হাওড়া, 20 জুলাই: রাত পোহালেই 21 জুলাই । তার আগেই শহরে ভিড় জমাচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা । আর আগাম আসা কর্মীদের জন্য হাওড়ার সালকিয়ার শ্যাম গার্ডেনে চালু হয়েছে অস্থায়ী শিবির । দলের পক্ষ থেকে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে ৷
শ্যাম গার্ডেনের অস্থায়ী শিবিরে কর্মীদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় তার জন্য সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় নিজে সমস্ত ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতে আসেন (Minister Arup Roy inspects TMC camp for workers at Salkia) । বিভিন্ন জেলা থেকে ইতিমধ্যেই আসতে শুরু করেছেন কর্মী সমর্থকেরা । পাশাপাশি দূরের জেলা থাকে যাঁরা আসছেন তাঁদের সাহায্যের জন্য হাওড়া স্টেশন চত্বরে খোলা হয়েছে অস্থায়ী সাহায্য কেন্দ্র । সেখানে উপস্থিত রয়েছে স্বাস্থ্য কর্মীরা । এখান থেকে মিছিল করে আগামিকাল ধর্মতলার সভার উদ্দেশে তাঁরা রওনা দেবেন ।
মন্ত্রী অরূপ রায় বলেন, "21 জুলাই প্রতি বছরেই আমরা এই আয়োজন করি । বিগত দুই বছর কোভিডের জন্য সমাবেশ হয়নি । তাই এবারের আবেগ অনেক বেশি । এবারে তাই 18 তারিখ থেকেই বাঁকুড়া, পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন দূরের জেলা থেকে দলের কর্মীরা আসতে শুরু করেছেন । এখানে তাঁদের থাকা ও খাওয়ারের আয়োজন করা হয়েছে । হাওড়ার শ্যাম বাটিকা, শ্রীরাম বাটিকা ও বিভিন্ন বিয়ে বাড়ি, ক্লাবে সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে । কলকাতাতে সল্টলেক, নেতাজি ইনডোর, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র-সহ বিভিন্ন স্থানে তাঁদেরকে রাখা হয়েছে । আগামিকাল বেলাতে খেয়ে তাঁরা মিছিল করে হাওড়া থেকে ধর্মতলার সমাবেশে যোগ দেবেন ।"
প্রসঙ্গত, 21 জুলাইয়ের ভিড়কে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হচ্ছে হাওড়া স্টেশন ও তৎসংলগ্ন এলাকা । কর্তব্যরত আরপিএফের পাশাপাশি জিআরপির তরফেও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে হাওড়া স্টেশন ও চারপাশের এলাকাতে ।
আরও পড়ুন: 21 জুলাই শহিদ দিবসের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বিশেষ নিরাপত্তার পরিকল্পনা এসটিএফের
হাওড়া স্টেশন সূত্রে খবর, মোট সাড়ে চারশো পুলিশ ও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হচ্ছে । মঙ্গলবার বিকেলে হাওড়া স্টেশন পরিদর্শন করেন রেলের ডিআইজি আনাপ্পা ই-সহ জিএরপির উচ্চপদস্থ কর্তারা । স্টেশন চত্বরে বাহিনীর টহলদাড়ির পাশাপাশি হাওড়া স্টেশনে স্নিফার ডগ ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও আঁটোসাটো করা হয়েছে । যাতে যে কোনও ধরণের আপদকালীন পরিস্থিতি তৈরি হলে দ্রুত তা মোকাবিলা করা যায় ।