ETV Bharat / city

BDO প্রাণ বাঁচিয়েছেন মেয়ের, এবার দু'মুঠো ভাত চান বৃদ্ধা

বৃদ্ধা মা ৷ দুর্ঘটনাগ্রস্ত চন্দনাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ নেই । এমন সময় যেন ঈশ্বরের দূত হিসেবে হাজির হন BDO ৷

বর্ধমানের নীলপুরের মালির মাঠ সংলগ্ন বাড়িতে এসে নিজে কোলে করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান BDO
author img

By

Published : Oct 23, 2019, 1:27 AM IST

Updated : Oct 23, 2019, 12:41 PM IST

বর্ধমান, 23 অক্টোবর : BDO পরিবারের পাশে না দাঁড়ালে বাঁচতে পারতেন না তাঁর মেয়ে, এমনটাই বলছেন অসহায় এক বৃদ্ধা ৷ মেয়ে চন্দনা নন্দী ৷ বয়স 42 ৷ ইতিহাসে রয়েছে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও ৷ কিন্তু মেলেনি কোনও চাকরি ৷ ভরসা টিউশনি ৷ মা লক্ষ্মী নন্দী ৷ মাস ছয়েক আগে পড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি ৷ বর্ধমানের রানিগঞ্জ বাজার মোড়ে সাইকেল থেকে পড়ে পায়ের উপরের অংশ ভেঙে যায় । তারপর হয় অস্ত্রোপচারও ৷ কিন্তু চিকিৎসা তো চালাতেই হবে । হাঁটাচলাই যে বন্ধ ৷ পড়াতে যেতে পারছেন না চন্দনা ৷ নেই অর্থও ৷ ফলে জুটছে না দু মুঠো ভাতও ৷

বৃদ্ধা মা ৷ চন্দনাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ নেই । এমন সময় যেন ঈশ্বরের দূত হিসেবে হাজির হন BDO ৷ বর্ধমানের হাসপাতালে ভরতি থাকার সময় এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁদের । চন্দনার কথা রায়না 1 ব্লকের বিডিও সৌমেন বণিককে জানান ওই ব্যক্তি । সেই খবর শুনে নিজে বর্ধমানের নীলপুরের মালির মাঠ সংলগ্ন বাড়িতে এসে নিজে কোলে করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান BDO। সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা করে দেন। চন্দনা যাতে বাড়িতে হাঁটাচলা করতে পারেন সেজন্য একটা ওয়াকার কিনে দেন সৌমেনবাবু ।

দেখুন ভিডিয়ো

অসুস্থ চন্দনার চলাফেরা করার ক্ষমতা নেই । তাঁর বৃদ্ধা মা পানীয় জল আনতেও বহু দূরে যেতে বাধ্য হন । ঘরের আশপাশে পানীয় জলের কল নেই । প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কেউ কোনও ব্যবস্থা করে দেয়নি । এদিকে বাড়িতে খাবারদাবার না থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের । সরকারের কাছে আবেদন করেছেন পানীয় জলের একটি কলের । লক্ষ্মী দেবী বলেন, ''BDO মেয়েকে চিকিৎসা করতে নিয়ে গিয়েছিলেন । তাঁর অবদান ভুলব না ৷''

image
বর্ধমানের নীলপুরের মালির মাঠ সংলগ্ন বাড়িতে এসে নিজে কোলে করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান BDO

BDO সৌমেন বণিক বলেন, ''খবর শুনে ওঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম । স্থানীয় ICDS সেন্টারকে বলা হয়েছে তাদের মিড ডে মিলের খাবার দেওয়ার জন্য । এছাড়া বর্ধমান পৌরসভা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন অংশে যোগাযোগ করা হচ্ছে ৷ সাহায্যের চেষ্টা করা হচ্ছে ৷''

বর্ধমান, 23 অক্টোবর : BDO পরিবারের পাশে না দাঁড়ালে বাঁচতে পারতেন না তাঁর মেয়ে, এমনটাই বলছেন অসহায় এক বৃদ্ধা ৷ মেয়ে চন্দনা নন্দী ৷ বয়স 42 ৷ ইতিহাসে রয়েছে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও ৷ কিন্তু মেলেনি কোনও চাকরি ৷ ভরসা টিউশনি ৷ মা লক্ষ্মী নন্দী ৷ মাস ছয়েক আগে পড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন তিনি ৷ বর্ধমানের রানিগঞ্জ বাজার মোড়ে সাইকেল থেকে পড়ে পায়ের উপরের অংশ ভেঙে যায় । তারপর হয় অস্ত্রোপচারও ৷ কিন্তু চিকিৎসা তো চালাতেই হবে । হাঁটাচলাই যে বন্ধ ৷ পড়াতে যেতে পারছেন না চন্দনা ৷ নেই অর্থও ৷ ফলে জুটছে না দু মুঠো ভাতও ৷

বৃদ্ধা মা ৷ চন্দনাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেউ নেই । এমন সময় যেন ঈশ্বরের দূত হিসেবে হাজির হন BDO ৷ বর্ধমানের হাসপাতালে ভরতি থাকার সময় এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয় তাঁদের । চন্দনার কথা রায়না 1 ব্লকের বিডিও সৌমেন বণিককে জানান ওই ব্যক্তি । সেই খবর শুনে নিজে বর্ধমানের নীলপুরের মালির মাঠ সংলগ্ন বাড়িতে এসে নিজে কোলে করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান BDO। সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা করে দেন। চন্দনা যাতে বাড়িতে হাঁটাচলা করতে পারেন সেজন্য একটা ওয়াকার কিনে দেন সৌমেনবাবু ।

দেখুন ভিডিয়ো

অসুস্থ চন্দনার চলাফেরা করার ক্ষমতা নেই । তাঁর বৃদ্ধা মা পানীয় জল আনতেও বহু দূরে যেতে বাধ্য হন । ঘরের আশপাশে পানীয় জলের কল নেই । প্রশাসনকে একাধিকবার জানালেও কেউ কোনও ব্যবস্থা করে দেয়নি । এদিকে বাড়িতে খাবারদাবার না থাকায় অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটছে তাঁদের । সরকারের কাছে আবেদন করেছেন পানীয় জলের একটি কলের । লক্ষ্মী দেবী বলেন, ''BDO মেয়েকে চিকিৎসা করতে নিয়ে গিয়েছিলেন । তাঁর অবদান ভুলব না ৷''

image
বর্ধমানের নীলপুরের মালির মাঠ সংলগ্ন বাড়িতে এসে নিজে কোলে করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান BDO

BDO সৌমেন বণিক বলেন, ''খবর শুনে ওঁকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম । স্থানীয় ICDS সেন্টারকে বলা হয়েছে তাদের মিড ডে মিলের খাবার দেওয়ার জন্য । এছাড়া বর্ধমান পৌরসভা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন অংশে যোগাযোগ করা হচ্ছে ৷ সাহায্যের চেষ্টা করা হচ্ছে ৷''

Intro:
বিডিও করেছেন চিকিৎসার ব্যবস্থা, জল আর ভাত চাইছে মা মেয়ে

পুলক যশ, বর্ধমান


বিডিও অসময়ে পরিবারের পাশে না দাঁড়ালে আমাদের দুর্গতির সীমা থাকত না এমনটাই বলছেন মেয়ের মা । মেয়ের বয়স বছর 42 ।ইতিহাসে এম এ ।মা মেয়ের সংসার ।বৃদ্ধা মা ।টিউশনি পরিয়ে চন্দনা নন্দী সংসার খরচ চালান ।মাস ছয়েক আগে টিউশন পড়াতে যাওয়ার সময় বর্ধমানের রানীগঞ্জ বাজার মোড়ে এক দুর্ঘটনায় সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে পায়ের থাই এর অংশ ভেঙে যায় ।তারপর অপারেশন করার পরে চলছে চিকিৎসা।


Body:কিন্তু তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওযার আর কেউ নেই ।বর্ধমানের অনাময় হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয় হয়। চন্দনার কথা রায়না 1 ব্লকের বিডিও সৌমেন বনিককে জানান ওই ব্যক্তি। সেই খবর শুনে নিজে বর্ধমানের নীলপুরের মালির মাঠ সংলগ্ন বাড়িতে এসে নিজে কোলে করে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা করে দেন। এবং চন্দনা নন্দী যাতে বাড়িতে হাঁটাচলা করতে পারেন সেজন্য একটা ওয়াকার কিনে দেন বিডিও।


Conclusion:বাড়িতে গিয়ে দেখা গেল অসুস্থ অবস্থায় চন্দনা মাটিতে বসে আছেন। চলাফেরা করার ক্ষমতা নেই। তার বৃদ্ধা মা দূর থেকে লোহার বালতি করে পানীয় জল নিয়ে আসছেন। কাঁদতে কাঁদতে মা ও মেয়ে বলেন তাদের ঘরে কল না থাকায় জল আনতে অনেক দূরে যেতে হয়। বারবার করে প্রশাসনকে জানালেও কেউ কোনো ব্যবস্থা করে দেয় নি ।এদিকে বাড়িতে খাবার দাবার না থাকায় অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটছে তাদের ।সরকারের কাছে আবেদন জানিয়ে তারা বলছেন তাদের বাড়িতে যদি একটি পানীয় করে ব্যবস্থা করে দেয়া হয় তাহলে তারা প্রাণে বাঁচবেন। বিডিও তার মেয়েকে চিকিৎসা করতে নিয়ে গিয়েছিলেন । তার অবদান ভুলবেন না বলে জানান চন্দনার মা।

বিডিও সৌমেন বণিক বলেন খবর শুনে মেয়েটাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম ।স্থানীয় আইসিডিএস সেন্টার কে বলা হয়েছে তাদের মিড ডে মিলের খাবার দেওয়ার জন্য ।এছাড়া বর্ধমান পৌরসভা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন অংশে যোগাযোগ করা হচ্ছে তাদের ত্রাণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে ।

বাইট 1 চন্দনা নন্দী
বাইট 2 লক্ষী নন্দী , মা
বাইট 3 কমল রজত দাস , স্থানীয় বাসিন্দা
পিটুসি

Last Updated : Oct 23, 2019, 12:41 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.