কলকাতা, 29 ডিসেম্বর : পরিবহন মন্ত্রীর আশ্বাস অনুযায়ী আগামী বছর অর্থাৎ 2020-তে চালু হতে চলেছে দূষণ নিয়ন্ত্রক কম্প্রেস ন্যাচারাল গ্যাস (CNG) চালিত 10টি বাস । তবে CNG বাস চালু করার প্রস্তুতির কোনও দেখা নেই । CNG গ্যাস স্টেশনের জন্য যে পরিকাঠামোর প্রয়োজন তাও নেই শহরে বলছেন বিশেষজ্ঞরা ।
পরিবহন সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, "এটা একেবারে একটি নতুন প্রযুক্তি । রাজ্য সরকার গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (GAIL) সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে এই প্রকল্পটি চালু করবে । GAILএর মাধ্যমেই গ্যাস সরবরাহ করা হবে । পরবর্তীকালে দুর্গাপুর থেকে কসবা স্টেশন পর্যন্ত পাইপলাইন টানা হবে ।"
উল্লেখ্য, কয়লাখনি থেকে পাওয়া যায় এই গ্যাস । আমাদের রাজ্যে দুর্গাপুর, আসানসোল, রানিগঞ্জের, বিভিন্ন খনি থেকে এই গ্যাস সরবরাহ করা হয় । ডিজেল-পেট্রলের থেকে তুলনামূলক অনেকটাই দাম কম ৷ যে কোনও পেট্রল বা ডিজ়েলে চালিত গাড়িতেই CNG কিট ও সিলিন্ডার বসিয়ে সেই গাড়িটিকে CNG-র মাধ্যমেও চালানো যেতে পারে ।
বায়ু দূষণের একটা বড় কারণ হল যানবাহন থেকে নির্গত দূষণ । তাই পরিবেশবিদরা মনে করছেন যে CNG বাস চালু হলে নিঃসন্দেহে উপকৃত হবে শহরবাসী । এ প্রসঙ্গে পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ ও ভারত সরকারের পেটেন্ট প্রাপ্ত সৌমেন্দ্রমোহন ঘোষ বলেন, "ক্যাসকেড থেকে সরাসরি গ্যাস ভরা একটা সাময়িক ব্যবস্থা । কারণ ক্যাসকেদের মাধ্যমে দুর্গাপুর বা রানিগঞ্জ থেকে গ্যাস নিয়ে আসার ব্যবস্থাটি যেমন সময়সাপেক্ষ, তেমনই যাতায়াতে খরচও পরে যাবে অনেক । এছাড়াও CNG ব্যবস্থা চালু করার জন্য শহরের পেট্রল পাম্পগুলিও এখনও প্রস্তুত নয়।" তিনি আরও বলেন, বাস যাতে নিয়মিতভাবে CNG-তে চলে সেই বিষয় পাকাপাকি করতে ডানকুনিতে একটি মাদার স্টেশন করতে হবে ৷ সেই সঙ্গে দুর্গাপুর থেকে মাটির নিচে দিয়ে পাইপলাইন বসানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে CNG পাম্পের জন্য প্রয়োজন কমপক্ষে 10 হাজার স্কয়্যার ফুট জায়গা । যা কলকাতায় পাওয়া মুশকিল । তবে 10 বছরের পুরোনো বাস বা গাড়িতে CNG কিট ও সিলিন্ডার বসালে কাজ হবে না । 10 বছরের কম বয়সের গাড়ি বা বাসগুলিতেই CNG কাজ করবে । সৌমেন্দ্রবাবু আরও বলেন, "অন্যান্য শহরে এই মেশিন বসানোর প্রক্রিয়া চালু হলেও এখানে তা শুরু হয়নি । এই মেশিন বসাতে কয়েকটি কোটি টাকা খরচ হয় এবং বেশ সময়সাপেক্ষও ।"