কলকাতা, 17 এপ্রিল : কলকাতা পৌরনিগমের 106নং ওয়ার্ডের কালিকাপুর অঞ্চলে একসময় বিশাল পুকুর ছিল ৷ সেটি বর্তমানে অর্ধেকেরও বেশি কংক্রিটের আবর্জনায় বুজে গিয়েছে ৷ টক টু মেয়রে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ ৷ ফলে দিনে দিনে আবর্জনা ফেলে বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে এলাকার একমাত্র জলাশয় (Allegation of Filling Pond for Illegal Construction in Kalikapur of Ward No 106) ৷ বর্তমানে যেটূকু অংশ রয়েছে, তার পুরোটাই উলু ঘাস ও জঙ্গলায় ভর্তি ৷
কালিকাপুরের এই পুকুরে একসময় এলাকার মানুষজন স্নান করতেন ৷ পুকুর থাকায় এলাকায় জল জমত না ৷ এমনকি গরমকালে পরিবেশও মনোরম থাকত ৷ সেই কালিকাপুর এলাকার পুকুরটি বেআইনিভাবে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে (Filling Pond for Illegal Construction) ৷ বাম আমলে এই পুকুরের মালিক 30 গাড়ি রাবিশ ফেলে সেটিকে বুজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ৷ সেই সময় পরিবেশবিদরা সরকারের কাছে অভিযোগ করলে, পুকুরটি সরকারের তরফে অধিগ্রহণ করা হয় ৷ সে কথা স্বীকারও করেছিলেন পুকুরের মালিক ৷
অভিযোগ, সরকার বদলের পর শাসকদলের মদতে পুকুরের পূর্বতন মালিক ফের সেটিকে বুজিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন ৷ সরকারি বোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৷ পুকুরের একাংশ বুজিয়ে ইতিমধ্যে বহুতল গড়া হয়েছে ৷ আর বাকি অংশও বুজিয়ে ফেলার চক্রান্ত চলছে ৷ এ নিয়ে ‘টক টু মেয়র’এ ফোন করে অভিযোগ করা হয়েছিল ৷ সেই সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুকুরটির পুরনো রূপ ফিরিয়ে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতিই সার ছিল ৷ 9 দিন কাজ হওয়ার পর, তা বন্ধ হয়ে যায় ৷ কিন্তু, কেন তা জানা যায়নি ৷
আরও পড়ুন : Water Crisis in Kalikapur : গরমের শুরুতেই জল সংকটের আশঙ্কায় কালিকাপুর গীতাঞ্জলি পার্কের বাসিন্দারা
এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভাস্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে ৷ তেমনি মশা ও বিষাক্ত পোকামাকড়ের জ্বালায় জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে গিয়েছে ৷'' এ নিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানান, পুকুরটি নিয়ে তিনি খবর নিয়েছেন ৷ কাজ শুরুও হয়েছিল ৷ কিন্তু, কিছু মানুষ সমস্যা তৈরি করেছিলেন ৷ পুকুর সংস্কারের কাজের জন্য ফাইল তৈরি আছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ দ্রুত পুকুর সংস্কার শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র পারিষদ ৷ কলকাতায় কোনও জলাশয় বোজানো যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি ৷