দুর্গাপুর,1 আগস্ট : গতকাল ভোররাতে মৃত্যু হয় দুর্গাপুরের ফরিদপুর এলাকার বাসিন্দা 67 বছরের বৃদ্ধের ৷ এলাকাবাসীদের অনুমান ওই বৃদ্ধ কোরোনায় আক্রান্ত ছিল ৷ সেই আতঙ্কে বাড়িতেই প্রায় 12 ঘণ্টা পড়ে থাকল দেহ ৷ প্রশাসনের কর্তারা ঘটনাস্থানে গেলে এলাকাবাসীরা জানায় আগে ওই বৃদ্ধার কোরোনা রিপোর্ট আসবে তারপরই দেহ বাড়ির বাইরে নিয়ে যেতে পারবে প্রশাসন ৷ এরপরই জেলা শাষকের তৎপরতাই সন্ধ্যার মধ্যে ওই বৃদ্ধের কোরোনা রিপোর্ট হাতে পাই পরিবার ৷ রিপোর্টে জানা যায় কোরোনা পজ়িটিভ ছিল ওই বৃদ্ধ ৷ রাতে পরিবারের বাকি সদস্যদের রিপোর্ট আসে ৷ সেখানে দেখা যায় পরিবারে প্রত্যেকেই কোরোনা পজ়িটিভ ৷ বাদ যায়নি ছয় বছরের শিশুও ৷ তারপরই প্রত্যেককে ভরতি করা হয় কোরোনা হাসপাতালে ৷
ওই পরিবারের বড় ছেলে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চাকরি করত ৷ ও বড় ছেলের স্ত্রী সিভিকপুলিশে কর্মরত ৷ সোমবার তার জ্বর সহ শারীরিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় স্ত্রী সহ নিজের কোরোনা পরীক্ষা করায় ওই যুবক ৷ বুধবার তাদের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে ৷ তরপরই তাদের দুর্গাপুরের কাঁকসা কোরোনা হাসপাতালে ভরতি করা হয় ৷ পাশাপাশি সেই দিনই পরিবারের বাকি পাঁচজনের সোয়াবের নমুনা সংগ্রহ করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ৷
তবে বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পায়নি ওই পরিবার ৷ শুক্রবার ভোর রাতে মৃত্যু হয় 67 বছরের বৃদ্ধের ৷ ওই বৃদ্ধ কোরোনায় আক্রান্ত সন্দহে প্রায় 12 ঘণ্টা বাড়িতেই পড়ে থাকে দেহ ৷ অবশেষে জেলা শাষকের তৎপরতাই ওই বৃদ্ধ সহ পরিবারের সকল সদস্যের কোরোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসে ৷ সেখানে দেখা যায় পরিবারের সকলেই কোরোনা পজ়িটিভ ৷ আজ সকালে দুর্গাপুর পৌরনিগমের তরফে ওই এলাকাকে স্যানিটাইজ় করা হয় ৷ সেই সঙ্গে দুইজন সিভিকভলান্টিয়ারকে ওই বাড়ির সামনে পাহাড়ায় রেখেছে প্রশাসন ৷