ETV Bharat / city

লকডাউনে আর্থিক ক্ষতির মুখে আসানসোলের কুমোরটুলি

লকডাউনের কারণে একটাও উৎসব কমিটি প্রতিমা নিতে আসেনি ৷ তাই প্রতিমা গড়ার কাজ প্রায় শেষ করে এখন হতাশ হয়ে বসে আছেন মৃৎশিল্পীরা । একই চিত্র আসানসোলের কুমোরটুলিতেও ৷

author img

By

Published : Apr 3, 2020, 2:08 PM IST

Updated : Apr 3, 2020, 3:45 PM IST

asansol
লকডাউন

আসানসোল , 3 মার্চ : বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ ৷ কুমোরটুলিও তাই সদা ব্যস্ত প্রতিমা গড়তে ৷ বাদ পড়েনা চৈত্র মাসও ৷ এই মাসে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত প্রাধানত রাম-সীতা-হনুমান এবং বাসন্তী দেবীর প্রতিমা তৈরিতে ৷ এছাড়াও গ্রামবাংলায় চৈত্র মাসে হরি সংকীর্তনের একটা রেওয়াজ আছে ৷ ফলে চাহিদানুযায়ী তাঁদের তৈরি করতে হয় গৌর-নিতাই, রাধা-কৃষ্ণ, হর-পার্বতী ৷ বর্তমানে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়তে দেশ জুড়ে চলছে লকজাউন ৷

জমায়েত এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য ৷ বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন পুজোৎসব ৷ 21 দিনের এই লকডাউনের জন্য বরাত দিয়েও প্রতিমা নিয়ে যায়নি বিভিন্ন উৎসব কমিটিরা । ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আসানসোলের কুমোরটুলি মহিশিলার পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা ৷

বাংলার শেষ মাস , চৈত্রতেও ব্যস্ত আসানসোলের কুমোরটুলি । সামান্য অল্প কিছু টাকা উৎসব কমিটিদের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়ে কাজের অর্ডার ধরে শিল্পীরা । বছরের পর বছর এমনটাই হয়ে আসছে । বিশ্বাসের উপরেই এই ব্যবসা চলে । কিন্তু এই বছর লকডাউনের কারণেও একটাও উৎসব কমিটি প্রতিমা নিতে আসেনি ৷ তাই প্রতিমা গড়ার কাজ প্রায় শেষ করে এখন হতাশ হয়ে বসে আছেন মৃৎশিল্পীরা । বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আসানসোলের বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী শ্রীকৃষ্ণ রুদ্র পাল জানালেন "বিশ্বাসের উপরেই আমাদের এই ব্যবসা চলে । সামান্য টাকা অগ্রিম নিয়ে বরাত নেওয়া হয়েছিল মূর্তির । উৎসব কমিটির লোকেরা এখন চেষ্টা করেও মূর্তি নিয়ে যেতে পারছেন না ৷ আমরাও মানবিক কারণে তাঁদের কিছু বলতে পারছিনা । তিনি আর্থিক অনটনকে অগ্রাহ্য করে জোর দিয়ে বলেন , " আগে দেশ বাঁচুক, মানুষ বাঁচুক, তারপর উৎসব ।"

লকডাউনে কেমন আছেন আসানসোলের মৃৎশিল্পীরা ? দেখুন ভিডিয়োয়..

বাংলা মাস বছরের শুরু থেকেই দুর্গাপূজা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দেয় আসানসোলের পাল পাড়া । কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখার পরেই তাঁরা এখন থেকেই প্রতিমা গড়ার প্রস্তুতিতে ছেদ টেনেছেন ৷ সব শেষে বলাই যায় , কোরোনা আতঙ্কের মুক্তিই মেটাতে পারে মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সমস্যা ৷

আসানসোল , 3 মার্চ : বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ ৷ কুমোরটুলিও তাই সদা ব্যস্ত প্রতিমা গড়তে ৷ বাদ পড়েনা চৈত্র মাসও ৷ এই মাসে মৃৎশিল্পীরা ব্যস্ত প্রাধানত রাম-সীতা-হনুমান এবং বাসন্তী দেবীর প্রতিমা তৈরিতে ৷ এছাড়াও গ্রামবাংলায় চৈত্র মাসে হরি সংকীর্তনের একটা রেওয়াজ আছে ৷ ফলে চাহিদানুযায়ী তাঁদের তৈরি করতে হয় গৌর-নিতাই, রাধা-কৃষ্ণ, হর-পার্বতী ৷ বর্তমানে কোরোনার বিরুদ্ধে লড়তে দেশ জুড়ে চলছে লকজাউন ৷

জমায়েত এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র থেকে রাজ্য ৷ বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন পুজোৎসব ৷ 21 দিনের এই লকডাউনের জন্য বরাত দিয়েও প্রতিমা নিয়ে যায়নি বিভিন্ন উৎসব কমিটিরা । ফলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে আসানসোলের কুমোরটুলি মহিশিলার পালপাড়ার মৃৎশিল্পীরা ৷

বাংলার শেষ মাস , চৈত্রতেও ব্যস্ত আসানসোলের কুমোরটুলি । সামান্য অল্প কিছু টাকা উৎসব কমিটিদের কাছ থেকে অগ্রিম নিয়ে কাজের অর্ডার ধরে শিল্পীরা । বছরের পর বছর এমনটাই হয়ে আসছে । বিশ্বাসের উপরেই এই ব্যবসা চলে । কিন্তু এই বছর লকডাউনের কারণেও একটাও উৎসব কমিটি প্রতিমা নিতে আসেনি ৷ তাই প্রতিমা গড়ার কাজ প্রায় শেষ করে এখন হতাশ হয়ে বসে আছেন মৃৎশিল্পীরা । বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে আসানসোলের বিশিষ্ট মৃৎশিল্পী শ্রীকৃষ্ণ রুদ্র পাল জানালেন "বিশ্বাসের উপরেই আমাদের এই ব্যবসা চলে । সামান্য টাকা অগ্রিম নিয়ে বরাত নেওয়া হয়েছিল মূর্তির । উৎসব কমিটির লোকেরা এখন চেষ্টা করেও মূর্তি নিয়ে যেতে পারছেন না ৷ আমরাও মানবিক কারণে তাঁদের কিছু বলতে পারছিনা । তিনি আর্থিক অনটনকে অগ্রাহ্য করে জোর দিয়ে বলেন , " আগে দেশ বাঁচুক, মানুষ বাঁচুক, তারপর উৎসব ।"

লকডাউনে কেমন আছেন আসানসোলের মৃৎশিল্পীরা ? দেখুন ভিডিয়োয়..

বাংলা মাস বছরের শুরু থেকেই দুর্গাপূজা নিয়ে প্রস্তুতি শুরু করে দেয় আসানসোলের পাল পাড়া । কিন্তু দেশের বর্তমান পরিস্থিতি দেখার পরেই তাঁরা এখন থেকেই প্রতিমা গড়ার প্রস্তুতিতে ছেদ টেনেছেন ৷ সব শেষে বলাই যায় , কোরোনা আতঙ্কের মুক্তিই মেটাতে পারে মৃৎশিল্পীদের আর্থিক সমস্যা ৷

Last Updated : Apr 3, 2020, 3:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.