ETV Bharat / city

Coronavirus in Kolkata: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, শহরে ফের নতুন কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরি করছে কলকাতা পৌরনিগম

কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসনিক সদস্য তথা স্বাস্থ্য বিভাগের অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তদের বাডি় বাড়ি গিয়ে কনট্যাক্ট ট্রেসিং করা হবে, যাতে বোঝা যায় পরিবারের ক’জন সদস্য সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন ৷ সকলের করোনা পরীক্ষা করা হবে ৷

amid rising covid cases kmc opening new quarantine centres and safe homes
উদ্বেগে কলকাতা পুরসভা
author img

By

Published : Oct 22, 2021, 6:29 PM IST

Updated : Oct 22, 2021, 6:42 PM IST

কলকাতা, 22 অক্টোবর: টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন দলে দলে মানুষ ৷ পুজো কাটতেই শহরে সংক্রমণের বৃদ্ধি ঘটছে ৷ তা নিয়ে উদ্বেগে কলকাতা পৌরনিগমও ৷ তাতেই ফের শহরে নতুন করে কোয়ারান্টাইন সেন্টার এবং সেফ হোম তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে ৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের ব্যবস্থাও হচ্ছে, যাতে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন কি না, খুঁটিয়ে জানবেন পৌরনিগমের কর্মীরা ৷

গত 24 ঘণ্টায় শহরে নতুন করে 319 জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ এর মধ্যে কলকাতা পৌরনিগম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে 242 জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে সংক্রমণ মিলেছে 77 জনের শরীরে ৷ এঁদের মধ্যে 150 জনের করোনার দু’টি টিকাই নেওয়া হয়ে গিয়েছে ৷ একটি টিকা নিয়েছেন 15 জন ৷ টিকাকরণ হয়নি 50 জনের ৷ তাতেই দুশ্চিন্তার মেঘ ঘনাচ্ছে ৷

আরও পড়ুন: Life Imprisonment: আসানসোলে পোস্টমাস্টার খুনের ঘটনায় 2 জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে শহরে নতুন করে কোয়ারান্টাইন সেন্টার এবং সেফ হোম তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়েছে ৷ কোনও শিশু করোনায় আক্রান্ত হলে, মায়ের সঙ্গে তার থাকার জন্য উত্তর কলকাতার হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনে একটি সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে ৷ ক্রিস্টোফার রোডে পৌরনিগমের চম্পামনি মেটারনিটি হোমে আরও একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে ৷ একই সঙ্গে বাইপাসের ধারে প্রতিদিনের একটি সেফ হোম তৈরি করছে পৌরনিগম ৷

কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসনিক সদস্য তথা স্বাস্থ্য বিভাগের অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তদের বাডি় বাড়ি গিয়ে কনট্যাক্ট ট্রেসিং করা হবে, যাতে বোঝা যায় পরিবারের ক’জন সদস্য সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন ৷ সকলের করোনা পরীক্ষা করা হবে ৷ উপসর্গহীন সংক্রমিত কেউ রয়েছেন কি না, তাও জানবেন পুরকর্মীরা ৷ সেক্ষেত্রে তাঁরা নিভৃতাবাসে ছিলেন কি না, বাড়ির জীবাণুমুক্তকরণ হয়েছে কি না, সে সব দেখা হবে ৷ না-হয়ে থাকলে জীবাণুমুক্তকরণের ব্যবস্থা করবে পৌরনিগম ৷

আরও পড়ুন: Women Security: উৎসব মরশুমে আসানসোল-দুর্গাপুরে মহিলাদের সুরক্ষায় ‘শক্তি’ বাহিনী

এ ছাড়াও, পৌরনিগম সবক’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সচল করা হচ্ছে ৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও বেশি তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ প্রয়োজনে ফোনে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে ৷ কেউ যদি নিজেই সরকারি হোমে যেতে যান, তার ব্যবস্থা করে দেবে পৌরনিগম ৷ অন্য দিকে, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি, দক্ষিণ কলকাতার বেহালার 116 নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপও উদ্বেগে রেখেছে শহরবাসীকে ৷ অতীনবাবু জানিয়েছেন, দুর্গাপুজদোর দিনগুলিকে বাদ দিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে মশার উপদ্রব দমনের কাজ শুরু হয়েছে ৷ প্রত্যেক ওয়ার্ডে গিয়ে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে ৷ তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন অতীনবাবু ৷ যদিও বেহালাবাসীর দাবি, লাগাতার বৃষ্টিতে এখনও এলাকার ইতিউতি জল জমে রয়েছে ৷ তা থেকেই রোগ বাড়ছে ৷

আরও পড়ুন: Female Priests : এবার দুর্গাপুজোও করতে চান টোলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৈশাখী

শুক্রবার পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই 116 নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন ৷ সেখানে 225টি বাড়ি পরীক্ষা করে দেখে , তিন জায়গায় ডেঙ্গি বহনকারী মশার লাভা দেখতে পান তাঁরা ৷ তবে ওই তিনটি বাড়িরই নির্মাণকার্য চলছে ৷ লোকজন থাকেন না ৷ তাই কিছুটা হলেও স্বস্তি বলে মনে করছে পৌরনিগম ৷ তবে তিনটি বাড়িতেই নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আগামী চার দিনের মধ্যে জমা জল পরিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে ৷ নইলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পৌরনিগম ৷

কলকাতা, 22 অক্টোবর: টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন দলে দলে মানুষ ৷ পুজো কাটতেই শহরে সংক্রমণের বৃদ্ধি ঘটছে ৷ তা নিয়ে উদ্বেগে কলকাতা পৌরনিগমও ৷ তাতেই ফের শহরে নতুন করে কোয়ারান্টাইন সেন্টার এবং সেফ হোম তৈরির কাজ শুরু হচ্ছে ৷ বাড়ি বাড়ি গিয়ে কন্ট্যাক্ট ট্রেসিংয়ের ব্যবস্থাও হচ্ছে, যাতে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন কি না, খুঁটিয়ে জানবেন পৌরনিগমের কর্মীরা ৷

গত 24 ঘণ্টায় শহরে নতুন করে 319 জনের শরীরে সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ এর মধ্যে কলকাতা পৌরনিগম স্বাস্থ্যকেন্দ্রে 242 জনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে ৷ সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে সংক্রমণ মিলেছে 77 জনের শরীরে ৷ এঁদের মধ্যে 150 জনের করোনার দু’টি টিকাই নেওয়া হয়ে গিয়েছে ৷ একটি টিকা নিয়েছেন 15 জন ৷ টিকাকরণ হয়নি 50 জনের ৷ তাতেই দুশ্চিন্তার মেঘ ঘনাচ্ছে ৷

আরও পড়ুন: Life Imprisonment: আসানসোলে পোস্টমাস্টার খুনের ঘটনায় 2 জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে শহরে নতুন করে কোয়ারান্টাইন সেন্টার এবং সেফ হোম তৈরির কাজে হাত দেওয়া হয়েছে ৷ কোনও শিশু করোনায় আক্রান্ত হলে, মায়ের সঙ্গে তার থাকার জন্য উত্তর কলকাতার হরেকৃষ্ণ শেঠ লেনে একটি সেফ হোম তৈরি করা হচ্ছে ৷ ক্রিস্টোফার রোডে পৌরনিগমের চম্পামনি মেটারনিটি হোমে আরও একটি কোয়ারান্টাইন সেন্টার তৈরি করা হচ্ছে ৷ একই সঙ্গে বাইপাসের ধারে প্রতিদিনের একটি সেফ হোম তৈরি করছে পৌরনিগম ৷

কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসনিক সদস্য তথা স্বাস্থ্য বিভাগের অতীন ঘোষ জানিয়েছেন, করোনা আক্রান্তদের বাডি় বাড়ি গিয়ে কনট্যাক্ট ট্রেসিং করা হবে, যাতে বোঝা যায় পরিবারের ক’জন সদস্য সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছেন ৷ সকলের করোনা পরীক্ষা করা হবে ৷ উপসর্গহীন সংক্রমিত কেউ রয়েছেন কি না, তাও জানবেন পুরকর্মীরা ৷ সেক্ষেত্রে তাঁরা নিভৃতাবাসে ছিলেন কি না, বাড়ির জীবাণুমুক্তকরণ হয়েছে কি না, সে সব দেখা হবে ৷ না-হয়ে থাকলে জীবাণুমুক্তকরণের ব্যবস্থা করবে পৌরনিগম ৷

আরও পড়ুন: Women Security: উৎসব মরশুমে আসানসোল-দুর্গাপুরে মহিলাদের সুরক্ষায় ‘শক্তি’ বাহিনী

এ ছাড়াও, পৌরনিগম সবক’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে সচল করা হচ্ছে ৷ স্বাস্থ্যকর্মীদের আরও বেশি তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ প্রয়োজনে ফোনে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে ৷ কেউ যদি নিজেই সরকারি হোমে যেতে যান, তার ব্যবস্থা করে দেবে পৌরনিগম ৷ অন্য দিকে, করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি, দক্ষিণ কলকাতার বেহালার 116 নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গির প্রকোপও উদ্বেগে রেখেছে শহরবাসীকে ৷ অতীনবাবু জানিয়েছেন, দুর্গাপুজদোর দিনগুলিকে বাদ দিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে মশার উপদ্রব দমনের কাজ শুরু হয়েছে ৷ প্রত্যেক ওয়ার্ডে গিয়ে ওষুধ স্প্রে করা হচ্ছে ৷ তবে এ বছর এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির প্রকোপ তুলনামূলক নিয়ন্ত্রণে বলে দাবি করেছেন অতীনবাবু ৷ যদিও বেহালাবাসীর দাবি, লাগাতার বৃষ্টিতে এখনও এলাকার ইতিউতি জল জমে রয়েছে ৷ তা থেকেই রোগ বাড়ছে ৷

আরও পড়ুন: Female Priests : এবার দুর্গাপুজোও করতে চান টোলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বৈশাখী

শুক্রবার পুরসভার স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই 116 নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শন করেন ৷ সেখানে 225টি বাড়ি পরীক্ষা করে দেখে , তিন জায়গায় ডেঙ্গি বহনকারী মশার লাভা দেখতে পান তাঁরা ৷ তবে ওই তিনটি বাড়িরই নির্মাণকার্য চলছে ৷ লোকজন থাকেন না ৷ তাই কিছুটা হলেও স্বস্তি বলে মনে করছে পৌরনিগম ৷ তবে তিনটি বাড়িতেই নোটিস ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ আগামী চার দিনের মধ্যে জমা জল পরিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাতে ৷ নইলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছে পৌরনিগম ৷

Last Updated : Oct 22, 2021, 6:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.