ETV Bharat / city

Abhishek Banerjee শুভেন্দুর জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গা জোয়ারি না করার নির্দেশ অভিষেকের - অনুব্রত মণ্ডল

মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরর তমলুক ও কাঁথি এবং পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ৷ বৈঠকে নেতাদের ভোটের সময় বলপ্রয়োগে নিষেধ করেছেন অভিষেক ৷ তৃণমূল (Trinamool Congress) সূত্রে এমনই খবর মিলেছে ৷

abhishek-banerjee-directs-trinamool-congress-leader-to-conduct-fair-election-on-upcoming-panchayat-polls
Abhishek Banerjee শুভেন্দুর জেলার তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গা জোয়ারি না করার নির্দেশ অভিষেকের
author img

By

Published : Aug 23, 2022, 8:44 PM IST

কলকাতা, 23 অগস্ট : লোকসভা (Lok Sabha Elections) এবং পঞ্চায়েত (Panchayat Polls), বিগত দু’টি নির্বাচনের ক্ষেত্রে শাসক দলের লক্ষ্যই ছিল সব আসনে জয় । লোকসভায় তো শাসক দলের নেতারা স্লোগান তুলেছিলেন 42-এ 42 । অর্থাৎ বিরোধী শূন্য রাজনীতির যে প্রবণতা বিগত কয়েকটি নির্বাচনে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল, এবার তার থেকে সরে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। শাসক দলের সূত্র থেকে তেমনই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷

এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি সংগঠনিক জেলা তমলুক এবং কাঁথি নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । সেখানে অভিষেক বার্তা দেন, দুই একটা আসন হেরে গেলে ক্ষতি নেই । তবে কোনোভাবেই বলপ্রয়োগ করে নির্বাচনে জেতা যাবে না । এক্ষেত্রে তৃণমূল প্রার্থীদের কাজ, মানুষের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ এবং উন্নয়নের ভিত্তিতেই জিততে হবে ।

প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন । ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দল ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে । বিগত কয়েকদিনের ধরেই জেলা ধরে ধরে ক্যামাক স্ট্রিটে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক । মঙ্গলবার বৈঠক করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি সাংগঠনিক জেলা তমলুক ও কাঁথি নিয়ে । একই সঙ্গে এদিন তিনি বৈঠক করেছেন পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গেও ।

এ দিনের এই বৈঠক ছিল তাৎপর্যপূর্ণ ৷ কারণ, এই পূর্ব মেদিনীপুরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা । রাজনৈতিক মহলে এই জেলা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুক বলেই পরিচিত । ফলে সেই জেলা নিয়ে অভিষেক ঠিক কী নির্দেশ দেন, সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলেন নেতারা ৷

তৃণমূল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখেই এদিন বৈঠক হয়েছে । এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে মূলত দু’টি বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনোভাবেই গা জোয়ারি করা যাবে না । 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই শাসকদলের বিরুদ্ধেই গা জোয়ারির অভিযোগ উঠেছিল । বহু জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল । এবং পরবর্তীতে এর জন্য বিরোধীদের কড়া আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূলকে । ঘরোয়া আলোচনায় তৃণমূল নেতারা স্বীকার করেন, এই গা জোয়ারির ফল রাজ্যের শাসকদলকে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে ভুগতে হয়েছিল ।

এবার কিন্তু সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । বছর ঘুরলে পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ তারপরেই রয়েছে লোকসভা ভোট ৷ আর সেই সুদূরপ্রসারী ভাবনা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের বার্তা কোনোভাবেই পঞ্চায়েত ভোটে বল প্রয়োগ করা যাবে না । তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, দু’চারটে আসনে যদি দল হারে তাতেও কোনও ক্ষতি নেই । কিন্তু নির্বাচনে বলপ্রয়োগ করা যাবে না ।

একই সঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে কোনও নেতার সুপারিশ নয়, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনের মূল চাবিকাঠি । দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন । একই ভাবে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে । প্রতিমুহূর্তে বিরোধীদের টানা আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলকে । এই অবস্থায় যাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, যাঁরা জনগণের সঙ্গে মেশেন, যাঁদের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ।

একই সঙ্গে এদিনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতৃত্বকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি উন্নয়নের প্রচার রাস্তায় নেমে করতে হবে দলকে । সোশ্যাল সাইটে প্রচার নয়, মানুষের দরজায় গিয়ে সরকারি উন্নয়ন কতটা হয়েছে, সে খবর তুলে ধরতে হবে দলীয় নেতাদের । একই সঙ্গে তিনি বার্তা দেন, দলের অভ্যন্তরে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না । তিনি এও বার্তা দিয়েছেন যে জেলা নেতৃত্বকে প্রত্যেক 15 দিন অন্তর বৈঠক করতে হবে । এবং এক্ষেত্রে দলের স্ট্যাটাস রিপোর্ট তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠাতে হবে ।

আরও পড়ুন : বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটিতে জায়গা হচ্ছে না দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থর

কলকাতা, 23 অগস্ট : লোকসভা (Lok Sabha Elections) এবং পঞ্চায়েত (Panchayat Polls), বিগত দু’টি নির্বাচনের ক্ষেত্রে শাসক দলের লক্ষ্যই ছিল সব আসনে জয় । লোকসভায় তো শাসক দলের নেতারা স্লোগান তুলেছিলেন 42-এ 42 । অর্থাৎ বিরোধী শূন্য রাজনীতির যে প্রবণতা বিগত কয়েকটি নির্বাচনে লক্ষ্য করা যাচ্ছিল, এবার তার থেকে সরে আসছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)। শাসক দলের সূত্র থেকে তেমনই খবর পাওয়া গিয়েছে ৷

এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি সংগঠনিক জেলা তমলুক এবং কাঁথি নিয়ে বৈঠক করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । সেখানে অভিষেক বার্তা দেন, দুই একটা আসন হেরে গেলে ক্ষতি নেই । তবে কোনোভাবেই বলপ্রয়োগ করে নির্বাচনে জেতা যাবে না । এক্ষেত্রে তৃণমূল প্রার্থীদের কাজ, মানুষের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ এবং উন্নয়নের ভিত্তিতেই জিততে হবে ।

প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন । ইতিমধ্যেই রাজ্যের শাসক দল ঘর গোছাতে শুরু করে দিয়েছে । বিগত কয়েকদিনের ধরেই জেলা ধরে ধরে ক্যামাক স্ট্রিটে সাংগঠনিক বৈঠক করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক । মঙ্গলবার বৈঠক করলেন পূর্ব মেদিনীপুরের দু’টি সাংগঠনিক জেলা তমলুক ও কাঁথি নিয়ে । একই সঙ্গে এদিন তিনি বৈঠক করেছেন পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলার নেতাদের সঙ্গেও ।

এ দিনের এই বৈঠক ছিল তাৎপর্যপূর্ণ ৷ কারণ, এই পূর্ব মেদিনীপুরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর জেলা । রাজনৈতিক মহলে এই জেলা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) খাসতালুক বলেই পরিচিত । ফলে সেই জেলা নিয়ে অভিষেক ঠিক কী নির্দেশ দেন, সেই দিকেই তাকিয়ে ছিলেন নেতারা ৷

তৃণমূল সূত্রে খবর, পঞ্চায়েত ভোটকে মাথায় রেখেই এদিন বৈঠক হয়েছে । এই পঞ্চায়েত নির্বাচনের লক্ষ্যে মূলত দু’টি বার্তা দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনোভাবেই গা জোয়ারি করা যাবে না । 2018 সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই শাসকদলের বিরুদ্ধেই গা জোয়ারির অভিযোগ উঠেছিল । বহু জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল রাজ্যের শাসক দল । এবং পরবর্তীতে এর জন্য বিরোধীদের কড়া আক্রমণের মুখে পড়তে হয়েছিল তৃণমূলকে । ঘরোয়া আলোচনায় তৃণমূল নেতারা স্বীকার করেন, এই গা জোয়ারির ফল রাজ্যের শাসকদলকে পরবর্তী লোকসভা নির্বাচনে ভুগতে হয়েছিল ।

এবার কিন্তু সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি চাইছেন না অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় । বছর ঘুরলে পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ তারপরেই রয়েছে লোকসভা ভোট ৷ আর সেই সুদূরপ্রসারী ভাবনা থেকে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে অভিষেকের বার্তা কোনোভাবেই পঞ্চায়েত ভোটে বল প্রয়োগ করা যাবে না । তিনি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন, দু’চারটে আসনে যদি দল হারে তাতেও কোনও ক্ষতি নেই । কিন্তু নির্বাচনে বলপ্রয়োগ করা যাবে না ।

একই সঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে কোনও নেতার সুপারিশ নয়, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনের মূল চাবিকাঠি । দলের প্রাক্তন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) এই মুহূর্তে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলে রয়েছেন । একই ভাবে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) রয়েছেন সিবিআই হেফাজতে । প্রতিমুহূর্তে বিরোধীদের টানা আক্রমণের শিকার হতে হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলকে । এই অবস্থায় যাঁদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে, যাঁরা জনগণের সঙ্গে মেশেন, যাঁদের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁদেরই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে ।

একই সঙ্গে এদিনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় নেতৃত্বকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, সরকারি উন্নয়নের প্রচার রাস্তায় নেমে করতে হবে দলকে । সোশ্যাল সাইটে প্রচার নয়, মানুষের দরজায় গিয়ে সরকারি উন্নয়ন কতটা হয়েছে, সে খবর তুলে ধরতে হবে দলীয় নেতাদের । একই সঙ্গে তিনি বার্তা দেন, দলের অভ্যন্তরে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বরদাস্ত করা হবে না । তিনি এও বার্তা দিয়েছেন যে জেলা নেতৃত্বকে প্রত্যেক 15 দিন অন্তর বৈঠক করতে হবে । এবং এক্ষেত্রে দলের স্ট্যাটাস রিপোর্ট তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে পাঠাতে হবে ।

আরও পড়ুন : বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটিতে জায়গা হচ্ছে না দুর্নীতিতে অভিযুক্ত পার্থর

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.