হাওড়া, 24 অগস্ট: খড়্গপুর থেকে গ্রেফতার শালিমারের জিআরপির লকআপ থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই অভিযুক্ত ৷ মঙ্গলবার অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে খড়্গপুর থানার পুলিশ ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে ৷ চলতি মাসের 19 তারিখ দুই অভিযুক্তক খুনের মামলায় আদালতে পেশ করা হয় । বিচারক তাঁদের দু‘জনকে তিনদিন পুলিশি হেফাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন (Kharagpur police nabbed two murder accused ) । তার মধ্যেই 21 অগস্ট রবিবার শালিমার জিআরপির লকআপ ভেঙে তাঁরা পালিয়ে যায়। কর্তব্যে গাফিলতির দায়ে জিআরপির তিনজন অধিকারিককে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে বলে খবর জিআরপি সূত্রে ৷
থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকা এখন বাধ্যতামূলক ৷ শালিমারে জিআরপির লকআপটি বেশ পুরনো দিনের। এখানে সিসিটিভির নজরদারি ছিল না । পাশাপাশি লকাপের রক্ষণাবেক্ষণও সেভাবে হয়নি বহুদিন। নজরদারিও অভাব ছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সুযোগে লকআপ ভেঙে পালিয়ে যায় রাজু ও সমিরুল।
আরও পড়ুন: জিআরপির লকআপ ভেঙে পালাল দুই খুনের আসামী, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
উল্লেখ্য, ঘটনার সূত্রপাত চলতি মাসের 17 তারিখ ৷ অভিযোগ, আবাদা স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে 17 বছর বয়সি শুভম হরিকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয় রাজু ও সমিরুল। আহত শুভমকে উদ্ধার করে উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে জিআরপি। কিন্তু আঘাত গুরুতর হওয়ায় হাসপাতালেই মৃত্যু হয় শুভম হরির। শুভমের বাড়ির লোকজন রাজু হরি ও সমিরুল মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই দু‘জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করে শালিমার জিআরপি । তাদের গ্রেফতার করে রাখা হয় শালিমার জিআরপির লকআপে। সেখান থেকেই 21 অগস্ট জেল ভেঙে পালিয়ে গিয়েছিল দুই অভিযুক্ত ৷ এবার আরও একবার গ্রেফতার এই দুই অভিযুক্ত ।