ETV Bharat / city

রাজ্যের ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে 5.35 লাখ কোটি টাকা, বলছে রাজ্য বাজেট - Mamata Banerjee

2020-21 সালের অর্থবর্ষের সংশোধিত প্রাক্কলন (Revised Estimate) অনুযায়ী জমা ঋণের পরিমাণ ছিল 4,81,398.85 ( 4.81 লাখ কোটি) টাকা । অর্থাৎ এক বছরে জমা ধারের পরিমাণ বাড়ছে প্রায় 11 শতাংশ ।

MAMATA
MAMATA
author img

By

Published : Jul 7, 2021, 6:56 PM IST

Updated : Jul 8, 2021, 11:21 AM IST

কলকাতা, 7 জুলাই : দেনার দায়ে এমনিতেই কোষাগারের হাঁড়ির হাল পশ্চিমবঙ্গে । 2021-22 অর্থবর্ষের শেষে এই ধারের পরিমাণ আরও বিপুলভাবে বাড়তে চলেছে । বুধবার রাজ্য বিধানসভাতে 2021-22 সালের বাজেট পেশ করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ "এক নজরে বাজেট" নথিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে 2021-22 অর্থবর্ষের বাজেট প্রাক্কলন (Budget Estimate) অনুযায়ী এই অর্থবর্ষের শেষে পশ্চিমবঙ্গের জমা ঋণের (Accumulated Debt) পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে 5,35,833.81 (5.55 লাখ কোটি) টাকা ।

2020-21 সালের অর্থবর্ষের সংশোধিত প্রাক্কলন (Revised Estimate) অনুযায়ী জমা ঋণের পরিমাণ ছিল 4,81,398.85 ( 4.81 লাখ কোটি) টাকা । অর্থাৎ একবছরে জমা ধারের পরিমাণ বাড়ছে প্রায় 11 শতাংশ ।

ওদিকে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আবগারি (State Excise) নির্ভরতা আবার প্রকট হয়েছে সেই "এক নজরে বাজেট" নথিতেই । 2021-22 অর্থবর্ষের বাজেট প্রাক্কলন (Budget Estimate) অনুযায়ী 2021-22 অর্থবর্ষের শেষে পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ধার্য হয়েছে 75,415.71 কোটি টাকা । 2020-21 সালের অর্থবর্ষের সংশোধিত প্রাক্কলন (Revised Estimate) অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল 59,886.59 কোটি টাকা । অর্থাৎ এই এক বছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে 20 শতাংশের অল্প কিছু বেশি।

কিন্তু রাজস্ব আদায়ের উপাদানগুলোকে মন দিয়ে দেখলেই বোঝা যায় যে এই রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বিপুলভাবে আবগারি (State Excise) পণ্যের উপর শুল্ক থেকে প্রাপ্ত করের উপর নির্ভরশীল । 2021-21 অর্থবর্ষের বাজেট প্রাক্কলন (Budget Estimate) অনুযায়ী এই অর্থবর্ষের শেষে পশ্চিমবঙ্গের আবগারি খাতে আদায়ের পরিমাণের লক্ষ্যমাত্রা হল 16,100 কোটি টাকা । 2020-21 সালের অর্থবর্ষের সংশোধিত প্রাক্কলন (Revised Estimate) অনুযায়ী আবগারি খাতে আদায় হয়েছিল 11,458 কোটি টাকা । অর্থাৎ এক বছরে শতাংশের হিসাবে এই আবগারি আদায়ের পরিমাণ বাড়তে চলেছে 40 শতাংশের বেশি ।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যে অধুনা পরিস্থিতে খরচ চালানোর জন্য বাজার থেকে ধার এবং রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্কের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নির্ভরতা বজায় থাকবে । বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায়ের বলেছেন, " পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেনার জালে প্রায় জড়িয়ে পড়েছে । একদিকে বিভিন্ন প্রকল্পে বিপুল খরচ এবং অন্যদিকে পুরানো দেনার আসল এবং সুদ মেটাতে নতুন করে ধার, আপাতত এই হল পশ্চিমবঙ্গের ভবিষৎ । আর এই যে বিপুল খরচ তার সিংহভাগই হল রাজস্ব ব্যয় (Revenue Expenditure), যেখানে কোনো সম্পদ সৃষ্টি (Asset Creation) হয় না । সম্পদ সৃষ্টি হয় মূলধন ব্যয় (Capital Expenditure) থেকে যেমন নতুন পরিকাঠামো গঠন বা নতুন শিল্পের ভিত্তিপ্রস্তর । রাজ্যের জমিনীতি এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (Special Economic Zone) নীতি এই মূলধন ব্যয়ের (Capital Expenditure) ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধক । তাই ধারই ভরসা । "

আরও পড়ুন : নন্দীগ্রাম মামলা : 5 লাখ টাকা জরিমানা মমতার, সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ শান্তুনু সান্যালের মতে, আবগারি শুল্কের উপর নির্ভরতা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয় । "সেই বাম আমল থেকেই এটা চলে এসেছে এবং এখনো চলছে । দুই সরকারিই ঢালাওভাবে নতুন মদের দোকান দোকান এবং বার খোলার অনুমতি দিয়েছে । তৃণমূল সরকার তো আবার মদের পাইকারি ব্যবসা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে । এই লকডাউনে ঢালাও ভাবে খোলা রয়েছে মদের দোকান এবং বার । মোদ্দা কথা হলো বড় শিল্পে বিনোয়োগ টানতে না পারলে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এই আবগারি নির্ভরতা চলতেই থাকবে," বলেন তিনি ।

কলকাতা, 7 জুলাই : দেনার দায়ে এমনিতেই কোষাগারের হাঁড়ির হাল পশ্চিমবঙ্গে । 2021-22 অর্থবর্ষের শেষে এই ধারের পরিমাণ আরও বিপুলভাবে বাড়তে চলেছে । বুধবার রাজ্য বিধানসভাতে 2021-22 সালের বাজেট পেশ করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ "এক নজরে বাজেট" নথিতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে যে 2021-22 অর্থবর্ষের বাজেট প্রাক্কলন (Budget Estimate) অনুযায়ী এই অর্থবর্ষের শেষে পশ্চিমবঙ্গের জমা ঋণের (Accumulated Debt) পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে 5,35,833.81 (5.55 লাখ কোটি) টাকা ।

2020-21 সালের অর্থবর্ষের সংশোধিত প্রাক্কলন (Revised Estimate) অনুযায়ী জমা ঋণের পরিমাণ ছিল 4,81,398.85 ( 4.81 লাখ কোটি) টাকা । অর্থাৎ একবছরে জমা ধারের পরিমাণ বাড়ছে প্রায় 11 শতাংশ ।

ওদিকে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আবগারি (State Excise) নির্ভরতা আবার প্রকট হয়েছে সেই "এক নজরে বাজেট" নথিতেই । 2021-22 অর্থবর্ষের বাজেট প্রাক্কলন (Budget Estimate) অনুযায়ী 2021-22 অর্থবর্ষের শেষে পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ধার্য হয়েছে 75,415.71 কোটি টাকা । 2020-21 সালের অর্থবর্ষের সংশোধিত প্রাক্কলন (Revised Estimate) অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ ছিল 59,886.59 কোটি টাকা । অর্থাৎ এই এক বছরে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে 20 শতাংশের অল্প কিছু বেশি।

কিন্তু রাজস্ব আদায়ের উপাদানগুলোকে মন দিয়ে দেখলেই বোঝা যায় যে এই রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বিপুলভাবে আবগারি (State Excise) পণ্যের উপর শুল্ক থেকে প্রাপ্ত করের উপর নির্ভরশীল । 2021-21 অর্থবর্ষের বাজেট প্রাক্কলন (Budget Estimate) অনুযায়ী এই অর্থবর্ষের শেষে পশ্চিমবঙ্গের আবগারি খাতে আদায়ের পরিমাণের লক্ষ্যমাত্রা হল 16,100 কোটি টাকা । 2020-21 সালের অর্থবর্ষের সংশোধিত প্রাক্কলন (Revised Estimate) অনুযায়ী আবগারি খাতে আদায় হয়েছিল 11,458 কোটি টাকা । অর্থাৎ এক বছরে শতাংশের হিসাবে এই আবগারি আদায়ের পরিমাণ বাড়তে চলেছে 40 শতাংশের বেশি ।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে যে অধুনা পরিস্থিতে খরচ চালানোর জন্য বাজার থেকে ধার এবং রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে আবগারি শুল্কের উপর পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই নির্ভরতা বজায় থাকবে । বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রবীর কুমার মুখোপাধ্যায়ের বলেছেন, " পশ্চিমবঙ্গ সরকার দেনার জালে প্রায় জড়িয়ে পড়েছে । একদিকে বিভিন্ন প্রকল্পে বিপুল খরচ এবং অন্যদিকে পুরানো দেনার আসল এবং সুদ মেটাতে নতুন করে ধার, আপাতত এই হল পশ্চিমবঙ্গের ভবিষৎ । আর এই যে বিপুল খরচ তার সিংহভাগই হল রাজস্ব ব্যয় (Revenue Expenditure), যেখানে কোনো সম্পদ সৃষ্টি (Asset Creation) হয় না । সম্পদ সৃষ্টি হয় মূলধন ব্যয় (Capital Expenditure) থেকে যেমন নতুন পরিকাঠামো গঠন বা নতুন শিল্পের ভিত্তিপ্রস্তর । রাজ্যের জমিনীতি এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (Special Economic Zone) নীতি এই মূলধন ব্যয়ের (Capital Expenditure) ক্ষেত্রে বিরাট প্রতিবন্ধক । তাই ধারই ভরসা । "

আরও পড়ুন : নন্দীগ্রাম মামলা : 5 লাখ টাকা জরিমানা মমতার, সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ শান্তুনু সান্যালের মতে, আবগারি শুল্কের উপর নির্ভরতা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে নতুন কিছু নয় । "সেই বাম আমল থেকেই এটা চলে এসেছে এবং এখনো চলছে । দুই সরকারিই ঢালাওভাবে নতুন মদের দোকান দোকান এবং বার খোলার অনুমতি দিয়েছে । তৃণমূল সরকার তো আবার মদের পাইকারি ব্যবসা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছে । এই লকডাউনে ঢালাও ভাবে খোলা রয়েছে মদের দোকান এবং বার । মোদ্দা কথা হলো বড় শিল্পে বিনোয়োগ টানতে না পারলে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে এই আবগারি নির্ভরতা চলতেই থাকবে," বলেন তিনি ।

Last Updated : Jul 8, 2021, 11:21 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.