হাওড়া, 27 জুলাই : বিয়ের পর সাধারণত নবদম্পতি আগামী জীবনের আশীর্বাদ নিতে মন্দিরে যান। এটাই হিন্দু সমাজের প্রচলিত রীতি। কিন্তু তা না করে নবদম্পতি সোজা ছুটলেন থানায়। থানার সামনে গাড়ি দাঁড়াতেই এক্কেবারে সোজা ডিউটি অফিসারের ঘরে। হঠাৎ নবদম্পতিকে থানায় ঢুকতে দেখে হকচকিয়ে গিয়েছিলেন পুলিশকর্মীরাও। কী ব্যাপার? নতুন বিয়ে করেই থানায় আসার কারণটা কী? বিষয়টা বুঝতে খানিক সময় লাগল কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের।
কোরোনা আবহে পুলিশকর্মীরা রাস্তায় নেমে কাজ করছেন। সংক্রমিত হওয়া সত্ত্বেও তাঁরা একইভাবে সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন ৷ তাই মন্দির নয়, দেবতা জ্ঞানে সেই পুলিশকর্মীদের আশীর্বাদ নিতেই থানায় হাজির নবদম্পতি। আপাত বিস্ময়কর এই ঘটনাটি ঘটে আজ সকালে বাগনান থানায়। আকস্মিক এই ঘটনায় থানায় উপস্থিত পুলিশকর্মীরাও অবাক হয়ে যান। কোনও বিপদ আপদ নয় -কোরোনা রুখতে টানা লড়াই করা পুলিশকর্মীদের দেবতা জ্ঞান করে থানাকেই মন্দির করে তুলল বাগনানের হিজলকের অনীশ মাজি। পেশায় ইঞ্জিনিয়র অনিশ নববধূকে নিয়ে সোমবার আশীর্বাদ নিল পুলিশের। আর প্রণামী হিসাবে তুলে দিল স্যানিটাইজ়ার ,মিষ্টি ও মাস্ক।
স্বামীর এহেন ভূমিকায় বেজায় আপ্লুত সঞ্জিতা। তিনি জানান, স্বামীর এই কাজ তিনি পূর্ণ সমর্থন করেন। আগামীদিনেও স্বামীর পাশে থাকবেন। এই ঘটনায় খুশি পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে থানায় আগত সকলেই ।