বর্ধমান, 27 মে : ঘূর্ণিঝড় আমফানের ফলে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষিকাজ ৷ গাছপালা ভেঙে পড়া থেকে শুরু করে চাষের জমি প্লাবিত হওয়ায় লক্ষাধিক টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে ৷ এর সরাসরি প্রভাব পড়েছে সবজি বাজারে ৷ আমফানের পরেই সবজি হয়েছে অগ্নিমূল্য ৷ ব্যবসায়ীদের মতে গত দু-তিনদিনে শাকসবজির দাম বেড়েছে দুই থেকে তিনগুণ ৷
জেলার বিভিন্ন পাইকারি সবজির আড়তগুলিতে কুইন্টাল প্রতি বেড়েছে সবজির দাম । গত দু-একদিন আগে যেখানে পাইকারি বাজারে দেশী পটলের দাম ছিল কুইন্টাল প্রতি 1100 টাকা, সেই দাম বেড়ে বর্তমানে দাঁড়িয়েছে কুইন্টাল প্রতি 1500 টাকা । ঝিঙের দাম বেড়ে কুইন্টাল প্রতি 1500 টাকা, ঢেঁড়শের দাম কুইন্টাল প্রতি 1000 টাকা ও বেগুনের দাম কুইন্টাল প্রতি 2000 টাকা হয়েছে ।
মঙ্গলবার বর্ধমানের বিভিন্ন বাজারে টোম্যাটো বিক্রি হয়েছে 30 থেকে 40 টাকা কেজি দরে ৷ আগে সেই দাম ছিল কুড়ি টাকা । এদিন দেশী পটলের দাম ছিল 50 টাকা কেজি । যা গত কয়েকদিনের তুলনায় প্রায় কুড়ি টাকা বেশি । ঝিঙে গত দুইদিন আগে বিক্রি হয়েছিল কুড়ি টাকা কেজি দরে, আজ সেই দাম দাঁড়িয়েছে 40 টাকায় । বেগুনের দাম বর্তমানে প্রতি কেজি 40 টাকা ।
বিক্রেতারা বলছেন, তারা পাইকারি বাজারে বেশি দামে সবজি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন । তাই বিক্রিও করছেন চড়া দামেই ৷ সকালের দিকে বাজারে সবজির দাম বাড়ছে । কিন্তু দাম বেশি থাকায় খদ্দের সবজি কিনতে চাইছে না । সবজি নষ্ট হওয়ার ভয়ে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তারা কম দামেই সেইসব সবজি বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন । তাতেও সব সবজি বিক্রি করে উঠতে পারছেন না । ফলে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে সবজি ব্যবসায়ীদের ।
বর্ধমানের সবজি ব্যবসায়ী স্বপন সেন বলেন , ‘‘আমফানের জেরে চাষে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে । ফলে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে । গত দু তিনদিনের তুলনায় এখন সবজির দাম অনেকটাই বেড়ে গেছে । এদিকে সবজির দাম বাড়ায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে । যারা কিনতে আসছেন, তারাও সামান্য কিছু সবজি কিনেই বাড়ির পথ দরছেন ৷ ফলে দু’দিক থেকেই ক্ষতির মুখে পড়ছে ব্যবসা ।’’
একদিকে লকডাউনের জেরে লেগে রয়েছে রোজগারে সমস্যা । সেই সঙ্গে উপরি পাওনা হিসাবে জুটেছে ঘূর্ণিঝড় আমফান ৷ এরফলে নতুন করে ক্ষতির মুখে পড়ছেন সবজি ব্যবসায়ীরা ।