খড়্গপুর, 11 জুলাই : গ্যাস কাটার দিয়ে দরজা কেটে চুরি তো ঢুকল... কিন্তু টাকা চুরি করতে পারল না ৷ কারণ লকার ভাঙতে পারেনি ৷ টাকা পেল না, তাই খুলে নিয়ে গেল ব্যাঙ্কের মূল কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক ৷ বড়সড় চুরির হাত থেকে রক্ষা পেল খড়্গপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক ৷ ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রেলশহরে ৷ তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
খড়্গপুর থানার লছমাপুর পঞ্চায়েতের উপরেই রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখা ৷ শনিবার গভীর রাতে একটি ডাকাতের দল এই শাখায় চুরি করতে আসে । তারা ব্যাঙ্কের শাটার গ্যাস কাটার দিয়ে কেটে ভিতরে ঢুকেছিল । কিন্তু ভিতরের লকার ভাঙতে না পারায় ব্যর্থ হয়ে কম্পিউটারের হার্ড ডিক্স নিয়ে যায় ৷ লকার ভাঙতে না পারায় টাকা-পয়সা এবং কাগজপত্র সব নিরাপদেই রয়েছে বলে জানিয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ । এদিন সকালে স্থানীয় গ্রাম প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন শাখার ম্যানেজার ৷ তদন্ত শুরু করেছে খড়্গপুর থানার পুলিশ । সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে তারা ৷
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ডাকাত দলটিতে 10-12 জন ছিল ৷ যেভাবে ব্যাঙ্কের শাটারটি কাটা হয়েছে তাতে পাকা চোর ছাড়া তা সম্ভব নয় ৷ তাছাড়াও যেভাবে লকার ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে তাতে দলে 10 থেকে 12 জন না থাকলে এই ধরনের ঝুঁকিও নেওয়া সম্ভব নয় ৷ আপাতত সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ পাশাপাশি এলাকার সন্দেহজনক কাউকে মনে হলে জিজ্ঞাসাবাদও করা হচ্ছে ৷
গ্রাম প্রধান নান্টু দৌলুই বলেন, "ব্যাঙ্কের ভিতরে ঢুকে প্রথমে ডাকাতরা ইলেকট্রিক তারগুলো কেটে চুরি করার চেষ্টা করে ৷ লকার ভাঙার বহু চেষ্টা করেছে কিন্তু লকার ভাঙতে পারেনি ৷ ব্যাঙ্কের কম্পিউটারের হার্ড ডিক্স খুলে নিয়ে গিয়েছে ৷ হার্ড ডিক্সে অনেক তথ্য ছিল ৷ সেগুলি নিয়ে চলে গিয়েছে ৷ আমরা পুলিশকে সমস্ত সিসিটিভির ফুটেজ দিয়েছি ৷ অবিলম্বে গ্রেফতার করে দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি ৷ পাশাপাশি গ্রামের মানুষকে জানাতে চাইছি, এই কাণ্ডের পরও তাঁদের কাগজপত্র এবং টাকাপয়সা- সব নিরাপদেই রয়েছে ৷"
করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে বিধিনিষেধ জারি রয়েছে ৷ তাই রাত ন'টার পর এখানেও রাস্তায় লোকজন কমে যাচ্ছে ৷ ফলে সুবিধা হচ্ছে চুরি-ডাকাতির ক্ষেত্রে ৷ স্থানীয়রা চাইছেন, পুলিশ আরও সক্রিয় হোক এবং রাতে এলাকায় কড়া টহলের ব্যবস্থা করা হোক ।
আরও পড়ুন : বাংলার মেয়েকেই চেয়েছিল, উন্নয়ন পৌঁছায়নি ডোমপাড়ায়