ETV Bharat / city

স্যালোঁতে গিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তি, অপহরণের কথা জানিয়ে ফোন - দুর্গাপুরে অপহৃত ব্যক্তি

নিখোঁজ রাজেশ জৈনের স্ত্রী বাংলা ভাষা তেমন বুঝতে পারেন না ৷ ফলে তাঁর কাছে আসা ফোনে মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে কি না, স্পষ্ট করে বলতে পারছেন না ৷ তবে ফোনের ওপার থেকে অপহরণ শব্দটি বলা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন ৷

durgapur
kidnapped
author img

By

Published : Jul 6, 2020, 5:44 AM IST

দুর্গাপুর, 6 জুলাই : দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ঝাঁ-চকচকে শপিংমলে রবিবার দুপুরে চুল কাটতে এসেছিলেন ৷ আর বাড়ি ফিরলেন না একটি বেসরকারি ফেরো অ্যালয় কারখানার জেনেরাল ম্যানেজার । সূত্র থেকে জানা গেছে, তাঁর পরিবারের কাছে সন্ধেয় অপহরণের কথা জানিয়ে ফোন আসে । নিখোঁজ ব্যক্তির নাম রাজেশ জৈন ৷

সত্যিই কি অপহরনের ঘটনা? নাকি ব্যবসায়িক সংঘাতে নিখোঁজ এই জেনেরাল ম্যানেজার? তদন্তে দুর্গাপুর থানার পুলিশ । প্রশ্ন উঠছে, অপহরণ হলে ভরদুপুরে শপিংমলের সামনে কারও চোখে তো এই ঘটনা ধরা পড়ত । তাহলে এই জেনেরাল ম্যানেজারের রহস্যজনকভাবে উধাও হওয়ার নেপথ্যে কারণ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পুলিশের কপালে ।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের একটি বে-সরকারি কারখানার জেনেরাল ম্যানেজার রাজেশ জৈন দুর্গাপুরের 54 ফুট এলাকায় “ন্যাচারাল হাইটস” বহুতল আবাসন পরিবার নিয়ে থাকেন । বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের “রোহিত ফেরো টেক” কারখানার জেনেরাল ম্যানেজার তিনি । রবিবার দুপুর 12টা 20 মিনিট নাগাদ ওই বহুতল আবাসন থেকে চুল কাটতে সিটিসেন্টার যাচ্ছি বলে বের হন ৷ দুপুর আড়াইটে নাগাদ সিটি সেন্টারের জংশন মলে একটি স্যালোঁতে চুল কাটতে আসেন । এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি । দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় তাঁর স্ত্রী বিকালে ফোন করেন ৷ তিনি ফোন তোলেননি বলে তাঁর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় । এর কিছুক্ষণ পর সন্ধে 6টা নাগাদ রাজেশ জৈনের ফোন থেকেই তাঁর স্ত্রীর মোবাইলে ফোন আসে । পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাতে কেউ রাজেশবাবুর স্ত্রীকে জানায়, তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে । রাজেশবাবুর স্ত্রী ও তাঁদের পারিবারিক বন্ধু ও অন্য আত্মীয়রা পুলিশকে বিষয়টি জানান ।

দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জংশন মলের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে ৷ রাজেশ জৈনের মলে যাওয়ার ছবি দেখতে পায় । সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করে হয় বলে অভিযোগ ।

তাঁর স্ত্রীর কাছে যে ফোন আসে তাতে কি মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে? জানা গেছে, বাংলাতে কথা বলার কারণে রাজেশবাবুর হিন্দিভাষী স্ত্রী স্পষ্টভাবে অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি । তবে তাঁর স্বামীকে অপহরণ করার কথা বলা হয় এই কথা বুঝতে পারেন ।

উল্লেখ্য, কয়েকবছর আগে দুর্গাপুর ও আসানসোলের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি অপহরণ হন । সেইসময় এই অপহরণের নেপথ্যে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের যোগ পেয়েছিল পুলিশ । মুক্তিপণের বিনিময়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের উদ্ধার হওয়ার ঘটনা ঘটে । এবার বাংলা ভাষায় ফোন এসেছে । আর তাই ধন্দে পুলিশ । আদৌ কি এই ঘটনা অপহরণ? নাকি ব্যাবসায়িক সংঘাতের কারণেই রহস্যজনকভাবে উধাও এই রাজেশবাবু? পুলিশ তাঁর মোবাইল ফোন ট্র‍্যাক করছে । যদি ওই জেনেরাল ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয় শপিংমলের সামনে থেকে তাহলে তা কি কারো চোখে পড়ত না? পুলিশ খতিয়ে দেখছে সিটিসেন্টার এলাকার সমস্ত CCTV ফুটেজ।

দুর্গাপুর, 6 জুলাই : দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারে ঝাঁ-চকচকে শপিংমলে রবিবার দুপুরে চুল কাটতে এসেছিলেন ৷ আর বাড়ি ফিরলেন না একটি বেসরকারি ফেরো অ্যালয় কারখানার জেনেরাল ম্যানেজার । সূত্র থেকে জানা গেছে, তাঁর পরিবারের কাছে সন্ধেয় অপহরণের কথা জানিয়ে ফোন আসে । নিখোঁজ ব্যক্তির নাম রাজেশ জৈন ৷

সত্যিই কি অপহরনের ঘটনা? নাকি ব্যবসায়িক সংঘাতে নিখোঁজ এই জেনেরাল ম্যানেজার? তদন্তে দুর্গাপুর থানার পুলিশ । প্রশ্ন উঠছে, অপহরণ হলে ভরদুপুরে শপিংমলের সামনে কারও চোখে তো এই ঘটনা ধরা পড়ত । তাহলে এই জেনেরাল ম্যানেজারের রহস্যজনকভাবে উধাও হওয়ার নেপথ্যে কারণ নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পুলিশের কপালে ।

বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের একটি বে-সরকারি কারখানার জেনেরাল ম্যানেজার রাজেশ জৈন দুর্গাপুরের 54 ফুট এলাকায় “ন্যাচারাল হাইটস” বহুতল আবাসন পরিবার নিয়ে থাকেন । বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের “রোহিত ফেরো টেক” কারখানার জেনেরাল ম্যানেজার তিনি । রবিবার দুপুর 12টা 20 মিনিট নাগাদ ওই বহুতল আবাসন থেকে চুল কাটতে সিটিসেন্টার যাচ্ছি বলে বের হন ৷ দুপুর আড়াইটে নাগাদ সিটি সেন্টারের জংশন মলে একটি স্যালোঁতে চুল কাটতে আসেন । এরপর আর তিনি বাড়ি ফেরেননি । দীর্ঘক্ষণ বাড়ি না ফেরায় তাঁর স্ত্রী বিকালে ফোন করেন ৷ তিনি ফোন তোলেননি বলে তাঁর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায় । এর কিছুক্ষণ পর সন্ধে 6টা নাগাদ রাজেশ জৈনের ফোন থেকেই তাঁর স্ত্রীর মোবাইলে ফোন আসে । পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাতে কেউ রাজেশবাবুর স্ত্রীকে জানায়, তাঁর স্বামীকে অপহরণ করা হয়েছে । রাজেশবাবুর স্ত্রী ও তাঁদের পারিবারিক বন্ধু ও অন্য আত্মীয়রা পুলিশকে বিষয়টি জানান ।

দুর্গাপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে জংশন মলের CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে ৷ রাজেশ জৈনের মলে যাওয়ার ছবি দেখতে পায় । সেখান থেকেই তাঁকে অপহরণ করে হয় বলে অভিযোগ ।

তাঁর স্ত্রীর কাছে যে ফোন আসে তাতে কি মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে? জানা গেছে, বাংলাতে কথা বলার কারণে রাজেশবাবুর হিন্দিভাষী স্ত্রী স্পষ্টভাবে অনেক কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি । তবে তাঁর স্বামীকে অপহরণ করার কথা বলা হয় এই কথা বুঝতে পারেন ।

উল্লেখ্য, কয়েকবছর আগে দুর্গাপুর ও আসানসোলের বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি অপহরণ হন । সেইসময় এই অপহরণের নেপথ্যে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের যোগ পেয়েছিল পুলিশ । মুক্তিপণের বিনিময়ে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের উদ্ধার হওয়ার ঘটনা ঘটে । এবার বাংলা ভাষায় ফোন এসেছে । আর তাই ধন্দে পুলিশ । আদৌ কি এই ঘটনা অপহরণ? নাকি ব্যাবসায়িক সংঘাতের কারণেই রহস্যজনকভাবে উধাও এই রাজেশবাবু? পুলিশ তাঁর মোবাইল ফোন ট্র‍্যাক করছে । যদি ওই জেনেরাল ম্যানেজারকে অপহরণ করা হয় শপিংমলের সামনে থেকে তাহলে তা কি কারো চোখে পড়ত না? পুলিশ খতিয়ে দেখছে সিটিসেন্টার এলাকার সমস্ত CCTV ফুটেজ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.