ETV Bharat / city

রিভিউ, স্ক্রুটিনির পর মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় কমে গেল 10 জন পরীক্ষার্থী - review and scrutiny

এবছর মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রথম দশে নাম ছিল 51 জনের ৷ কিন্তু রিভিউ, স্ক্রুটিনির পর মাধ্যমিকের প্রথম দশের মেধা তালিকায় কমে গেল 10 জন পরীক্ষার্থী ৷ এখন মেধা তালিকায় রয়েছে 41 জনের নাম ৷ 41 জনের মধ্যে যেমন আগের মেধা তালিকায় থাকা পরীক্ষার্থীরা রয়েছে, তেমনই নতুন তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে নতুন কয়েকজন পরীক্ষার্থী ।

কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়
author img

By

Published : Aug 8, 2019, 10:58 AM IST

কলকাতা, 8 জুলাই : প্রকাশিত হয়েছে 2019 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের ফলাফল । ফল প্রকাশের পর বড়সড় রদবদল মেধাতালিকায় । গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এবছর মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রথম দশে স্থান পেয়েছিল মোট 51 জন পরীক্ষার্থী । কিন্তু রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফলাফল প্রকাশের পর এই ছবিটা বদলে যায় ৷ প্রথম দশে থাকা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে 10 জন কমে বাদ পড়েছে । প্রথম দশের মেধা তালিকায় আর 51 জন নয়, 41 জন পরীক্ষার্থী রয়েছে । এই 41 জনের মধ্যে যেমন আগের মেধা তালিকায় থাকা পরীক্ষার্থীরা রয়েছে, তেমনই মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে নতুন কয়েকজন পরীক্ষার্থী ।

এবিষয়ে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "এবছর প্রথম দশের যে প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট আমরা বের করেছিলাম তাতে 51 জনের নাম ছিল । এখন দশম স্থান পর্যন্ত 41 জন রয়েছে । 10 জন কমে গেছে । আগের মেধাতালিকায় যে প্রথম স্থান পেয়েছিল তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল 694 ৷ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পাওয়া পরীক্ষার্থীরা পেয়েছিল যথাক্রমে 691 ও 689 নম্বর । তৃতীয় যারা হয়েছিল তাদের ভিতরে একজন রায়গঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের ক্যামেলিয়া রায় তার এক নম্বর বেড়েছে । তবে সে তৃতীয় স্থানেই রয়েছে । কিন্তু, বাকিদের তো কোনও নম্বর বাড়েনি । তাই তাদের স্থান কমে ফোর্থ ব়্যাঙ্কে চলে গেছে । প্রথম দিকে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি ।"

মূলত, তৃতীয় স্থানাধীকারীর নম্বর পরিবর্তন হওয়ায় জেরে, আগের মেধা তালিকার প্রতিটি ব়্যাঙ্কই এক স্থান করে‌ নেমে এসেছে । দশম স্থানেও বহু রদবদল হয়েছে । এবিষয়ে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, " 681 নম্বর ছিল দশম স্থান পর্যন্ত । এবার 680 নম্বর পাওয়া একজন আলিপুরদুয়ারের বারোভিসা হাইস্কুলের আরিন সাহার দুই নম্বর বেড়েছে ৷ 682 নম্বর পেয়ে দশম হয়েছে সে । আগের মেধাতালিকায় 681 নম্বরটাই ছিল দশম স্থান দখল করা পরীক্ষার্থীর নম্বর । এবার 682 নম্বরটা সেই জায়গা দখল করল ৷ কোচবিহারের দিনহাটা গার্লস হাইস্কুলের তনিষ্ঠা দত্ত 680 পেয়েছিল, সে 682 পেয়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে । বাঁকুড়ার রামকৃষ্ণ মিশন সারদা বিদ্যাপীঠের সায়ন মণ্ডল 680 থেকে 682 নম্বর পেয়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে । দশম স্থানে আরও পরিবর্তন এসেছে । 674 পেয়েছিল বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কৌস্তভ সিংহ । তার 8 নম্বর বেড়ে 682 নম্বর হয়েছে ৷ দশম স্থানে উঠে এসেছে সে ৷ বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের অস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় 678 নম্বর পেয়েছিল, রিভিউয়ের পর সে 682 নম্বর পেয়েছে । 4 নম্বর বেড়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে সে ৷ " তিনি আরও বলেন, " আগে 681 নম্বরটা দশম স্থান ছিল । এবারে 681 নম্বর একাদশ স্থানে চলে এল । এই একাদশ স্থানে কিন্তু অনেকে চলে এসেছে নিচের দিক থেকে । 680 নম্বর পেয়েছিল কিন্তু 681 নম্বর পেয়ে উপরে উঠে এসেছে এরকম নতুন 8 জন আছে । যেহেতু, 681 নম্বর আগের মেধাতালিকায় ছিল, তাই তাদেরও তালিকায় রাখলাম । আর 682 নম্বর পেয়ে দশম স্থানে বাইরে থেকে পাঁচজন এসেছে ।"

মেধা তালিকা এইভাবে একেবারে ওলট-পালট হওয়ার কারণ কী? কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, " আগে যেটা হতো, প্রত্যেকটা নম্বরেই একজন করে স্টুডেন্ট থাকত । ফলে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় কন্টিনিউয়াস নম্বর থাকত । এটাই প্রথম বছর যেখানে প্রথম স্থানাধিকারী পেয়েছে 694 নম্বর ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পেয়েছে 691 নম্বর ৷ 693 ও 692 নম্বরে কেউ নেই । আবার 690 নম্বরে কেউ ছিল না । 689 নম্বরে ছিল । যে 689 নম্বর পেয়েছিল, সে 690 নম্বর পেয়ে গেল । ফলে, তার স্থান ঠিক রইল ৷ সে থার্ড ছিল, থার্ড রইল । তার পরের জনের স্থান পিছিয়ে গেল । এভাবে একটা করে ব়্যাঙ্ক পিছিয়ে গেল ।"

তিনি আরও বলেন, "আমাদের 2019 সালে মোট 10 লাখ 50 হাজার 397 জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল । পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি ও পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিল মোট 36 হাজার 874 জন । যেটা মোট পরীক্ষার্থীর 3.51 শতাংশ । তার মানে পরীক্ষার্থীদের 96.5 শতাংশ তাদের রেজ়াল্ট নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট । এই যে 3.51 শতাংশ আবেদন করেছিল তার মধ্যে রিভিউ করেছিল 2 হাজার 703 জন । যার মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে 683 জনের অর্থাৎ 25.27 শতাংশের । যেটা গত বছরের তুলনায় কম । গত বছর 3 হাজার 13 জন PPR করেছিল ও 785 জনের পরিবর্তন হয়েছিল । যেটা গতবছর 26.05 শতাংশ ছিল, এবছর সেটা 25.27 শতাংশ । স্ক্রুটিনির জন্য এবারে আবেদন করেছিল 34 হাজার 171 জন । তাদের মধ্যে 9 হাজার 212 জনের পরিবর্তন হয়েছে । 26.96 শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে । যা গতবারের তুলনায় একটু বেশি ।"

কলকাতা, 8 জুলাই : প্রকাশিত হয়েছে 2019 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার স্ক্রুটিনি ও রিভিউয়ের ফলাফল । ফল প্রকাশের পর বড়সড় রদবদল মেধাতালিকায় । গতকাল মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানান, এবছর মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় প্রথম দশে স্থান পেয়েছিল মোট 51 জন পরীক্ষার্থী । কিন্তু রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফলাফল প্রকাশের পর এই ছবিটা বদলে যায় ৷ প্রথম দশে থাকা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে 10 জন কমে বাদ পড়েছে । প্রথম দশের মেধা তালিকায় আর 51 জন নয়, 41 জন পরীক্ষার্থী রয়েছে । এই 41 জনের মধ্যে যেমন আগের মেধা তালিকায় থাকা পরীক্ষার্থীরা রয়েছে, তেমনই মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছে নতুন কয়েকজন পরীক্ষার্থী ।

এবিষয়ে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "এবছর প্রথম দশের যে প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট আমরা বের করেছিলাম তাতে 51 জনের নাম ছিল । এখন দশম স্থান পর্যন্ত 41 জন রয়েছে । 10 জন কমে গেছে । আগের মেধাতালিকায় যে প্রথম স্থান পেয়েছিল তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল 694 ৷ দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পাওয়া পরীক্ষার্থীরা পেয়েছিল যথাক্রমে 691 ও 689 নম্বর । তৃতীয় যারা হয়েছিল তাদের ভিতরে একজন রায়গঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের ক্যামেলিয়া রায় তার এক নম্বর বেড়েছে । তবে সে তৃতীয় স্থানেই রয়েছে । কিন্তু, বাকিদের তো কোনও নম্বর বাড়েনি । তাই তাদের স্থান কমে ফোর্থ ব়্যাঙ্কে চলে গেছে । প্রথম দিকে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি ।"

মূলত, তৃতীয় স্থানাধীকারীর নম্বর পরিবর্তন হওয়ায় জেরে, আগের মেধা তালিকার প্রতিটি ব়্যাঙ্কই এক স্থান করে‌ নেমে এসেছে । দশম স্থানেও বহু রদবদল হয়েছে । এবিষয়ে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, " 681 নম্বর ছিল দশম স্থান পর্যন্ত । এবার 680 নম্বর পাওয়া একজন আলিপুরদুয়ারের বারোভিসা হাইস্কুলের আরিন সাহার দুই নম্বর বেড়েছে ৷ 682 নম্বর পেয়ে দশম হয়েছে সে । আগের মেধাতালিকায় 681 নম্বরটাই ছিল দশম স্থান দখল করা পরীক্ষার্থীর নম্বর । এবার 682 নম্বরটা সেই জায়গা দখল করল ৷ কোচবিহারের দিনহাটা গার্লস হাইস্কুলের তনিষ্ঠা দত্ত 680 পেয়েছিল, সে 682 পেয়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে । বাঁকুড়ার রামকৃষ্ণ মিশন সারদা বিদ্যাপীঠের সায়ন মণ্ডল 680 থেকে 682 নম্বর পেয়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে । দশম স্থানে আরও পরিবর্তন এসেছে । 674 পেয়েছিল বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কৌস্তভ সিংহ । তার 8 নম্বর বেড়ে 682 নম্বর হয়েছে ৷ দশম স্থানে উঠে এসেছে সে ৷ বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের অস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় 678 নম্বর পেয়েছিল, রিভিউয়ের পর সে 682 নম্বর পেয়েছে । 4 নম্বর বেড়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে সে ৷ " তিনি আরও বলেন, " আগে 681 নম্বরটা দশম স্থান ছিল । এবারে 681 নম্বর একাদশ স্থানে চলে এল । এই একাদশ স্থানে কিন্তু অনেকে চলে এসেছে নিচের দিক থেকে । 680 নম্বর পেয়েছিল কিন্তু 681 নম্বর পেয়ে উপরে উঠে এসেছে এরকম নতুন 8 জন আছে । যেহেতু, 681 নম্বর আগের মেধাতালিকায় ছিল, তাই তাদেরও তালিকায় রাখলাম । আর 682 নম্বর পেয়ে দশম স্থানে বাইরে থেকে পাঁচজন এসেছে ।"

মেধা তালিকা এইভাবে একেবারে ওলট-পালট হওয়ার কারণ কী? কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, " আগে যেটা হতো, প্রত্যেকটা নম্বরেই একজন করে স্টুডেন্ট থাকত । ফলে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় কন্টিনিউয়াস নম্বর থাকত । এটাই প্রথম বছর যেখানে প্রথম স্থানাধিকারী পেয়েছে 694 নম্বর ও দ্বিতীয় স্থানাধিকারী পেয়েছে 691 নম্বর ৷ 693 ও 692 নম্বরে কেউ নেই । আবার 690 নম্বরে কেউ ছিল না । 689 নম্বরে ছিল । যে 689 নম্বর পেয়েছিল, সে 690 নম্বর পেয়ে গেল । ফলে, তার স্থান ঠিক রইল ৷ সে থার্ড ছিল, থার্ড রইল । তার পরের জনের স্থান পিছিয়ে গেল । এভাবে একটা করে ব়্যাঙ্ক পিছিয়ে গেল ।"

তিনি আরও বলেন, "আমাদের 2019 সালে মোট 10 লাখ 50 হাজার 397 জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল । পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি ও পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিল মোট 36 হাজার 874 জন । যেটা মোট পরীক্ষার্থীর 3.51 শতাংশ । তার মানে পরীক্ষার্থীদের 96.5 শতাংশ তাদের রেজ়াল্ট নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট । এই যে 3.51 শতাংশ আবেদন করেছিল তার মধ্যে রিভিউ করেছিল 2 হাজার 703 জন । যার মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে 683 জনের অর্থাৎ 25.27 শতাংশের । যেটা গত বছরের তুলনায় কম । গত বছর 3 হাজার 13 জন PPR করেছিল ও 785 জনের পরিবর্তন হয়েছিল । যেটা গতবছর 26.05 শতাংশ ছিল, এবছর সেটা 25.27 শতাংশ । স্ক্রুটিনির জন্য এবারে আবেদন করেছিল 34 হাজার 171 জন । তাদের মধ্যে 9 হাজার 212 জনের পরিবর্তন হয়েছে । 26.96 শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে । যা গতবারের তুলনায় একটু বেশি ।"

Intro:কলকাতা, 7 জুলাই: আজ প্রকাশিত হল 2019 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার স্কুটিনি ও রিভিউয়ের ফলাফল। ফলাফল প্রকাশের পরই বড়সড় রদবদল হল মেধাতালিকায়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় জানাচ্ছেন, এই বছর মাধ্যমিকের মেধাতালিকায় প্রথম দশে স্থান পেয়েছিলেন মোট 51 জন পরীক্ষার্থী। কিন্তু রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফলাফল প্রকাশের পর এই বদলে যায় এই চিত্রটা। প্রথম দশে থাকা পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমে যায় ১০ জন। অর্থাৎ, প্রথম দশের মেধাতালিকায় এখন 41 জন পরীক্ষার্থী রয়েছেন। এই 41 জনের মধ্যে যেমন আগের মেধাতালিকায় থাকা পরীক্ষার্থীরা রয়েছেন, তেমনি মেধাতালিকায় স্থান করে নিয়েছেন নতুন অনেক পরীক্ষার্থী।

Body:রিভিউ ও স্ক্রুটিনি পর নম্বর যে বিষয়টি সব থেকে এগিয়ে এসেছে তা হল নম্বর পরিবর্তনের জন্য মেধাতালিকায় ব্যাপক রদবদল। কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় এ বিষয়ে বলেন, "এই বছর প্রথম দশের যে প্রভিশনাল মেরিট লিস্ট আমরা বের করেছিলাম তাতে 51 জনের নাম ছিল। এখন দশম স্থান পর্যন্ত 41 জন রয়েছে। 10 জন কমে গেছে। আগের মেধাতালিকায় প্রথম স্থানাধীকারী 694 নম্বর পেয়েছিল। দ্বিতীয় 691 পেয়েছিল এবং তৃতীয় পেয়েছিল 689। তৃতীয় যারা হয়েছিল তাদের ভিতরে একজন রায়গঞ্জ গার্লস হাই স্কুলের ক্যামেলিয়া রায় তার এক নম্বর বেড়েছে। বেড়ে সে থার্ড ছিল, থার্ডই রয়েছে। কিন্তু, বাকিদের তো কোনও নাম্বর না বাড়েনি। তাই তাদের স্থান একটি করে কমে ফোর্থ ব়্যাঙ্কে চলে গেছে। প্রথম দিকে আর কোনও পরিবর্তন হয়নি।"

মূলত, তৃতীয় স্থানাধীকারীর নম্বর পরিবর্তন হওয়ায় পরের আগের মেধাতালিকার প্রতিটি ব়্যাঙ্কই এক স্থান করে‌ নেমে এসেছে। দশম স্থানেও বহু রদবদল হয়েছে এই কারণে। এবিষয়ে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "681 দশম স্থান পর্যন্ত ছিল। এবার 680 পাওয়া একজন আলিপুরদুয়ারের বারোভিসা হাইস্কুলের আরিন সাহা দুই নম্বর বেড়ে 682 পেয়ে দশম হয়েছে। আগের মেধাতালিকায় 681 নম্বরটাই ছিল দশম স্থান। এবার 682 নম্বরটা দশম হয়ে গেল। কোচবিহারের দিনহাটা গার্লস হাইস্কুলের তনিষ্ঠা দত্ত 680 পেয়েছিল, সে 682 পেয়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে। বাঁকুড়ার রামকৃষ্ণ মিশন সারদা বিদ্যাপীঠের সায়ন মণ্ডল 680 থেকে 682 পেয়ে দশম স্থানে উঠে এসেছে। দশম স্থানে আরও পরিবর্তন এসেছে। 674 পেয়েছিল বাঁকুড়া জেলা স্কুলের কৌস্তভ সিংহ। তার 8 নম্বর বেড়ে 682 পেয়ে দশম স্থানে এসেছে। বাঁকুড়ার বিবেকানন্দ শিক্ষা নিকেতন হাইস্কুলের অস্মিতা বন্দ্যোপাধ্যায় 678 পেয়েছিল, রিভিউয়ের পর সে 682 পেয়েছে। 4 নম্বর বেড়ে দশম স্থানে এসেছে।" কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, "আগে 681টা দশম স্থান ছিল। এবারে 681 একাদশ স্থানে চলে এল। এই একাদশ স্থানে কিন্তু অনেকে চলে এসেছে তলা থেকে। 680 পেয়েছিল, 681 পেয়ে উঠে এসেছে এরকম নতুন 8 জন আছে। যেহেতু, 681 আমার আগের মেধাতালিকায় ছিল, তাই তাদেরকেও আমি তালিকায় রাখলাম। আর 682 পেয়ে দশম স্থানে বাইরে থেকে পাঁচজন এসেছে।"

মেধাতালিকা এইভাবে একেবারে ওলট-পালট হওয়ার কারণ কী? উত্তরে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "আগে যেটা হতো প্রত্যেকটা নম্বরেই একজন করে স্টুডেন্ট থাকত। ফলে, প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় কন্টিনিউয়াস নম্বর থাকত। এটাই প্রথম বছর যেখানে প্রথম স্থানাধীকারী পেয়েছে 694 এবং দ্বিতীয় হয়েছে 691 নম্বর পেয়ে। 693, 692 কেউ নেই। আবার 690 নম্বরে কেউ ছিল না। 689 ছিল। এবারে যে 689 পেয়েছিল সে 690 পেয়ে গেল। ফলে, তার স্থান ঠিক রইল। সে থার্ড ছিল, থার্ড রইল। তার পরের জনের স্থান পিছিয়ে গেল তার জন্য। এভাবে একটা করে ব়্যাঙ্ক পিছিয়ে গেল।"

পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় রিভিউ ও স্ক্রুটিনির ফলাফল নিয়ে বলেন, "আমাদের 2019 সালে মোট 10 লক্ষ 50 হাজার 397 জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিল। আমাদের পোস্ট পাবলিকেশন স্ক্রুটিনি ও পোস্ট পাবলিকেশন রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছিল মোট 36 হাজার 874 জন। যেটা মোট পরীক্ষার্থীর 3.51 শতাংশ। তার মানে পরীক্ষার্থীদের 96.5 শতাংশ তাদের রেজাল্ট নিয়ে সম্পূর্ণ সন্তুষ্ট। এই যে 3.51 শতাংশ আবেদন করেছিল তার মধ্যে রিভিউ করেছিল 2 হাজার 703 জন। যার মধ্যে পরিবর্তন হয়েছে 683 জনের, 25.27 শতাংশের। যেটা গত বছরের তুলনায় কম। গত বছর 3 হাজার 13 জন PPR করেছিল এবং 785 জনের পরিবর্তন হয়েছিল। 26.05 শতাংশ ছিল, এবছর সেটা 25.27 শতাংশ। স্ক্রুটিনির জন্য এবারে আবেদন করেছিল 34 হাজার 171 জন। তাদের মধ্যে 9 হাজার 212 জনের পরিবর্তন হয়েছে। 26.96 শতাংশ পরিবর্তন হয়েছে। যা গতবারের তুলনায় একটু বেশি।"


Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.