ETV Bharat / city

জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে পেট্রলপাম্পে আলো নিভিয়ে প্রতিবাদ - military

পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার প্রতিবাদ জানাল পশ্চিমবঙ্গ পেট্রল ও ডিজ়েল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন।

পেট্রোল পাম্পে জ্বলেনি আলো
author img

By

Published : Feb 24, 2019, 4:10 AM IST

দুর্গাপুর, ২৪ ফেব্রুয়ারি: পুলওয়ামায় ১৪ জানুয়ারি আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় প্রায় ৪০ জন CRPF জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন।সেই ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ পেট্রল ও ডিজ়েল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পেট্রোলপাম্পগুলিতে গতকাল আধ ঘণ্টা আলো নিভিয়ে রাখা হয়।

গতকাল সন্ধ্যা সাতটা বাজতেই পেট্রলপাম্পগুলির সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। আধ ঘণ্টা আলো নিভিয়ে রাখা হয়। ওই আধ ঘণ্টা কোনও গ্রাহককে তেলও বিক্রি করা হয়নি।

দুর্গাপুরের সমস্ত পেট্রলপাম্পেই এই ছবি ধরা পড়েছে। পাম্পে আসা ক্রেতাদের চুপ করে দাঁড়ানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়। সাড়ে সাতটার পরে ফের আলো জ্বালিয়ে পাম্পে তেল বিক্রি শুরু করা হয়।

দুর্গাপুর, ২৪ ফেব্রুয়ারি: পুলওয়ামায় ১৪ জানুয়ারি আত্মঘাতী জঙ্গি হানায় প্রায় ৪০ জন CRPF জওয়ান শহিদ হয়েছিলেন।সেই ঘটনার প্রতিবাদে পশ্চিমবঙ্গ পেট্রল ও ডিজ়েল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য পেট্রোলপাম্পগুলিতে গতকাল আধ ঘণ্টা আলো নিভিয়ে রাখা হয়।

গতকাল সন্ধ্যা সাতটা বাজতেই পেট্রলপাম্পগুলির সমস্ত আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। আধ ঘণ্টা আলো নিভিয়ে রাখা হয়। ওই আধ ঘণ্টা কোনও গ্রাহককে তেলও বিক্রি করা হয়নি।

দুর্গাপুরের সমস্ত পেট্রলপাম্পেই এই ছবি ধরা পড়েছে। পাম্পে আসা ক্রেতাদের চুপ করে দাঁড়ানোর জন্যও অনুরোধ করা হয়। সাড়ে সাতটার পরে ফের আলো জ্বালিয়ে পাম্পে তেল বিক্রি শুরু করা হয়।

Intro:এই রাজ্যের জঙ্গলমহল গুলিতে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস দীর্ঘকাল এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা বসবাস করলেও এখনও বহু পরিবার এই জঙ্গলের অধিকার পায়নি জঙ্গলে থাকার জন্য সরকারি যে পাটা সেই পাত্তা পাননি এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচার এবং তাতে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলমহলে থাকা 88 হাজার পরিবার যাদের পাত্তা দেওয়া হয়নি তাদেরকে অবিলম্বে সেই এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে হবে দুর্গাপুরের বান্ধব অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পান্ডে জানান "" এই নিয়ে আমি কিছু বলব না।কারন এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ।রাজ্যের মুখ্যসচিব কে দেওয়া হয়েছে এই ৮৮ হাজার পাট্টাহীন পরিবারকে উচ্ছেদের নির্দেশ।অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই নির্দেশের পরে আবার রাজ্যসরকারকে রিভিউ করার জন্য আবেদন জানানোর কথা বলেছেন।এখন রাজ্যসরকার কি সিদ্ধান্ত নেই তা আমি বলতে পারব না।""

এরাজ্যের প্রায় ৮৮ হাজার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ যারা জঙ্গলে বসবাস করলেও তারা পাট্টা পাননি।সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে তাদের কে জঙ্গল এলাকা থেকে উচ্ছেদের নির্দেশের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত। আজ দুর্গাপুরের হরিবাজারে "" বনবান্ধব""শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসে সেই বিষয়ে নিজের অভিমত জানান রাজ্যের মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পাণ্ডে।এই অনুষ্ঠানে এসে যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক।বনপাল তার বক্তব্যে বলেন ""আগে এই রাজ্যের দুর্গাপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় জঙ্গল ছিল ছোট।এখন সেইসব জঙ্গল বিরাট আকার ধারন করেছে।৩০ বছর আগে আমি যখন ডি এফ ও ছিলাম তখন আমি গ্রামের মানুষদের সাথে বৈঠক করে বলতাম জঙ্গলকে রক্ষা করার কথা।আগে জঙ্গল কে পাহারা দিত যারা সেই বনবন্ধুদের গাছ বিক্রির ২৫% টাকা দেওয়া হোত আর বর্তমান সরকারের সময় তা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ৪০% টাকা।আজ আমি বাঁকুড়া তে ১৮ কোটি টাকা দিয়ে এলাম আর দুর্গাপুরে পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভুম এই তিনজেলার বনবান্ধব দের হাতে এক কোটি ছাপান্ন লক্ষ টাকা দিলাম।এরা জঙ্গলে ঢোকার আর জঙ্গলকে নিজের মনে করে এখন।"" এরপরেই বনপাল বিগত কয়েক বছর আগের সময়ের সাথে বর্তমানের জঙ্গলের পরিবর্তন এর তুলনা টেনে বলেন "" এখন বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের জঙ্গলে হরিণ দেখতে পাবেন।অনেক হরিন এখন সেই জঙ্গলে।হাতীর পাল আসছে। তাতে অসুবিধা হলেও জঙ্গল অনেক ঘন ও বড় হওয়ার কারনে এরা ভালো আছে।কেন্দ্রীয় সংস্থাও এরাজ্যে জঙ্গলের বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন তাদের রিপোর্টে। ""

কিন্তু এই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত ৮৮ হাজার পরিবার, যারা জঙ্গলেই আছেন দীর্ঘ কাল ধরে তাদের পাট্টা নেই বলে তাদেরকে সুপ্রিম কোর্টের যে উচ্ছেদের নির্দেশ তার জন্য রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ নেয় এখন সেটাই দেখার।কারন এই আদিবাসীরা এখন যাবে কোথায়?জঙ্গলের সাথেই জড়িয়ে তাদের ঘর-বাড়ি, পরিবার থেকে জীবন-জীবিকা।Body:এই রাজ্যের জঙ্গলমহল গুলিতে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস দীর্ঘকাল এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা বসবাস করলেও এখনও বহু পরিবার এই জঙ্গলের অধিকার পায়নি জঙ্গলে থাকার জন্য সরকারি যে পাটা সেই পাত্তা পাননি এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচার এবং তাতে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলমহলে থাকা 88 হাজার পরিবার যাদের পাত্তা দেওয়া হয়নি তাদেরকে অবিলম্বে সেই এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে হবে দুর্গাপুরের বান্ধব অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পান্ডে জানান "" এই নিয়ে আমি কিছু বলব না।কারন এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ।রাজ্যের মুখ্যসচিব কে দেওয়া হয়েছে এই ৮৮ হাজার পাট্টাহীন পরিবারকে উচ্ছেদের নির্দেশ।অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই নির্দেশের পরে আবার রাজ্যসরকারকে রিভিউ করার জন্য আবেদন জানানোর কথা বলেছেন।এখন রাজ্যসরকার কি সিদ্ধান্ত নেই তা আমি বলতে পারব না।""

এরাজ্যের প্রায় ৮৮ হাজার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ যারা জঙ্গলে বসবাস করলেও তারা পাট্টা পাননি।সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে তাদের কে জঙ্গল এলাকা থেকে উচ্ছেদের নির্দেশের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত। আজ দুর্গাপুরের হরিবাজারে "" বনবান্ধব""শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসে সেই বিষয়ে নিজের অভিমত জানান রাজ্যের মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পাণ্ডে।এই অনুষ্ঠানে এসে যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক।বনপাল তার বক্তব্যে বলেন ""আগে এই রাজ্যের দুর্গাপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় জঙ্গল ছিল ছোট।এখন সেইসব জঙ্গল বিরাট আকার ধারন করেছে।৩০ বছর আগে আমি যখন ডি এফ ও ছিলাম তখন আমি গ্রামের মানুষদের সাথে বৈঠক করে বলতাম জঙ্গলকে রক্ষা করার কথা।আগে জঙ্গল কে পাহারা দিত যারা সেই বনবন্ধুদের গাছ বিক্রির ২৫% টাকা দেওয়া হোত আর বর্তমান সরকারের সময় তা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ৪০% টাকা।আজ আমি বাঁকুড়া তে ১৮ কোটি টাকা দিয়ে এলাম আর দুর্গাপুরে পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভুম এই তিনজেলার বনবান্ধব দের হাতে এক কোটি ছাপান্ন লক্ষ টাকা দিলাম।এরা জঙ্গলে ঢোকার আর জঙ্গলকে নিজের মনে করে এখন।"" এরপরেই বনপাল বিগত কয়েক বছর আগের সময়ের সাথে বর্তমানের জঙ্গলের পরিবর্তন এর তুলনা টেনে বলেন "" এখন বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের জঙ্গলে হরিণ দেখতে পাবেন।অনেক হরিন এখন সেই জঙ্গলে।হাতীর পাল আসছে। তাতে অসুবিধা হলেও জঙ্গল অনেক ঘন ও বড় হওয়ার কারনে এরা ভালো আছে।কেন্দ্রীয় সংস্থাও এরাজ্যে জঙ্গলের বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন তাদের রিপোর্টে। ""

কিন্তু এই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত ৮৮ হাজার পরিবার, যারা জঙ্গলেই আছেন দীর্ঘ কাল ধরে তাদের পাট্টা নেই বলে তাদেরকে সুপ্রিম কোর্টের যে উচ্ছেদের নির্দেশ তার জন্য রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ নেয় এখন সেটাই দেখার।কারন এই আদিবাসীরা এখন যাবে কোথায়?জঙ্গলের সাথেই জড়িয়ে তাদের ঘর-বাড়ি, পরিবার থেকে জীবন-জীবিকা।Conclusion:এই রাজ্যের জঙ্গলমহল গুলিতে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস দীর্ঘকাল এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা বসবাস করলেও এখনও বহু পরিবার এই জঙ্গলের অধিকার পায়নি জঙ্গলে থাকার জন্য সরকারি যে পাটা সেই পাত্তা পাননি এবার সুপ্রিম কোর্টের বিচার এবং তাতে রাজ্যের মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলমহলে থাকা 88 হাজার পরিবার যাদের পাত্তা দেওয়া হয়নি তাদেরকে অবিলম্বে সেই এলাকা থেকে উচ্ছেদ করতে হবে দুর্গাপুরের বান্ধব অনুষ্ঠানে এসে রাজ্যের মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পান্ডে জানান "" এই নিয়ে আমি কিছু বলব না।কারন এটা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ।রাজ্যের মুখ্যসচিব কে দেওয়া হয়েছে এই ৮৮ হাজার পাট্টাহীন পরিবারকে উচ্ছেদের নির্দেশ।অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই নির্দেশের পরে আবার রাজ্যসরকারকে রিভিউ করার জন্য আবেদন জানানোর কথা বলেছেন।এখন রাজ্যসরকার কি সিদ্ধান্ত নেই তা আমি বলতে পারব না।""

এরাজ্যের প্রায় ৮৮ হাজার আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ যারা জঙ্গলে বসবাস করলেও তারা পাট্টা পাননি।সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে তাদের কে জঙ্গল এলাকা থেকে উচ্ছেদের নির্দেশের কথা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত। আজ দুর্গাপুরের হরিবাজারে "" বনবান্ধব""শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসে সেই বিষয়ে নিজের অভিমত জানান রাজ্যের মুখ্য বনপাল নরেন্দ্র কুমার পাণ্ডে।এই অনুষ্ঠানে এসে যোগ দেন রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটক।বনপাল তার বক্তব্যে বলেন ""আগে এই রাজ্যের দুর্গাপুর সহ বেশ কিছু এলাকায় জঙ্গল ছিল ছোট।এখন সেইসব জঙ্গল বিরাট আকার ধারন করেছে।৩০ বছর আগে আমি যখন ডি এফ ও ছিলাম তখন আমি গ্রামের মানুষদের সাথে বৈঠক করে বলতাম জঙ্গলকে রক্ষা করার কথা।আগে জঙ্গল কে পাহারা দিত যারা সেই বনবন্ধুদের গাছ বিক্রির ২৫% টাকা দেওয়া হোত আর বর্তমান সরকারের সময় তা বেড়ে দাঁড়িয়ে হয়েছে ৪০% টাকা।আজ আমি বাঁকুড়া তে ১৮ কোটি টাকা দিয়ে এলাম আর দুর্গাপুরে পুর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভুম এই তিনজেলার বনবান্ধব দের হাতে এক কোটি ছাপান্ন লক্ষ টাকা দিলাম।এরা জঙ্গলে ঢোকার আর জঙ্গলকে নিজের মনে করে এখন।"" এরপরেই বনপাল বিগত কয়েক বছর আগের সময়ের সাথে বর্তমানের জঙ্গলের পরিবর্তন এর তুলনা টেনে বলেন "" এখন বাঁকুড়া, মেদিনীপুরের জঙ্গলে হরিণ দেখতে পাবেন।অনেক হরিন এখন সেই জঙ্গলে।হাতীর পাল আসছে। তাতে অসুবিধা হলেও জঙ্গল অনেক ঘন ও বড় হওয়ার কারনে এরা ভালো আছে।কেন্দ্রীয় সংস্থাও এরাজ্যে জঙ্গলের বৃদ্ধির কথা স্বীকার করেছেন তাদের রিপোর্টে। ""

কিন্তু এই আদিবাসী সম্প্রদায়ভুক্ত ৮৮ হাজার পরিবার, যারা জঙ্গলেই আছেন দীর্ঘ কাল ধরে তাদের পাট্টা নেই বলে তাদেরকে সুপ্রিম কোর্টের যে উচ্ছেদের নির্দেশ তার জন্য রাজ্য সরকার কি পদক্ষেপ নেয় এখন সেটাই দেখার।কারন এই আদিবাসীরা এখন যাবে কোথায়?জঙ্গলের সাথেই জড়িয়ে তাদের ঘর-বাড়ি, পরিবার থেকে জীবন-জীবিকা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.