, রোগের সঙ্গে লড়াইয়ের মানসিকতা যেভাবে বেড়ে যায়, তার জেরে আক্রান্তের আয়ুষ্কালও বেড়ে যায়। যোগ নিয়ে এমনই বিভিন্ন বিষয় বলেছেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যোগা নেচারোপ্যাথি কাউন্সিলের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট দিব্যসুন্দর দাস।


যোগে কি কঠিন রোগ সারে?

কঠিন রোগ বলতে আমরা সাধারণত ক্যানসারকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আরও অনেক কঠিন রোগ আছে। সে সব দুরারোগ্য ব্যাধি সারতে চায় না। ক্যানসারের ক্ষেত্রে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয়েছে। অনেক সুফল পাওয়া গেছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আশানুরূপ সুফল পাওয়া যায়নি। তাই বলে যে যোগে ক্যানসার সারে না, তা নয়। যোগ অন্তত প্রতিহত করতে পারে। শুধুমাত্র ক্যানসার নয়। অন্যান্য কঠিন রোগের মধ্যে টাইফয়েড, যক্ষ্মাও রয়েছে।


যোগের ফলে কী ভাবে এটা হতে পারে?

যত ব্রিদিং, প্রাণায়াম করা যায়, রক্তে অক্সিজেনের সরবরাহ তত বাড়ে। যিনি জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছেন। আর হয়ত বেঁচে থাকতে পারবেন না। বা, আর বেঁচে লাভ নেই বলে ভাবছেন। হতাশার মধ্যে রয়েছেন। এসব ক্ষেত্রে টেনশন, ডিপ্রেশন মানুষকে আরও বেশি আক্রান্ত করে দেয়। রোগের প্রকোপ বাড়তে সাহায্য করে। এ ক্ষেত্রে নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনাকে রুখে দেওয়ার জন্য যোগ অমূল্য সম্পদ হিসেবে কাজ করে। ওষুধের থেকেও অনেক সময় অনেক বেশি কাজ করে। কারণ মনের উপর নির্ভর করে রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়ে থাকে। কাজেই, মন যত আনন্দে থাকবে, রিলাক্সড থাকবে, রক্তে অক্সিজেন যত যাবে, তত গার্ড করতে পারবে নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনা।

মুমূর্ষু রোগীকে অক্সিজেন দিলে যেমন চাঙ্গা হয়ে যায়, প্রাণায়াম করলে তাই হয়। ফ্রেশ, ভালো থাকার অনুভূতি হয়। তবে, মন চঞ্চল হলে সেভাবে অক্সিজেন নেওয়ার মানসিকতা থাকে না। তখন চ্যান্টিং মেডিটেশনের পরামর্শ দেওয়া হয়। মনের ভিতর নেগেটিভ চিন্তা-ভাবনাকে রুখে দিতে পারে। শরীরের মধ্যে রিচার্জ হয়ে যায়। বিশেষ করে টিশু সেলে যত রক্ত চলাচল করতে থাকে, তত পুষ্টি-বৃদ্ধি-মেরামত করতে পারে, সেলগুলি ড্যামেজও হয় না। মানুষ অনেক বেশি ভালো থাকেন।

রেডিয়েশন, কেমোথেরাপির চিকিৎসা তো রয়েছে। এর পাশাপাশি, মন আনন্দে রাখার জন্য অক্সিজেনযুক্ত বাতাসের মধ্যে চলাফেরার করার কথা বলা হয়। যাঁরা বাইরে বের হতে পারছেন না, ঘরে বসে প্রাণায়াম করলে তাঁরা অনেক বেশি লাভবান হবেন, সুস্থ থাকতে পারেন।

মানুষকে সুস্থ রাখার জন্য সমস্ত পদ্ধতি অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথির মতো যোগও এক ধরনের প্যাথি। কারণ এটা আদি চিকিৎসা। যখন পৃথিবীতে ওষুধ আবিষ্কৃত হয়নি, তখন মুনি-ঋষিরা যোগের মাধ্যমে শরীরকে সুস্থ রাখতেন। দুরারোগ্য ব্যাধিকে নিরাময় করতে পারতেন। রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাকে বাড়াতে পারে যোগ। টিশু-সেলের আয়ু বাড়িয়ে দিতে পারে। যোগ ন্যাচারাল আর্ট অফ হিলিং।

যিনি আক্রান্ত, তাঁর জন্য কতটা সহায়ক যোগ?

আক্রান্তের ডিপ্রেশন দেখা দেয়। অনেকে মনে করেন আর তাঁরা রোগের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারবেন না। যে ওষুধ চলছে, তা চলুক। কিন্তু মনের জোর দিয়ে যদি প্রতিহত করা যায়, তা হলে অনেক বেশি ভালো থাকা যাবে। ৫ শতাংশ, ১০ শতাংশ, কোনও কোনও ক্ষেত্রে ৫০ শতাংশ উপকার পাওয়া গেছে।

এত কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে গেছে, চাপ টেনশন বেড়ে গেছে, রোগের প্রকোপ বাড়ছে। ওষুধ কত খাবেন মানুষ? সাইড এফেক্ট, ব্যাড এফেক্টও রয়েছে। তাই ন্যাচারাল ওয়েতে সুস্থ হওয়ার কথা বলেন অনেক চিকিৎসক। কাজ করতে করতে ঘাড়ে ব্যথা, কোমরে ব্যথা, হাঁটু ব্যথা হচ্ছে। এ সব রোধ করা যেতে পারে। যোগ দেহকে সুস্থ রাখে, মনকে সুস্থ রাখে।

বসে বসে কাজ করতে করতেও আজকাল রোগ হচ্ছে, তাই বলে কি সারবে না?

এখন এগজ়িকিউটিভ যোগও চালু হয়েছে। এগজ়িকিউটিভদের জন্য এই যোগ। আইটি সেক্টর, কর্পোরেট সেক্টরে যাঁরা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করছেন, তাঁদেরও রোগ হচ্ছে। তাঁদের সুস্থ হতে হবে না? কাজও করতে হবে নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। এইসব মানুষের জন্য এগজ়িকিউটিভ যোগা, অফিস যোগ বা কর্পোরেট যোগ চালু করা হয়েছে। কোমর ব্যথা হয়েছে, কোমরে দুটি ব্যায়াম করে নিন। ঘাড়ে ব্যথা, ঘাড়ের ব্যায়াম করতে হবে। যোগার অনেক ভূমিকা রয়েছে। লাভ ছাড়া ক্ষতি নেই। কোনও কোনও ক্ষেত্রে অপারেশনও করতে হয় না।

নিজেই যোগ করা যাবে?

প্রশিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী যোগ করতে হবে। খেয়াল খুশি মতো যোগ করলে সুফল মিলবে না। সমবেতভাবে আমরা যে যোগ করতে দেখি, তা ফিটনেসের জন্য। এটা গ্রুপ যোগ, বডি ফিটনেস যোগ। আমরা থেরাপিউটিক যোগের কথা বলছি। মেডিকেটেড যোগ। অ্যালোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথির মতো যোগও একটি প্যাথি। বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী যোগ অনুশীলন করা বাঞ্ছনীয়।


রোগকে নির্মূল না, প্রতিহত করে যোগ?

প্রতিহত করে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হয় না বলার থেকে, ভালো আছি বললে, রোগীর পক্ষে উপকার হয়। কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তখন নিশ্চিত ভাবে বলে দেওয়া সম্ভব হবে যে নির্মূল হয়েছে। এখন অন্তত প্রতিহত করুক যোগ। যে বডিকে সুস্থ রাখতে হবে, সেই বডি যদি ওষুধ গ্রহণ না করে, তাহলে কোনও কাজ হবে না। বডি যদি নিতে না পারে, তা হলে শত ওষুধ খেলেও কাজ হবে না। চিকিৎসা করে কোনও লাভ হবে না। বডিটাকে সুস্থ রাখা, মনটাকে সুস্থ রাখার জন্য আদি চিকিৎসা যোগ। একমাত্র ন্যাচারাল আর্ট অফ হিলিং।


রোগীর আয়ু বেড়ে যেতে পারে?


ব্রিদিং প্রাণায়াম করলে নেগেটিভ চিন্তা- ভাবনা রুখে দিতে পারে। এটা আয়ু বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। কারণ, টিশুর লংজিবিটি বাড়িয়ে দিচ্ছে।


ক্যানসার বাদে কঠিন রোগের তালিকায় আর কোন কোন রোগ রয়েছে, যেখানে যোগের ভূমিকা সহায়ক?

অনেক রোগ রয়েছে। আমাদের কাছে যেসব রোগী আসেন, বলেন আর রোগ সারবে না। আমরা তাঁদের ব্রিদিং- প্রাণায়াম করাচ্ছি। এটা দীর্ঘ সময় ধরে করতে পারলে দেখা যাবে সেই রোগ প্রশমিত হতে পারে। যোগ আলাদা করে ডিস্টার্ব করবে তা নয়, মনকে উজ্জীবিত করে। এটা যদি দীর্ঘসময় করা যেতে পারে, অনেক রোগের ক্ষেত্রে প্রশমিত করতে পারে। রোগকে প্রতিরোধ করার জন্য মনের জোর বাড়িয়ে দেয়। যোগের ভূমিকা অনন্য।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.