বর্ধমান, 28 ডিসেম্বর : দিল্লিতে জুনিয়র ডাক্তারদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে । প্রতিবাদ জানিয়ে বর্ধমানের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে ধর্নায় বসলেন চিকিৎসকেরা । এদিন অবস্থান বিক্ষোভে শামিল চিকিৎসকদের বক্তব্য, "জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেছিল দ্রুত কাউন্সেলিং করা হোক । তাহলে আরও ভাল চিকিৎসার পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে । তারা নিজেদের কাজের চাপ কমানো কিংবা স্টাইপেন্ড বাড়ানোর কথা বলেনি । এরপরও পুলিশ যেভাবে বর্বরভাবে তাদের উপর লাঠিচার্জ করেছে তা নিন্দনীয় ও লজ্জাজনক। তাই প্রতিবাদে এদিন আমরা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হয়েছি।" এদিন জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভের জেরে রোগীরা সমস্যার মধ্যে পড়ে যান। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এই অবস্থান-বিক্ষোভ ছিল প্রতীকী। তবে এমারজেন্সি পরিষেবা বিঘ্নিত হয়নি । রোগীদের সমস্যায় পড়তে হয়নি ।
এদিনের অবস্থান বিক্ষোভ নিয়ে এক বিক্ষোভকারী মীনাক্ষী ভৌমিক বলেন, "আমরা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তবে এমারজেন্সি কোনও রোগীকে কোনও অসুবিধায় পড়তে হচ্ছে না । আজকে আমাদের এই শান্তিপূর্ণ অবস্থান বিক্ষোভের পর কী হয় তার উপর নির্ভর করে আগামী দিনে আমরা কোন পথে এগোবো । কারণ, বর্তমানে হাসপাতালে তিনখানা ব্যাচের জায়গায় দুখানা ব্যাচ পুরো পরিষেবা দিয়ে চলেছে । এতে রোগীর অসুবিধা হচ্ছে । কারণ যেটা দশজন মিলে করার কথা ছিল দুজন মিলে করতে হচ্ছে। তাই যাতে কাউন্সেলিং তাড়াতাড়ি হয় অল ওভার ইন্ডিয়াতে জুনিয়র ডাক্তাররা র্যাঙ্ক করেও বাড়িতে বসে আছে ৷ পরিষেবা দিতে পারছে না ৷ তাই কাউন্সেলিং যাতে তাড়াতাড়ি হয় সেটাই আমাদের দাবি ছিল। অথচ আমাদের উপর যে ঘটনা ঘটল সেটা খুবই লজ্জাজনক। কারণ গত দু'বছর ধরে করোনা পরিস্থিতিতে আমরা যেভাবে কাজ করে চলেছি ৷ কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে আমরা যে স্যাক্রিফাইস করেছি তার কোনও মূল্য নেই। কারণ আমাদের কখনোই দাবি ছিল না যে কোন ডিউটি কম করে বেশি স্টাইপেন পাব । আমাদের একটাই দাবি ছিল যাতে আমাদের আরও ম্যান পাওয়ার বাড়ে। যাতে আমরা সহজেই রোগীদের আরোও ভাল পরিষেবা দিতে পারি।"
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সুপার ডাঃ তাপস ঘোষ বলেন, দিল্লিতে জুনিয়র ডাক্তারদের উপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বর্ধমানের জুনিয়র ডাক্তাররা প্রতীকী অবস্থান-বিক্ষোভ করেছিল। তবে সেই জন্য রোগী পরিষেবায় কোনও বিঘ্ন ঘটেনি। রোগীদের কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি।