ETV Bharat / city

আসেনি কেন্দ্রীয় বাহিনী, ভয় কাটাতে রুটমার্চ রিজ়ার্ভ পুলিশ ফোর্সের - burdwan

ভোটারদের ভীতি কাটাতে পূর্ব বর্ধমানে রুট মার্চ করল জেলা পুলিশের রিজ়ার্ভ পুলিশ ফোর্স। আধা সামরিক বাহিনী কবে জেলায় আসবে তা জানেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। তাই রিজ়ার্ভ পুলিশ ফোর্স দিয়েই রুট মার্চ দেওয়ানদিঘিতে।

রুটমার্চ রিজ়ার্ভ পুলিশ ফোর্সের
author img

By

Published : Mar 20, 2019, 8:50 AM IST

দেওয়ানদিঘি, ২০ মার্চ : আসেনি আধা সামরিক বাহিনী। ভোটারদের ভীতি কাটাতে তাই রুট মার্চ করল জেলা পুলিশের রিজ়ার্ভ পুলিশ ফোর্স। গতকাল পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির নতুন গ্রামে জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ও জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জির নেতৃত্বে রিজ়ার্ভ ফোর্স রুট মার্চ করে। আধা সামরিক বাহিনী কবে জেলায় আসবে তা জানেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা।

রুট মার্চ চলাকালীন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে গ্রামের পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। ২০০৯ সালে এই গ্রামে দুষ্কৃতীদের হাতে তৃণমূল কর্মী মন্টু মাস্টার খুন হন। সেসময় ওই খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। তারপর থেকে মন্টু মাস্টারের পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। গতকাল ওই পরিবারটির সাথে কথা বলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। তাঁদের কাছে অভিযোগ করা হয়, পরিবার এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। খুনিরা জামিন পাওয়ার পর ফের হুমকি দিতে শুরু করেছে। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার তাঁদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে আসেন।

জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব এবিষয়ে বলেন, "আধা সামরিক বাহিনী এখনও জেলায় আসেনি। কিন্তু মানুষের ভয় কাটানোর জন্য রিজ়ার্ভ পুলিশ দিয়েই রুট মার্চ করা হয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়। কয়েক বছর আগে এখানে একটা ঘটনা ঘটে গেছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।" জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় বলেন, "মানুষ যাতে ভোট দিতে ভয় না পায় সেকারণেই এই রুট মার্চ।"

দেওয়ানদিঘি, ২০ মার্চ : আসেনি আধা সামরিক বাহিনী। ভোটারদের ভীতি কাটাতে তাই রুট মার্চ করল জেলা পুলিশের রিজ়ার্ভ পুলিশ ফোর্স। গতকাল পূর্ব বর্ধমানের দেওয়ানদিঘির নতুন গ্রামে জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ও জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখার্জির নেতৃত্বে রিজ়ার্ভ ফোর্স রুট মার্চ করে। আধা সামরিক বাহিনী কবে জেলায় আসবে তা জানেন না প্রশাসনিক আধিকারিকরাও। মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে নিজের ভোট নিজে দিতে পারে সেজন্যই এই ব্যবস্থা।

রুট মার্চ চলাকালীন গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে গ্রামের পরিস্থিতির খোঁজ খবর নেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। ২০০৯ সালে এই গ্রামে দুষ্কৃতীদের হাতে তৃণমূল কর্মী মন্টু মাস্টার খুন হন। সেসময় ওই খুনের ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছিল। তারপর থেকে মন্টু মাস্টারের পরিবারকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য পুলিশ ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়। গতকাল ওই পরিবারটির সাথে কথা বলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। তাঁদের কাছে অভিযোগ করা হয়, পরিবার এখনও আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। খুনিরা জামিন পাওয়ার পর ফের হুমকি দিতে শুরু করেছে। জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার তাঁদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে আসেন।

জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব এবিষয়ে বলেন, "আধা সামরিক বাহিনী এখনও জেলায় আসেনি। কিন্তু মানুষের ভয় কাটানোর জন্য রিজ়ার্ভ পুলিশ দিয়েই রুট মার্চ করা হয়। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের আশ্বস্ত করা হয়। কয়েক বছর আগে এখানে একটা ঘটনা ঘটে গেছিল। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেও আশ্বস্ত করা হয়েছে।" জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রিয়ব্রত রায় বলেন, "মানুষ যাতে ভোট দিতে ভয় না পায় সেকারণেই এই রুট মার্চ।"

Intro:স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় স্বামী ও প্রেমিকার যাবজ্জীবন
পুলক যশ, কালনা
স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের ঘটনায় দোষী স্বামী,প্রেমিকাকে যাবজ্জীবন ও শাশুড়িকে তিন বছর সাজা ঘোষণা করেন কালনা ফার্স্টট্রাক আদালতের বিচারক বিবেকানন্দ সুর।সাজাপ্রাপ্ত স্বামী হাসমত মোল্লা,প্রেমিকা পুতুল ধারা ও শাশুড়ি হাদিজা বিবির পরিবার উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।স্থানীয় ও আদালত সূত্রে জানা যায় যে,মন্তেশ্বরের মীরপুরের বাসিন্দা হাসমত মোল্লার সঙ্গে পুতুল ধারা নামে এক মহিলার বিবাহ বহির্ভুত সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও একদিন প্রেমিকাকে বাড়িতেও নিয়ে আসেন।সেই কারণে স্ত্রী রেকসনা বিবির সঙ্গে অশান্তি চরমে ওঠে।২০১৪ সালের ২ নভেম্বর রাত থেকে হঠাৎ রেকসনা বিবি নিখোঁজ হোন ও পরেরদিন বিকেলে একটি পুকুর থেকে তার ভাড়ি পাথর ও ইট বাঁধা মৃতদেহ ভেসে ওঠে।এই ঘটনায় রেকসনার বাপের বাড়ি থেকে মন্তেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিস হাসমত মোল্লা,পুতুল ধারা ও হাদিজা বিবিকে গ্রেপ্তার করে।পুলিস তদন্তে জানতে পারে ২ নভেম্বর রাতে রেকসনা বিবিকে শ্বাসরোধ করে খুন করে প্রমান লোপাটের জন্যই পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।দীর্ঘ চার বছর বিচার প্রক্রিয়া চলার পর এই সাজা দেন।
Body:অন্যদিকে,বধূ নির্যাতন ও খুনের চেষ্টার ঘটনায় স্বামী ও শাশুড়িকে সাত বছর সাজা শোনালেন কালনা সেশন আদালতের বিচারক দেবকুমার গোস্বামী।সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন স্বামী জীবনানন্দ বাগ ওরফে সুশান্ত ও শাশুড়ি গোপেশ্বরী বাগ।বাড়ি নাদনঘাট সাতগোড়ে গ্রামে।সাজাপ্রাপ্ত পরিবারের লোকেরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জানান।স্থানীয় আদালত সূত্রে জানা যায় যে,নাদনঘাট সাতগোড়ের বাসিন্দা জীবনানন্দ বাগের সঙ্গে বিয়ে হয় কালনা সিঙ্গারকোনের বাসিন্দা পার্বতী বাগের।অতিরিক্ত পণের দাবিতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পার্বতীর উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার শুরু করে ও কেরোসিন খাইয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিস স্বামী সহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে।আট বছর ধরে বিচার প্রক্রিয়ার পর বৃহস্পতিবার কালনা আদালতের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেশন জর্জ দেবকুমার গোষ্মামী স্বামী ও শাশুড়িকে সাত বছর কারাদণ্ডের রায় দেন।Conclusion:সরকারি আইনজীবী রমজান আলি বলেন,এই সব কেসে সাক্ষ্য প্রমানের অভাবে দোষীরা ছাড়া পেয়ে যায়।তথ্য প্রমাণ ও সাক্ষীর ভিত্তিতে বিচারক এই ঘটনায় এই রায় দেন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.