ETV Bharat / city

20 মাসের শিশুর পেটে ভ্রূণ! বিরল অস্ত্রোপচার বর্ধমানে - Fetus in fetu

CT স্ক্যানে ধরা পড়ে এক বছর আট মাস বয়সের এক শিশুর অন্য একটি ভ্রূণ আছে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের শল্য চিকিৎসক ডাঃ নরেন্দ্রনাথ মুখার্জির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল টিম ও তাদের সঙ্গে ১০ জনের একটি অ্যানাস্থেসিয়া টিম দু'ঘণ্টার জটিল অপারেশনের মাধ্যমে ওই শিশুর পেট থেকে ভ্রূণটি বের করে।

s
author img

By

Published : Apr 11, 2019, 8:50 PM IST

বর্ধমান, 11 এপ্রিল : এক বছর আট মাস বয়সের এক শিশুর পেট থেকে বের হল অপর এক ভ্রূণ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের শল্য চিকিৎসক ডাঃ নরেন্দ্রনাথ মুখার্জির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল টিম ও তাদের সঙ্গে ১০ জনের একটি অ্যানাস্থেসিয়া টিম দু'ঘণ্টার জটিল অপারেশনের মাধ্যমে ওই শিশুর পেট থেকে ভ্রূণটি বের করে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণত পাঁচ লাখ শিশুর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বীরভূমের নানুর থানা এলাকায় বাড়ি ওই শিশুর। তার পরিবার কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করছিল, পেটের একটা অংশ শক্ত হয়ে ফুলে উঠছে। এরপরেই শিশুটির বাবা মা তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে CT স্ক্যানে ধরা পড়ে তার পেটে অন্য একটি ভ্রূণ আছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসা পরিভাষায় এই ধরনের ভ্রূণকে বলা হয় ফিটাস ইন ফিটু- এর অর্থ হল মায়ের যমজ সন্তান জন্মাতে পারত। কিন্তু তা না হয়ে দ্বিতীয় ভ্রূণটি অন্য ভ্রূণের পেটে চলে গেছে। এর জেরে শিশুর পেটে টিউমারের মতো অপর ভ্রূণটি বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপারেশনের পর ডাঃ নরেন্দ্রনাথ মুখার্জি বলেন, "শিশুটির পেটে হাত দিয়েই বুঝতে পারি তার পেটে অন্য একটা ভ্রূণ বড় হচ্ছে। সাধারণত পাঁচ লাখের মধ্যে এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটে থাকে। দু'ঘণ্টার জটিল অপারেশনের পরে সেই ভ্রূণ বের করা হয়েছে। শিশুটি সুস্থ আছে।"

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, "এটা বিরলতম অপারেশন। এই ধরনের অপারেশন বর্ধমান মেডিকেল কলেজে করা হয়েছে। এটা আমাদের সাফল্য।"

বর্ধমান, 11 এপ্রিল : এক বছর আট মাস বয়সের এক শিশুর পেট থেকে বের হল অপর এক ভ্রূণ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের শল্য চিকিৎসক ডাঃ নরেন্দ্রনাথ মুখার্জির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল টিম ও তাদের সঙ্গে ১০ জনের একটি অ্যানাস্থেসিয়া টিম দু'ঘণ্টার জটিল অপারেশনের মাধ্যমে ওই শিশুর পেট থেকে ভ্রূণটি বের করে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সাধারণত পাঁচ লাখ শিশুর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বীরভূমের নানুর থানা এলাকায় বাড়ি ওই শিশুর। তার পরিবার কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করছিল, পেটের একটা অংশ শক্ত হয়ে ফুলে উঠছে। এরপরেই শিশুটির বাবা মা তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে CT স্ক্যানে ধরা পড়ে তার পেটে অন্য একটি ভ্রূণ আছে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, চিকিৎসা পরিভাষায় এই ধরনের ভ্রূণকে বলা হয় ফিটাস ইন ফিটু- এর অর্থ হল মায়ের যমজ সন্তান জন্মাতে পারত। কিন্তু তা না হয়ে দ্বিতীয় ভ্রূণটি অন্য ভ্রূণের পেটে চলে গেছে। এর জেরে শিশুর পেটে টিউমারের মতো অপর ভ্রূণটি বৃদ্ধি পেয়েছে।

অপারেশনের পর ডাঃ নরেন্দ্রনাথ মুখার্জি বলেন, "শিশুটির পেটে হাত দিয়েই বুঝতে পারি তার পেটে অন্য একটা ভ্রূণ বড় হচ্ছে। সাধারণত পাঁচ লাখের মধ্যে এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটে থাকে। দু'ঘণ্টার জটিল অপারেশনের পরে সেই ভ্রূণ বের করা হয়েছে। শিশুটি সুস্থ আছে।"

বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ বলেন, "এটা বিরলতম অপারেশন। এই ধরনের অপারেশন বর্ধমান মেডিকেল কলেজে করা হয়েছে। এটা আমাদের সাফল্য।"

Intro:এক বছর আট মাসের শিশুর পেটে মিলল শিশু ভ্রূণ! সফল অপারেশন বর্ধমান মেডিকেলে
পুলক যশ, বর্ধমান
১ বছর ৪ মাস বয়সের একটি শিশুর পেট থেকে বের হলো অপর একটি শিশুর ভ্রূণ। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের শল্য চিকিৎসক ডাঃ নরেন্দ্রনাথ মুখার্জির নেতৃত্বে ১০ সদস্যের মেডিকেল টিম ও তাদের সঙ্গে ১০ জনের একটি অ্যানাস্থেসিয়া টিম দু ঘন্টার জটিল অপারেশনের মাধ্যমে সেই শিশুর পেট থেকে ভ্রূণ বের করলেন ।চিকিৎসকরা জানিয়েছেন সাধারণত পাঁচ লাখ শিশুর মধ্যে একজনের ক্ষেত্রেই এই ধরনের ঘটনা ঘটে থাকে।
Body:বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে বীরভূমের নানুর থানার বাসিন্দা দেবনাথ মাঝি। তার বয়স মাত্র ১ বছর 8 মাস। দেবনানের পরিবার কয়েক মাস ধরে লক্ষ্য করছিলেন দেবনানের পেটে একটা অংশ শক্ত হয়ে ফুলে উঠছে। এর পরেই দেবনানের বাবা মা শিশুটিকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে সিটি স্ক্যান পরীক্ষার মাধ্যমে ধরা পড়ে শিশুটির পেটে অন্য একটি ভ্রূণ আছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন চিকিৎসা পরিভাষায় এই ধরনের ভ্রূণকে বলা হয় পিটাস ইন পিটু এর অর্থ হল ওই শিশু যখন তার মায়ের গর্ভে ছিল সেই সময় শিশুটি জন্মের সময় যমজ শিশু হয়ে জন্মাতে পারতো। কিন্তু তা না হওয়ার কারণে দ্বিতীয় ভ্রূণটি অন্য ভ্রূণের পেটে চলে গেছে যার জেরে শিশুর পেটে টিউমারের মতো অপর ভ্রূণটি বৃদ্ধি পেয়েছে।
অপারেশন করার পরে ডাঃ নরেন্দ্রনাথ মুখার্জি বলেন, শিশুটির পেটে হাত দিয়েই তিনি বুঝতে পারেন তার পেটে অন্য একটা ভ্রূণ বড়ো হচ্ছে। সাধারণত পাঁচ লাখের মধ্যে এই ধরণের একটা ঘটনা ঘটে থাকে। দু ঘন্টার জটিল অপারেশনের পরে সেই ভ্রূণ বের করা হয়েছে। শিশুটি সুস্থ আছে।
Conclusion:বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সুপার ডাঃ উৎপল দাঁ বলেন এটা একটা বিরলতম অপারেশন ।এই ধরণের অপারেশন বর্ধমান মেডিকেল কলেজে করা হয়েছে এটা মেডিকেল কলেজের সাফল্য।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.