ETV Bharat / city

Filling Pond for Illegal Construction : পুকুর বুজিয়ে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ, ‘টক টু মেয়রে’ জানিয়েও হয়নি সুরাহা

106 নং ওয়ার্ডের কালিকাপুরে পুকুর বুজিয়ে বহুতল নির্মাণের অভিযোগ (Allegation of Filling Pond for Illegal Construction in Kalikapur of Ward No 106) ৷ টক টু মেয়রে জানিয়েও মেলেনি সুরাহা ৷ শাসকদলের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ স্থানীয়দের ৷

Allegation of Filling Pond for Illegal Construction in Kalikapur of Ward No 106
Allegation of Filling Pond for Illegal Construction in Kalikapur of Ward No 106
author img

By

Published : Apr 17, 2022, 9:54 PM IST

কলকাতা, 17 এপ্রিল : কলকাতা পৌরনিগমের 106নং ওয়ার্ডের কালিকাপুর অঞ্চলে একসময় বিশাল পুকুর ছিল ৷ সেটি বর্তমানে অর্ধেকেরও বেশি কংক্রিটের আবর্জনায় বুজে গিয়েছে ৷ টক টু মেয়রে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ ৷ ফলে দিনে দিনে আবর্জনা ফেলে বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে এলাকার একমাত্র জলাশয় (Allegation of Filling Pond for Illegal Construction in Kalikapur of Ward No 106) ৷ বর্তমানে যেটূকু অংশ রয়েছে, তার পুরোটাই উলু ঘাস ও জঙ্গলায় ভর্তি ৷

কালিকাপুরের এই পুকুরে একসময় এলাকার মানুষজন স্নান করতেন ৷ পুকুর থাকায় এলাকায় জল জমত না ৷ এমনকি গরমকালে পরিবেশও মনোরম থাকত ৷ সেই কালিকাপুর এলাকার পুকুরটি বেআইনিভাবে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে (Filling Pond for Illegal Construction) ৷ বাম আমলে এই পুকুরের মালিক 30 গাড়ি রাবিশ ফেলে সেটিকে বুজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ৷ সেই সময় পরিবেশবিদরা সরকারের কাছে অভিযোগ করলে, পুকুরটি সরকারের তরফে অধিগ্রহণ করা হয় ৷ সে কথা স্বীকারও করেছিলেন পুকুরের মালিক ৷

অভিযোগ, সরকার বদলের পর শাসকদলের মদতে পুকুরের পূর্বতন মালিক ফের সেটিকে বুজিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন ৷ সরকারি বোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৷ পুকুরের একাংশ বুজিয়ে ইতিমধ্যে বহুতল গড়া হয়েছে ৷ আর বাকি অংশও বুজিয়ে ফেলার চক্রান্ত চলছে ৷ এ নিয়ে ‘টক টু মেয়র’এ ফোন করে অভিযোগ করা হয়েছিল ৷ সেই সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুকুরটির পুরনো রূপ ফিরিয়ে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতিই সার ছিল ৷ 9 দিন কাজ হওয়ার পর, তা বন্ধ হয়ে যায় ৷ কিন্তু, কেন তা জানা যায়নি ৷

আরও পড়ুন : Water Crisis in Kalikapur : গরমের শুরুতেই জল সংকটের আশঙ্কায় কালিকাপুর গীতাঞ্জলি পার্কের বাসিন্দারা

এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভাস্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে ৷ তেমনি মশা ও বিষাক্ত পোকামাকড়ের জ্বালায় জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে গিয়েছে ৷'' এ নিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানান, পুকুরটি নিয়ে তিনি খবর নিয়েছেন ৷ কাজ শুরুও হয়েছিল ৷ কিন্তু, কিছু মানুষ সমস্যা তৈরি করেছিলেন ৷ পুকুর সংস্কারের কাজের জন্য ফাইল তৈরি আছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ দ্রুত পুকুর সংস্কার শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র পারিষদ ৷ কলকাতায় কোনও জলাশয় বোজানো যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

কলকাতা, 17 এপ্রিল : কলকাতা পৌরনিগমের 106নং ওয়ার্ডের কালিকাপুর অঞ্চলে একসময় বিশাল পুকুর ছিল ৷ সেটি বর্তমানে অর্ধেকেরও বেশি কংক্রিটের আবর্জনায় বুজে গিয়েছে ৷ টক টু মেয়রে অভিযোগ জানিয়েও কোনও সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ ৷ ফলে দিনে দিনে আবর্জনা ফেলে বুজিয়ে দেওয়া হচ্ছে এলাকার একমাত্র জলাশয় (Allegation of Filling Pond for Illegal Construction in Kalikapur of Ward No 106) ৷ বর্তমানে যেটূকু অংশ রয়েছে, তার পুরোটাই উলু ঘাস ও জঙ্গলায় ভর্তি ৷

কালিকাপুরের এই পুকুরে একসময় এলাকার মানুষজন স্নান করতেন ৷ পুকুর থাকায় এলাকায় জল জমত না ৷ এমনকি গরমকালে পরিবেশও মনোরম থাকত ৷ সেই কালিকাপুর এলাকার পুকুরটি বেআইনিভাবে ভরাট করার অভিযোগ উঠেছে (Filling Pond for Illegal Construction) ৷ বাম আমলে এই পুকুরের মালিক 30 গাড়ি রাবিশ ফেলে সেটিকে বুজিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ৷ সেই সময় পরিবেশবিদরা সরকারের কাছে অভিযোগ করলে, পুকুরটি সরকারের তরফে অধিগ্রহণ করা হয় ৷ সে কথা স্বীকারও করেছিলেন পুকুরের মালিক ৷

অভিযোগ, সরকার বদলের পর শাসকদলের মদতে পুকুরের পূর্বতন মালিক ফের সেটিকে বুজিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন ৷ সরকারি বোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে ৷ পুকুরের একাংশ বুজিয়ে ইতিমধ্যে বহুতল গড়া হয়েছে ৷ আর বাকি অংশও বুজিয়ে ফেলার চক্রান্ত চলছে ৷ এ নিয়ে ‘টক টু মেয়র’এ ফোন করে অভিযোগ করা হয়েছিল ৷ সেই সময় মেয়র ফিরহাদ হাকিম আশ্বাস দিয়েছিলেন, পুকুরটির পুরনো রূপ ফিরিয়ে দেওয়া হবে ৷ কিন্তু, সেই প্রতিশ্রুতিই সার ছিল ৷ 9 দিন কাজ হওয়ার পর, তা বন্ধ হয়ে যায় ৷ কিন্তু, কেন তা জানা যায়নি ৷

আরও পড়ুন : Water Crisis in Kalikapur : গরমের শুরুতেই জল সংকটের আশঙ্কায় কালিকাপুর গীতাঞ্জলি পার্কের বাসিন্দারা

এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ভাস্কর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ''এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য যেমন নষ্ট হচ্ছে ৷ তেমনি মশা ও বিষাক্ত পোকামাকড়ের জ্বালায় জীবন ওষ্ঠাগত হয়ে গিয়েছে ৷'' এ নিয়ে কলকাতা পৌরনিগমের পরিবেশ বিভাগের মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার জানান, পুকুরটি নিয়ে তিনি খবর নিয়েছেন ৷ কাজ শুরুও হয়েছিল ৷ কিন্তু, কিছু মানুষ সমস্যা তৈরি করেছিলেন ৷ পুকুর সংস্কারের কাজের জন্য ফাইল তৈরি আছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ দ্রুত পুকুর সংস্কার শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মেয়র পারিষদ ৷ কলকাতায় কোনও জলাশয় বোজানো যাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.